বিপিএলের প্রতি আসরেই শোনা যায় স্পট ফিক্সিংয়ের ফিসফাস। সর্বশেষ বিপিএলের কিছু ঘটনা তদন্তে তো তিন সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে বিসিবি, যেটির রিপোর্ট এখনো প্রকাশের অপেক্ষায়। এর মধ্যেই আজ বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিপিএলের আগামী আসরে স্পট ফিক্সিং ঠেকাতে আইসিসির ইন্টিগ্রিটি ইউনিটকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।

সভার পর মিরপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমান। এ ছাড়া বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগকে শক্তিশালী করতে একসময় আইসিসির এই বিভাগে কাজ করা অ্যালেক্স মার্শালকে নিয়োগ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

সভায় আলোচনা হয়েছে বিপিএলের আরও কিছু বিষয় নিয়েও। মিডিয়া কমিটির প্রধান জানিয়েছেন, কোন ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে বিসিবির কত টাকা পাওনা, খেলোয়াড়দের পাওনাই বা কত—এসবের একটা হিসাব বিসিবি আগামী দু–তিন দিনের মধ্যে জানাবে। আগামী বিপিএল আয়োজনে আগ্রহী ৫ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের কাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে, এ সিদ্ধান্তও দুয়েক দিনের মধ্যে জানানো হবে।

২০১৫ সালে ময়মনসিংহ বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হলেও এত দিন জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রতিনিধিত্ব ছিল না তাঁদের। আসন্ন এনসিএল টি–টোয়েন্টিতে সেটি সম্ভব না হলেও চার দিনের জাতীয় লিগে এবার থেকে ময়মনসিংহ বিভাগের দল থাকবে। ঢাকা মহানগরের জায়গায় নেওয়া হবে তাদের।

আরও পড়ুনবিসিবির ১০০০ কোটি টাকা দেখভালের দায়িত্ব নিতে এক শর বেশি আবেদন১৫ ঘণ্টা আগে

ঢাকা মহানগরকে বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যায় বিসিবি পরিচালক নাজমূল আবেদীন জানিয়েছেন, রংপুরকে যখন বিভাগ করা হয়। তখন আটটি দল মেলানোর জন্য ঢাকা মহানগর নামে দল করা হয়। এখন ময়মনসিংহ চলে আসায় তাদের বাদ দেওয়া হচ্ছে।

জাতীয় লিগ টি–টোয়েন্টিতে থাকছে না ময়মনসিংহ, তবে থাকছে চারদিনের টুর্নামেন্টে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব প এল র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রক্সি’ দিয়ে ভর্তির চেষ্টা, আটক শিক্ষার্থী জানালেন, একটি চক্রের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল লাখ টাকার

ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তিচেষ্টার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির এক শিক্ষার্থীও আছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের থানায় হস্তান্তর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আটক তিনজন হলেন কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান ফারদিন, ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ওবায়েদ হাসান এবং ‘প্রক্সির চুক্তিকারী’ পনির উদ্দিন খান। তাঁদের মধ্যে সালমানের বাড়ি ময়মনসিংহ নগরের চরপাড়া, ওবায়েদের বাড়ি ত্রিশাল এবং পনির উদ্দিনের বাড়ি মুক্তাগাছা এলাকায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, চক্রটি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্সির (ভর্তি–ইচ্ছুকের পরীক্ষা দেন আরেকজন) মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এইচ এম কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ৪০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৯ জন আগেই ভর্তি হয়েছেন। বাকি একজন প্রার্থী (ওবায়েদ হাসান) ভর্তির শেষ দিন গতকাল দুপুরের পর উপস্থিত হন। এ সময় ভর্তির কাজে নিয়োজিত শিক্ষকেরা নিয়মমাফিক যাচাই-বাছাই শুরু করেন। তখন দেখা যায়, ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর ও লেখার স্টাইল মিলছে না। এ নিয়ে যাচাই–বাছাই শুরু করলে সামনে আসে চক্রটি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভর্তির সময় স্বাক্ষরে অসংগতি ও প্রবেশপত্রের সঙ্গে চেহারার অমিল দেখে ওবায়েদকে প্রশ্ন করা হলে অপ্রাসঙ্গিক উত্তর দিতে শুরু করেন। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় তিনি জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন এবং মেধা তালিকায় ৭৬তম অবস্থানে উত্তীর্ণ হোন। তাঁকে যাচাই করতে বিষয়ভিত্তিক সাধারণ প্রশ্ন করা হলেও উত্তর দিতে পারছিলেন না। তখন ওবায়েদের সঙ্গে আসা পনির উদ্দিনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পনির নিজেকে ওবায়েদের ভাই পরিচয় দিয়ে অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন। পরে ওবায়েদের মুঠোফোন নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ পনিরের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়টি জানা যায়। সেখানে কীভাবে স্বাক্ষর করা হবে এবং ভর্তির লেনদেনের বিষয়ে আলাপ করছিলেন তাঁরা। ভর্তি সম্পন্ন হলে পনিরকে এক লাখ টাকা দেওয়ার চুক্তি হয়েছিল। একপর্যায়ে পনিরের মুঠোফোনে সালমান ফারদিনের কল আসে। পরে তাঁকেও ডাকা হয়। সালমানের মুঠোফোনটি জব্দ করলে সেখান থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়।

জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ওবায়েদ জানান, তিনি নিজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেননি। এক লাখ টাকার বিনিময়ে চক্রটির এক সদস্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। পনিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এভাবে ভর্তির ব্যবস্থা করেছেন ওবায়েদের বাবা।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান বলেন, এ চক্রের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়েই আরেকজন ইতিমধ্যে ভর্তি হয়ে গেছেন। তাঁর তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ওই তিনজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভর্তি জালিয়াতি চক্রের তৎপরতা সামনে আসায় ঘটনাটি তদন্তে পাঁচ-ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত কমিটি প্রকাশ করা হবে।

ওই তিনজনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। মামলা শেষে আজ শুক্রবার তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজীপুরে মধ্যরাতে ঘুমানো নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
  • গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরো ২
  • তিন বিভাগে বৃষ্টি বাড়তে পারে
  • সাত সকালে ঢাকায় মুষলধারে বৃষ্টি
  • শুক্রবারই মায়ের কাছে এলেন, তবে কফিনবন্দী হয়ে
  • ‘কী অপরাধ আছিন আমার ছেলের, কেন এভাবে মারল’
  • প্রক্সি’ দিয়ে ভর্তির চেষ্টা, আটক শিক্ষার্থী জানালেন, একটি চক্রের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল লাখ টাকার
  • ময়মনসিংহে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগে বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ, তদন্তে কমিটি