যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরের মধ্য দিয়ে বহমান শিকাগো নদী। গত বৃহস্পতিবার এ নদীতে ভাসমান দৌড় প্রতিযোগিতায় ছিল হলুদ রঙের ছোট ছোট হাঁস। একটি–দুটি নয়; ঝাঁকে ঝাঁকে, হাজারে হাজারে। নদীর পানিতে ঢেউয়ের তালে তালে চলে হলুদ রঙের হাঁসগুলোর প্রতিযোগিতা—সে এক অসাধারণ দৃশ্য!

তবে হাঁসগুলো কিন্তু জীবন্ত নয়, রাবারের তৈরি। ইলিনয়ে বিশেষ অলিম্পিক আয়োজনের জন্য তহবিল সংগ্রহেই এ আয়োজন—নাম শিকাগো ডাকি ডার্বি। তহবিল সংগ্রহের জন্য প্রতিবছর এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ বছর প্রতিযোগিতায় ছিল ৮২ হাজারের বেশি হাঁস।

আয়োজকেরা এ অনুষ্ঠানের দর্শক ও ভক্তদের কাছে ১০ ডলারের বিনিময়ে এক একটি হাঁস নেওয়ার আহ্বান জানান। এভাবে তাঁরা ৮২ হাজারের বেশি হাঁস দিতে সক্ষম হন।

এরপর বিশাল এক ক্রেনের সাহায্যে হাঁসগুলো নদীতে ঢেলে দেওয়া হয়। ঢেউয়ের তালে তালে সেগুলো ভেসে যেতে শুরু করে। সেগুলো যেন পুরো নদীতে ছড়িয়ে পড়ে দূষণ ঘটাতে না পারে, তাই আয়োজকেরা নদীর ওপর দুটি ভাসমান পাইপ রেখে সেগুলোর চলার পথ নির্দিষ্ট করে দেন।

যে হাঁসগুলো প্রতিযোগিতায় জিতেছে, সেগুলোর গ্রাহকেরা বড় অঙ্কের পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কারের মধ্যে ছিল একটি শেভি ট্রেইলব্লেজার গাড়ি, ২ হাজার ৫০০ ডলার নগদ অর্থ ও ডব্লিউ ক্লাব শিকাগো কাবস টিকিট।

আয়োজকেরা বলেন, এ বছরের ডার্বিতে ৮২ হাজারের বেশি রাবারের হাঁস অংশ নিয়েছিল। সেগুলো স্পেশাল অলিম্পিক ইলিনয়ের জন্য প্রায় ৬ লাখ ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে।

এক বিবৃতিতে স্পেশাল অলিম্পিক ইলিনয়ের প্রেসিডেন্ট ও সিইও পিট বেলে-ডেলভেচ্চিও বলেন, এ অনুদান স্পেশাল অলিম্পিকের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। এটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

আয়োজনে সরাসরি গান, খাবার, ছবি তোলার সুযোগ ও খেলাধুলার ব্যবস্থা ছিল। দৌড় শেষ হওয়ার পর হাঁসগুলো নদী থেকে তুলে নেওয়া হয়। আগামী বছরের অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য সেগুলো সংরক্ষণ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অল ম প ক র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যাচ মিসই টার্নিং পয়েন্ট হয়েছে, মনে করেন জাকেরও

একটা ক্যাচই কি তাহলে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিল!

তানজিম হাসানের বলে অভিষেক শর্মা ক্যাচ দিয়েছিলেন উইকেটের পেছনে। ঝাঁপিয়ে পড়ে বলের নাগালও পেয়েছিলেন জাকের আলী। তবে বলটা তিনি গ্লাভসে জমাতে পারেননি। তখনো অভিষেকের রান ৭ বলে ৭। জীবন পাওয়ার পর থেকেই বিধ্বংসী হতে শুরু করেন ভারতের বাঁহাতি ওপেনার।

২৫ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। রিশাদ হোসেনের দুর্দান্ত ফিল্ডিং আর থ্রোতে রান আউট হয়ে ফেরার আগে করে যান ৩৭ বলে ৭৫ রান। জাকের ক্যাচ ছাড়ার পর অভিষেকের ব্যাট থেকে এসেছে আরও ৬৮ রান। শেষ পর্যন্ত ভারত ৬ উইকেটে ১৬৮ রান করার পর দুবাইয়ে কাল বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ জিতেছে ৪১ রানে।

জাকেরের ওই ক্যাচ মিসই কি তাহলে বদলে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা জাকের বলেছেন, ‘আপনি বলতে পারেন। কারণ সে এরপর দ্রুত রান তুলেছে।’ ক্যাচটা তাঁর ধরা উচিত ছিল বলেও মনে করেন জাকের, ‘আসলে এটা রেগুলেশন ক্যাচ ছিল। এই পর্যায়ের ক্রিকেটে এটা ধরা উচিত। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু বলটা পড়ে গেছে।’

রানআউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় জাকের আলীকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ