ধীরে ধীরে কমছে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর। তবে, এখনো তা বিপৎসীমায় রয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) পানি কমতে থাকায় কৃত্রিম এই হ্রদে থাকা জলকপাটগুলো সাড়ে তিন ফুট থেকে কমিয়ে তিন ফুট খোলা রাখা হয়। ফলে প্রতি সেকেন্ড ৫৮ হাজার কিউসেক পানি কর্নফুলী নদীতে পড়ছে। বর্তমানে রাঙামাটি জেলায় পানিবন্দি অবস্থায় আছেন ২৩ হাজার ১২০ জন মানুষ। 

এদিকে, কর্ণফুলী নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে তৃতীয় দিনের মতো শনিবার বন্ধ ছিল চন্দ্রঘোণা-রাইখালী ফেরি চলাচল। এ কারণে রাঙামাটি জেলা সদরের সঙ্গে রাজস্থলী উপজেলা ও বান্দরবান জেলা সদরের যোগাযোগ বন্ধ ছিল। দুর্ভোগে পড়েন এই রুটে চলাচলকারীরা।

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে পানির স্তর বাড়তে থাকে কাপ্তাই হ্রদে। এই বছর সর্বোচ্চ পানির স্তর ১০৮.

৮৪ এমএসএল রেকর্ড করা হয়। এ কারণে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট সাড়ে তিন ফুট খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল শনিবার বিকেল পর্যন্ত হ্রদে পানির স্তর ছিল ১০৮.৪০ এমএসএল। ছয় ইঞ্চি কমিয়ে বর্তমানে জলকপাটগুলো তিন ফুট খোলা রাখা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

রাঙামাটিতে ২০ ইউনিয়নে পানিবন্দি ১৮ হাজার মানুষ

কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি, বাঁধের গেট খুলল সাড়ে ৩ ফুট

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) পর্যন্ত জেলায় ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি ছিলেন। শনিবার সেই সংখ্যা বেড়ে ২৩ হাজার ১২০ জন হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, হ্রদে পানি কমতে শুরু করলেও কাচালং এবং চেঙ্গী নদীর পানি উপচে কিছু এলাকায় প্রবেশ করায় পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।

পানি কমতে থাকায় সীমান্তবর্তী উপজেলা বাঘাইছড়িতে মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। তবে এখনো পুরোপুরি পানি কমেনি লংগদু, বরকল ও রাঙামাটি সদরের আসামবস্তি, পুরানপাড়া, শান্তি নগরের নিম্নাঞ্চলে। বৃষ্টি না হলে দ্রুত পানি কমার আশা
স্থানীয়দের।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, বন্যার্তদের জন্য ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রায় ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো ২ হাজার ৮৯৪ জন মানুষ অবস্থান করছেন। জেলায় বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি ৮৩৭টি, ২৩৯ হেক্টর ফসলি জমি, ২০০টি গবাদি পশু, ৫৯টি মৎস্য খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন জানান, বৃষ্টি কমে আসায় কমছে হ্রদের পানি। শনিবার সকালে হ্রদে পানি ছিলো ১০৮.৪০ এমএসএল। পানিবন্দি মানুষের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১৩৩৬ প্যাকেট শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ৯ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

 

ঢাকা/শংকর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ন বন দ প ন র স তর প ন বন দ

এছাড়াও পড়ুন:

‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।

আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।

এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।

ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’

১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ