গল্লামারী মৎস্য খামার দখল করে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ হল’ ঘোষণা
Published: 10th, August 2025 GMT
গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের কার্যালয় দখল করে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ হল’ ঘোষণা করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিনের দাবি আদায়ের আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা এ ঘোষণা দেন।
রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে মৎস্য বীজ খামারের কার্যালয়ে যায়।
সেখানে সমাবেশ শেষে তারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১০ মিনিটের আল্টিমেটাম দিয়ে বের হয়ে যেতে বলেন। পরে কর্মকর্তারা চলে গেলে মূল ভবনে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ হল’ লেখা ব্যানার টাঙিয়ে দেন।
আরো পড়ুন:
জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিসের অনুমোদন বাতিলে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
সরকারি খামারকে ‘মীর মুগ্ধ হল’ ঘোষণা করল খুবির শিক্ষার্থীরা
এ সময় তাদের ‘দাবি নয়, অধিকার, মৎস্য ভবন দরকার’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে তারা বিকেল ২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থী সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার ভেতরে অবস্থিত ১০.
এর আগে, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে শিক্ষার্থীরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিবের কাছে স্মারকলিপি দেন এবং মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনায় জমি হস্তান্তরের অনুরোধ জানায়।
চলতি বছরের মার্চে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এ দাবিকে যৌক্তিক উল্লেখ করে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে এখনো বিষয়টি অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
ঢাকা/হাসিব/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র ম গ ধ হল মৎস য
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ কোরিয়ায় কমছে পুরুষ, আকারে ছোট হচ্ছে সামরিক বাহিনী
বিশ্বে সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। এর ওপর আবার দেশটির সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার উপযুক্ত বয়সী পুরুষের সংখ্যা দ্রুত কমছে। এর জেরে গত ছয় বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর আকার ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে বাহিনীতে সেনার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার।
আজ রোববার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীতে পুরুষের সংখ্যা কমায় কর্মকর্তা পর্যায়ের সদস্যে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এমনটি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে কোনো অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর আকার কমতে শুরু করে চলতি শতাব্দীর শুরু থেকে। তখন বাহিনীতে ৬ লাখ ৯০ হাজার সদস্য ছিলেন। ২০১০-এর দশকের শেষের দিকে এই কমার গতি বাড়তে থাকে। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, তখন সামরিক বাহিনীতে প্রায় ৫ লাখ ৬৩ হাজার সক্রিয় সেনা ও কর্মকর্তা ছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে হয়। দেশটির সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দেশটিতে ২০ বছর বয়সী পুরুষের সংখ্যা ৩০ শতাংশ কমেছে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে এই বয়সে বেশির ভাগ পুরুষ সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন। তাঁদের ১৮ মাস সামরিক বাহিনীতে থাকতে হয়।
১৯৫৩ সালে যখন কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হয়েছিল, ওই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার একজন সক্ষম ব্যক্তিকে ৩৬ মাস পর্যন্ত সামরিক বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করতে হতো। দেশটির সামরিক বাহিনী বলেছে, সামরিক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে তাদের সক্ষমতা বেড়েছে। তাই সেনাসদস্যদের বাহিনীতে থাকার মেয়াদ কমানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক রয়েছে। উত্তর কোরিয়ায় প্রায় ১২ লাখ সক্রিয় সেনাসদস্য রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রয়োজনের তুলনায় তাদের ৫০ হাজার সেনাসদস্য কম রয়েছে। আর নন-কমিশন্ড অফিসার পদে ঘাটতি রয়েছে ২১ হাজার জনের।