আওয়ামী লীগ আমলের প্রভাবশালী দুজন চিকিৎসক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাঁদের একজন আওয়ামী লীগ–সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান। অন্যজন স্বাচিপের সাবেক সহসভাপতি অধ্যাপক মো. শামিউল ইসলাম। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, দুজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের সময় মো.

শামিউল ইসলাম জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের কিছুদিন পর তাঁকে ওএসডি করা হয়। আজ রোববার ১০ আগস্ট তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার। সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মো. শামিউল ইসলামের সরকারি চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাঁকে জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, অধ্যাপক মো. শামিউল ইসলামের বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) থাকার সময় তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল।

এর আগে ৬ আগস্ট বাধ্যতামূলকভাবে অবসরে পাঠানো হয় অধ্যাপক মো. কামরুল হাসানকে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের সময় অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ছিলেন। যোগ্যতা না থাকার পরও তাঁকে ওই পদে বসানো হয়েছিল। অভিযোগ আছে, স্বাচিপের মহাসচিব হওয়ার পর প্রভাব খাটিয়ে তিনি ওই পদে বসেন।

সরকার পতনের পর মন্ত্রণালয় তাঁকে ওএসডি করে। তাঁরও চাকরিও ২৫ বছর হয়েছে। তাঁকেও ‘জনস্বার্থে অবসরে’ পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র প আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ আমলে ওসি থাকা ৯ পুলিশ পরিদর্শককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) পদমর্যাদার ৯ জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। বিগত সরকারের সময় তাঁরা বিভিন্ন থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাসিমুল গনি এসব প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন।

অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন বগুড়ার এপিবিএন ৪–এর পুলিশ পরিদর্শক শিকদার মো. শামীম হোসেন, সিআইডি কন্ট্রোল রুমের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল লতিফ, নারায়ণগঞ্জ জেলার রিজার্ভ অফিসের পুলিশ পরিদর্শক এস এম কামরুজ্জামান, সিআইডি নরসিংদীর পুলিশ পরিদর্শক আ. কুদ্দুছ ফকির, ট্যুরিস্ট পুলিশের মুন্সিগঞ্জ ও পদ্মা সেতু জোনের পরিদর্শক মামুন অর রশিদ, সিআইডির মৌলভীবাজারের পুলিশ পরিদর্শক নুরুল ইসলাম, নৌ পুলিশে কর্মরত যমুনা সেতু-পূর্ব নৌ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. কামাল হোসেন, কুলাউড়া রেলওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. সেলিমুজ্জামান এবং টাঙ্গাইলের মধুপুর সার্কেল অফিসের পুলিশ পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক।

৯ জনকেই সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী অবসরে পাঠানো হয়। আইনের ওই ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর যেকোনো সময় সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে কোনো কারণ না দর্শিয়ে তাঁকে চাকরি থেকে অবসর দিতে পারবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইনের বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। বিধি অনুযায়ী তাঁরা অবসরজনিত সুবিধা পাবেন। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার কাজী মনিরুজ্জামান সাময়িক বরখাস্ত

অসদাচরণ ও পলায়নের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপকমিশনার কাজী মনিরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শিগগিরই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে যাচ্ছে।

সূত্র জানিয়েছে, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার কাজী মনিরুজ্জামান বর্তমানে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত রয়েছেন। তিনি বিনা অনুমতিতে গত বছরের ২৫ নভেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। যার ফলে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণ ও পলায়নের শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাঁকে ওই তারিখ থেকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। তবে সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি খোরপোশ ভাতা পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এ বছরই ওয়ানডে থেকেও অবসর নিতে পারেন কোহলি–রোহিত
  • আওয়ামী লীগ আমলে ওসি থাকা ৯ পুলিশ পরিদর্শককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার