Prothomalo:
2025-11-17@08:29:22 GMT

স্বরগুলোর সময়ে রচিত

Published: 10th, August 2025 GMT

নবী, নবী, নবী উন্মাদ তরিটিকে ধরে রাখো

এই মাসের হাড় গলিয়ে দিয়েছে বিঘ্নিত বছরগুলো

রাশিদের ভেতর পুড়ছে

অভিযোগ, শোক, ধর্মসংস্থাপনের বীর্য, উলঙ্গ

শতকগুলো, ভবিষ্যতের সুখী প্রবাহন

জ্ঞানের চূড়ায় দাঁড়ানো যোনি, সঙ্গমের

তূর্যে শূন্যতা, ক্ষয়ে পুড়ে যেতে থাকা দিন

উজ্জীবনের আদেশ

যা কিছু অর্জিত হয়েছে, হাতিগুলো রূপান্তরিত হয়েছে কুঠারে

তাদের দাঁতগুলো অবিস্মরণের প্রথম প্রবেশপথ।

সবল পরিবর্তন করে নিজের রাহু,

বিক্রি করে নিজের ছন্দ-উৎসার থেকে অর্জিত পুরাকথা

সম্ভব হলো, তোমাকে আগমন

বৃদ্ধা দুঃখের কোলে, বাণিজ্য তরণিতে

তারা রূপান্তরজীবী অশোধিত শিকারিরা

শোনায় কী পথ

এক শ কোটি আগুনের কুণ্ডলী পেরিয়ে

সম্ভাষণ করে কিন্তু সর্বস্ব অজানা?

যেখান থেকে ঘাসের জমি শুরু হয়, যেখানে ভাষা পায়

বিষুব ভ্রূণ, যেখানে জেগে ওঠে বিষহরা দিক-

চক্রবাল

জরায়ু থেকে ধর্মান্তরিত কচ্ছপদের পেছনে ছোটে

উৎসহীনতার ঘড়িতে পড়া আলোর বিচ্ছুরণ

বিজ্ঞানের পতনে ভাষা পায় বাকহীন বীজরাশি, এই মাসে

স্বপ্নহীন নিশুত স্বপ্নে সব মাস জড়ো হচ্ছে

তরণিটিতে।

আমাকে জড়িয়ে আছে ফুল, যার অবয়ব অপরিচিত

হয়ে ছড়িয়ে আছে ইতিহাসজুড়ে, অক্ষমতার

বালিগৃহে পুরুষ এসে কানাকানি করে

নারীর বালিস্তনে, দুর্ভিক্ষের শস্য শুরু হয়, হাওয়ার

লিঙ্গহীন বেদনা, তাদের ফিসফাস আমার যৌনতা,

অতল, প্রস্বর রাজত্ব থেকে তারা আমাকে ফলবান করে

লাল মরণশীলতার স্বাদে, এরপর সৃষ্টি

হয়েছে সেই গাছ

একাকী বাসের বিচ্ছিন্নতায়, লাল অনুভূতি

তার দিকে নিয়ে যাচ্ছে মরণ

যেখান থেকে পুনরুত্থান হয় ব্রহ্মাণ্ডের, যার

পাথরে লিপিবদ্ধ

সব গতি

আমাকে ছেড়ে যায় অননুভূত ঘূর্ণি তার।

সেই অধীর অজ্ঞান স্বর্গের শিখরে উঠেছি আমি, যেখানে সমতল

চাকমা রানীর তুলোকরের উল্টো

হয়ে যায়, আগন্তুকেরা আমার রাত্রি যাতে গতিশীল

চাকায় অনবরত নির্বাসিত বৃষ্টিতে কুরে কুরে.

..

অলংকার, তৈজসের মাপে বানানো প্রাসাদ।

স্পেনের এক নাজারতে গাভিচালকের

জন্ম হয়

বালিঘাস পানরত ঘোড়ার অজ্ঞান চোখে, পাখিদের

জলচেরা চঞ্চুতে বেড়ালের সঙ্গমে ফুটে ওঠা

তারার হিলিয়ামে আমার সমগ্রতায়

এই লাল জাহাজে জমা তুলোর যোনি।

বিষুব সূর্য পূর্ণকারী শিহরণের টিনের বালিয়াড়িতে আমার

হারানো প্রতিদ্বন্দ্বিরা আসে, শূন্যতার

অবতলে গড়ে ওঠা

শিলা আর পদার্থের মাঝে

আগুন দিয়ে নির্মিত স্বর্গে, অলংকার থেকে খসে পড়া

ফরিশি রানীর আগুনের চূর্ণ।

তোমার সীমানার শেষ শিখরে ক্ষমতা

কালির লাল লিঙ্গকুঠার

আমার স্বপ্ন দিয়ে চার দিকস্তম্ভে

নিয়ম, সিংহ দিয়ে সিংহকে যারা শিকার

করে?

তোমার ভেতরে সিংহদের অসূর্যস্পর্শ কেশর, যেখানে

এসে জড়ো হচ্ছি আমি, নিকেলের মাঝে

ঝলসানো কণ্ঠস্বর, দূর দূর ব্যাপ্তির শিখরে

আমার স্থান জলের অবনমিত তূর্যধ্বনিতে, আগুন

থেকে ফিরে আমি দেখি, তারাও স্তোত্রকে হারায়

নিয়ম জাগিয়ে তোলে ঘন উজ্জ্বলতার অসূর্য স্মৃতিতে।

তামার পাখিরা আমার ভেতর তাদের গাছ নির্মাণ করে

এক তরঙ্গের মাঝে আমি চিনতে পারি ভোরবেলার দেবদূতদের

ওই তাদের ডানাদের মাঝে ঝলসানো এই গ্রহ

মুসার কাছে অভিযুক্ত তার ভাইয়ের দুই পুত্র, আর অধিকার

জানাতে আসা দুই নারী,

তাদের ধ্বনিতরঙ্গ সৃষ্টি করেছে আমাকে, মিলিত শূন্যতার

গহ্বরে।

স্পেনের রানি, সভাসদদের যোনিতে তার অলংকারের

লিঙ্গতে সূচনা করেছে ঘোড়াদের

রাত্রির মাঝে জলের অলঙ্ঘনীয়তায় ডুবে যাওয়া কেশর

ক্ষমতার গঠন সাদৃশ্যে, পাখিদের ডানার ঘর্ষণে গড়া বাতাসের দেহে

এসে মিলে যাচ্ছে সব অভিযোগ,

স্বপ্নে, সূচনাবিন্দুতে, উটের কুঁজে জন্ম নিচ্ছে

উত্থানের নিয়ম

বৃষ্টিধ্বনির কেশরের মাঝে এবং আমি সিংহাসনের

অবতলে।

মরুভূমির স্বপ্ন, উটের কুঁজে বিদ্ধ সিংহাসন, রাজাদের উত্থানের

নিয়ম

ক্ষমতার গঠন সাদৃশ্যে, পাখিদের ডানার ঘর্ষণে গড়া বাতাসের দেহে

অভিযুক্ত দুই নারী সেদ্ধ করে গাছেদের বীজ, হারুনের

দুই ভষ্ম পুত্রদের পাথরে জন্ম নিয়েছে এই পথ

বীর্যহীন বেদিতে বৃষ্টিধ্বনির স্বর, প্রতিধ্বনির

সেই গাছ নির্মাণ করে পাখিরা

পরিখার পাড়ে আমার স্বপ্নেরা বারবার পুনর্বয়িত হয়

প্রতিজ্ঞাহীন স্বর্ণবিন্দু, দানা দানা অনুজ্ঞায় সমর্পিত

এই বাস্তবের অন্য অর্থ পিঁপড়েদের খাদ্যবস্তু, ঘাসের

প্রাসাদ থেকে আসে তারা কোরাসের ঘূর্ণিত কেন্দ্রে হাওয়া,

বাতাসের দেহ, ক্ষমতার মরুভূমি

উত্থানের যোনিতে

আমাকে বিস্মরণ গাছের অন্ধকার জাগরণে মেরে ফেলে।

আমার চার মহাদেশে উজ্জ্বল চার যবনিকা, জরায়ুর

অন্তর্দেশে যা শুরু হয়েছিল, দ্রুতগতির সেই বিশ্ব, আয়নার

মাঝে তাকে ঘিরে ঘনিয়ে ওঠা বীজরাশি, স্বপ্ন, অগম্য

দিশার মাঝে জ্বলা বাণী।

আমাকে তারা ধ্বংস করে দেয়, প্রশ্নের উত্তরে যেখানে নীরবতা

ঘড়িকে ঢেকে রাখা সময়, এর ভেতর দেশগুলো নিজেদের

নির্মাণ করে, সব দিকে ডানা মেলে সময়কাটারা, রাত্রি

এবং দিন, বিষুব চিতা একই সাথে অমরতার দানিয়ুব

নারীদের কণ্ঠধ্বনির স্রোত পুনরুজ্জীবিত করেছে নদীকে।

সব উন্মীলনে, অনাহূত নিশানা ওই নিজেকে

ঘিরে প্রতিকৃতি,

ঘড়ির কপোলে গজিয়ে ওঠা চুল সৌরবর্ষের পিতা

দোদুল্যমান সেই চুল অনবধান চন্দ্রবছর, গোত্র-

দের সংকীর্তনে আমাকে পৌঁছে দিয়েছে

অকথিত বাক্যে, যেখানে শুরু হচ্ছে সমস্ত বেদি

তারহীন তরঙ্গে নারীরা জরায়ুর চারটি মহাদেশ, পশু, রাশিদের

প্রত্যাদেশে জ্বলা সূর্য

কর্কট আর ঘড়ির শ্রমণেরা

আগুনের পদতলে জেগে ওঠে ভাঙা লিঙ্গে।

বাতাসের স্তরগুলোর মাঝে সমুদ্রের নিরাবরণ স্থিরতায়

সূর্য আর গাছেদের ধাতব শিকড় আর আমার দর্শন

তাদের অঙ্গাঙ্গি ধাপে জড়িয়ে থাকা আকাশে

শেওলায় জড়িয়ে গেছে আমার পা–জোড়া।

মুক্তো, শামুকের নদী, প্রতিকৃতির ধাপ

গহনার ব্যাবিলনীয় চূড়ায়, যেখানে সূর্যরা

আমাকে রেখে চলে যায় ভাষাহীন মহাবিশ্বের খোঁজে

পাহাড় যে সূর্যে স্বপ্নের শিষের সাত দেবদূত

ইউসুফের পরিত্যক্ত ভাইদের জন্য কাকের নরদেহে

মজুত খাদ্যগুদাম, বহুস্তর পথ

শয়তানের হৃদয় থেকে জ্ঞানের দুর্ভিক্ষের দিকে

এই যাত্রাগুলোর মাঝে

ইস্পাতের উজ্জ্বলতায় ফুটে উঠছে গোলাপের সমুদ্র।

সহস্র গ্রহ দিয়ে তৈরি হয়েছে এই বাতিগুলো, সূর্য

বিস্মরণ আর পথ, সংক্রমণশীল আর আমার ভেতর

হারিয়ে যাওয়া সময়, অন্ধকার ভাষায় গ্রথিত

ইতিহাসের মাঝে বাঘেদের সিংহাসন আর মেঘেদের তরোয়াল

ধীরে ধীরে আমার ব্রোঞ্জের কাঠগুলো,

স্বরের মাঝে হারিয়ে যাওয়া পৃথিবী আর বস্তু।

অ্যামারাল্ডের ধর্মগ্রন্থ, নবীদের স্বর্ণের স্তন দিয়ে নির্মিত

জ্ঞান, যার মাঝে ভিড়েছি আমি আর অভিজ্ঞতা

আর এই নারী, তার স্তন হারিয়ে গেছে স্বপ্নে, স্বর্ণের

ছুরি আর আমার হৃদয়ে

প্রশ্নদের বহুমুখ প্রাণীর চারদিকে

ধোঁয়ায় ঘিরে রাখা মহাবিশ্ব

তাদের লিঙ্গ ফেলে গেছে বলিদান, আমার প্রত্যাখ্যাত

প্রেম, যে রসায়ন দিয়ে তৈরি হয়েছে ঘাম, শূন্যতা

আর হারিয়ে যাওয়া স্তনের মাঝে স্মৃতি

বিস্মরণহীন

আমাকে রক্ষা করে উত্তর

আশ্চর্য আর বিস্মরণের পথে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ষমত র ব স মরণ ধ বন র শ ন যত র ভ তর আম র স র আম র

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বের সেরা কর্মস্থল হিলটন হোটেল, সেরা তালিকায় আছে মেটলাইফ

আধুনিক মানুষের দিনের বড় একটা সময় যায় কর্মস্থলে। ফলে সেই কর্মস্থলের পরিবেশ কেমন, কর্তৃপক্ষ কর্মীদের কথা কতটা ভাবছে—এ সবকিছু এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে।

সম্মান, নিরাপত্তা, উন্নতির সুযোগ ও কাজের অর্থবহতা আছে—মানুষ সাধারণত এমন কর্মস্থলই চায়। এসব মানদণ্ডের ভিত্তিতে ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের সেরা কর্মস্থলের তালিকা প্রকাশ করে থাকে। তারা মূলত বিশ্বের সেরা ২৫ কর্মস্থলের তালিকা করে। সেই তালিকায় সবার ওপরে আছে হিলটন হোটেল। মূলত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে নিয়ে এই জরিপ ও তালিকা করা হয়েছে।

এবারের তালিকায় ২৫টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি যুক্তরাষ্ট্রের। অন্যগুলো বিভিন্ন দেশের, মূলত ইউরোপের। কোম্পানিগুলোর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে—২৫টি কোম্পানির মধ্যে ৮টি এই খাতের। এ ছাড়া নির্মাণ, জৈব ওষুধ, উৎপাদন, কুরিয়ার, আর্থিক ও পেশাদার সেবা দেওয়া কোম্পানিগুলোও তালিকায় আছে।

সেই বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি কোম্পানি হলো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জীবনবিমা কোম্পানি মেটলাইফ। ২০২৫ সালে দশম স্থান অর্জন করে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ বৈশ্বিক স্বীকৃতি ধরে রাখল কোম্পানিটি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম রয়েছে।

৯০ লাখের বেশি উত্তরের ওপর ভিত্তি করে ফরচুনের সেরা ২৫টি কর্মক্ষেত্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জরিপ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী আড়াই কোটি কর্মীর কাজের অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরা হয়েছে।

এ বিষয়ে মেটলাইফের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মিশেল খালাফ বলেন, ‘টানা দ্বিতীয় বছরের মতো বিশ্বের সেরা কর্মস্থলের তালিকায় স্থান পাওয়া কর্মীদের নিষ্ঠা ও উদ্যোগের প্রমাণ।’

কারা আছে তালিকায়

দেখে নেওয়া যাক এবারের তালিকায় কোন কোন দেশের কোম্পানি আছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে কুরিয়ার ও যাতায়াত খাতের কোম্পানি ডিএইচএল। তৃতীয় স্থানে আছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি সিসকো। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রে। চতুর্থ স্থানে আছে পেশাদার সেবা দেওয়া আইরিশ কোম্পানি অ্যাক্সেনচিউর, পঞ্চম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বিশ্বখ্যাত হোটেল ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল। ষষ্ঠ স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব ওষুধ কোম্পানি অ্যাব ভিয়ে, সপ্তম স্থানে আছে ফ্রান্সের পেশাদার সেবা দেওয়া কোম্পানি টিপি। অষ্টম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনভিত্তিক কোম্পানি স্ট্রাইকার, নবম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি সেলস ফোর্স।

দশম স্থানে আছে মার্কিন বিমা কোম্পানি মেটলাইফ, ১১তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি সার্ভিস নাউ। ১২তম স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রেতা কোম্পানি স্পেকসেভার্স। ১৩তম স্থানে আছে জার্মানির স্বাস্থ্যসেবা কোম্পানি সিমেন্স হেলদিনেস; ১৪তম স্থানে আছে আইরিশ তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এক্সপেরিয়েন। ১৫তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এনভিডিয়া, ১৬তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি কেডেন্স। ১৭তম স্থানে আছে জার্মানির বিমা ও আর্থিক কোম্পানি আলিয়াঞ্জ এবং ১৮তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতের কোম্পানি ডাও।

১৯ থেকে ২১তম স্থানে আছে তিনটি মার্কিন কোম্পানি। ১৯তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব ওষুধ কোম্পানি ভিয়াট্রিস, ২০তম স্থানে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাডোবি, ২১তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি ক্রাউডস্ট্রাইক।

২২ ও ২৩তম স্থানেও আছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কোম্পানি—উৎপাদন খাতের এসসি জনসন ও খুচরা বিক্রয় খাতের ট্রেক বাইসাইকেল। ২৪তম স্থানে আছে লিচেনস্টাইনের নির্মাণ কোম্পানি হিলতি ও ২৫তম স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের বিমা ও আর্থিক খাতের কোম্পানি অ্যাডমিরাল গ্রুপ।

কীভাবে এই মূল্যায়ন

৩০ বছর ধরে এই জরিপ পরিচালনা করছে ফরচুন ম্যাগাজিন। সারা বিশ্বের কর্মীদের কাছ থেকে তারা জানতে চায়, কর্মস্থলে তাঁদের অভিজ্ঞতা কেমন। এই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তারা কিছু মানদণ্ড তৈরি করে। সেই মানদণ্ডের ভিত্তিতে বোঝা যায়, কোনো কর্মস্থল প্রকৃত অর্থেই ‘দারুণ’ কি না। সেই সঙ্গে কর্মীরা সে প্রতিষ্ঠানে থাকতে চান কি না, প্রতিষ্ঠান কত দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে ও তার সামগ্রিক ব্যবসায়িক সাফল্য কতটা মিলবে—এসব বিষয়েও ধারণা পাওয়া যায় জরিপে।

ফরচুন ম্যাগাজিন নিজস্ব ট্রাস্ট ইনডেক্স বা আস্থাসূচক তৈরি করেছে। ব্যবস্থাপনার প্রতি কর্মীদের আস্থা কতটা, সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ও কোম্পানির প্রতি কর্মীদের আনুগত্য কতটা—এসব আস্থাসূচকের মাধ্যমে এসব বিষয় পরিমাপ করা হয়।

এ জরিপে কর্মীরা গোপনীয়তার সঙ্গে তাঁদের মতামত জানাতে পারেন। ৬০টি বিষয়ের ওপর ৫ পয়েন্টের ভিত্তিতে উত্তর দিতে হয়, সঙ্গে থাকে ২টি উন্মুক্ত প্রশ্ন।

কর্মীদের কাছ থেকে যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়, সেগুলো হলো নেতৃত্বের কাছে কি সহজে যাওয়া যায়, নেতৃত্ব সততা ও স্বচ্চতার সঙ্গে কথা বলেন ও কাজ করেন কি না, নেতৃত্বের কথা ও কাজে মিল আছে কি না। সেই সঙ্গে কর্মীরা ব্যক্তিগতভাবে সম্মানিত বোধ করেন কি না এবং তাঁদের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কতটা। নেতৃত্ব কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানান কি না এবং কর্মীদের সুস্থতা বজায় রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না। এ ছাড়া কর্মীদের অবদান রাখার সুযোগ আছে কি না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়।

জরিপে কর্মীদের কাছে আরও যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয় সেগুলো হলো:

বেতন, মুনাফা, পদোন্নতি, স্বীকৃতি ও সুযোগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কতটা ন্যায়সংগত;

কর্মীরা নিজেদের কাজ, কর্মদল ও প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্ব বোধ করেন;

কাজ অর্থবহ এবং তা পরিবর্তন আনতে সহায়তা করে;

সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে;

কর্মীরা নিজেদের মতো করে কাজ করতে পারেন।

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অভিজ্ঞতার ভিন্নতা কতটা, তা–ও জরিপে পরিমাপ করা হয়। কর্মীদের অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা ও গুণগত মানও মূল্যায়ন করা হয়। এভাবে প্রতিটি ধাপে কঠোর মানদণ্ড মেনে এই তালিকা করা হয় বলে জানিয়েছে ফরচুন ম্যাগাজিন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ