দুবার জীবন পেয়ে ডেভিডের ৮৩, জিতেছে তাঁর দলই
Published: 10th, August 2025 GMT
দুই ম্যাচ আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলেন টিম ডেভিড। সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়ার দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সেই ডেভিড আজ দ্বিতীয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। দুবার জীবন পেয়েও সেটি কাজে লাগাতে না পারা ব্যাটসম্যান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফিরেছেন ৮৩ রান করে।
তবে জিতেছে ডেভিডের অস্ট্রেলিয়াই। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর ডারউইনে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ১৭৮ রানে অলআউট হয়। রান তাড়ায় ৯ উইকেটে ১৬১ রানে থেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৭ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গলবার একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।
তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ডেভিড যখন উইকেটে আসেন ৩০ রানে ৩ উইকেট নেই অস্ট্রেলিয়ার। শুরুতে ক্যামেরন ডেভিডকে নিয়ে ঝড় তোলেন। ডেভিড-গ্রিন চতুর্থ উইকেটে ১৬ বলেই যোগ করেন ৪০ রান।
দলকে ৭০ রানে রেখে গ্রিনের বিদায়ের পর আর ৫ রান যোগ হতেই বিদায় নেন মিচেল ওয়েন ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। বেন ডোয়ারশুইসকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটা এরপরই গড়েন ডেভিড। সপ্তম উইকেটে ৪২ বলে ৫৯ রান যোগ করেন দুজন। যে জুটিতে ডোয়ারশুইসের অবদান ছিল মাত্র ১৭।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেছেন রায়ান রিকেলটন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।