স্মার্টফোনে যেকোনো কাজই টাচ স্ক্রিন বা স্পর্শনির্ভর পর্দার মাধ্যমে করতে হয়। ফলে টাচ স্ক্রিন ভালোমতো কাজ না করলে নিয়মিত কাজে ব্যাঘাত ঘটে। ফোনের টাচ স্ক্রিন ট্যাপ বা সুইপ করলে কাজ না করা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। সফটওয়্যারের ত্রুটি, অতিরিক্ত ভারী অ্যাপ চালানো, পর্যাপ্ত ধারণক্ষমতার অভাব বা দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ফোনের টাচ স্ক্রিন ঠিকমতো কাজ করে না। ফোনের টাচ স্ক্রিনের সমস্যা সমাধানের উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।

১.

ফোর্স রিস্টার্ট করা

টাচ স্ক্রিনের সমস্যা সমাধানে ফোন ফোর্স রিস্টার্ট করা বেশ কার্যকর। ফোর্স রিস্টার্টের ফলে ফোনের মেমোরি রিফ্রেশ হয় এবং অনেক সময় স্ক্রিনের হ্যাং হয়ে যাওয়া সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফোর্স রিস্টার্ট করার জন্য পাওয়ার ও ভলিউম ডাউন বাটন একসঙ্গে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড চেপে ধরতে হবে। আইফোনের ক্ষেত্রে প্রথমে ভলিউম আপ, তারপর ভলিউম ডাউন চেপে পাওয়ার বাটন ধরে রাখতে হবে যতক্ষণ না অ্যাপলের লোগো দেখা যায়।

২. চার্জ করা

কখনো কখনো ব্যাটারি সমস্যার কারণে স্ক্রিন হ্যাং করতে পারে। এ সময় ফোন চার্জে দিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। কিছুটা চার্জ হলে আবার ফোর্স রিস্টার্টের চেষ্টা করতে হবে।

আরও পড়ুনস্মার্টফোনের নেটওয়ার্ক সমস্যা সমাধানের ৫ পদ্ধতি২৬ মে ২০২৫৩. সেফ মোড চালু

তৃতীয় পক্ষের কোনো অ্যাপ সমস্যার জন্য দায়ী হলে ফোন সেফ মোডে চালু করে দেখা যেতে পারে। সেফ মোডে কেবল ডিফল্ট সিস্টেম অ্যাপ চালু হয়। এ অবস্থায় ফোন ঠিকঠাক কাজ করলে সম্প্রতি ইনস্টল করা অ্যাপগুলো মুছে ফেলতে হবে।

৪. ফোনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ

চার্জ করার সময় বা দীর্ঘ সময় গেম খেলার পর ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে স্ক্রিন ঠিকমতো কাজ করে না। আর তাই ফোন কিছুক্ষণ বন্ধ করে ঠান্ডা ও শুকনো জায়গায় কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। ফোন ঠান্ডা হলে আবার চালু করতে হবে।

আরও পড়ুনস্মার্টফোন মেরামত করতে দেওয়ার আগে যে ৫ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে১৪ জানুয়ারি ২০২৫৫. ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি

ধারণক্ষমতা প্রায় পূর্ণ হয়ে গেলে ফোন ধীরগতিতে কাজ করার পাশাপাশি অনেক সময় স্ক্রিন ঠিকমতো কাজ করে না। এ ক্ষেত্রে ফোনে থাকা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ, ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলতে হবে। এরপর অ্যাপ ক্যাশ ও অস্থায়ী ফাইল মুছে ফোন রিস্টার্ট করতে হবে।

৬. ফ্যাক্টরি রিসেট

ফ্যাক্টরি রিসেট করলে ফোনে থাকা সব তথ্য মুছে যাওয়ায় বিভিন্ন ত্রুটিযুক্ত সফটওয়্যার, ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তবে ফ্যাক্টরি রিসেট করলে ফোনে থাকা সব তথ্য মুছে যায়। তাই ফ্যাক্টরি রিসেট করার আগে অবশ্যই ফোনের সব তথ্য আলাদা জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে।

সূত্র: নিউজ১৮

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র স ট র ট কর ক জ কর সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

সকালে এক গ্লাস নাকি চার গ্লাস পানি পান করা ভালো

সকালে খালি পেটে পানি পান করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়, একথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কত গ্লাস পানি পান করা ভালো সে কথা জানেন?  সেই প্রসঙ্গে আসছি, তার আগে বলে নেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে পানি পান করলে  ঠিক কোন কোন উপকার পাওয়া যায়।  অল্প কিছু বিষয় মেনে চললে সকালে খালি পেটে পানি পান করে সুস্থ-সবল থাকার পথে একধাপ এগিয়ে যেতে পারেন। জেনে নিনি বিস্তারিত—

এক. সকালে পানি পান করলে পাকস্থলী পরিষ্কার হয়। এই অভ্যাস অনেক রোগের ঝুঁকি কমায়। পরিপাকক্রিয়া থেকে সঠিকভাবে নানা পুষ্টি উপাদান গ্রহণে শরীরকে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে পানি পান করলে হজমশক্তি বাড়ে। আর এটা তো জানা কথা, হজমশক্তি ভালো হলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যাই দূর হয়।

আরো পড়ুন:

যেসব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস জীবন বদলে দিতে পারে

লিভার ডিটক্সিফিকেশনের জন্য সাপ্লিমেন্ট খাওয়া কী জরুরি?

দুই. সকালে খালি পেটে  পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর থাকে। রক্ত থেকে ‘টক্সিন’ বা বিষাক্ত নানা উপাদান দূর করে পানি।নতুন রক্ত কোষ এবং পেশি কোষ জন্মানোর প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

তিন. খালি পেটে পানি পান করলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

যেভাবে পুরোপুরি সুফল পাবেন

বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকালে পানি পান করার পারেই খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়।

মনে রাখবেন,  প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি পান করেই অনেক উপকার পেতে পারেন। আরও ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিন সকালে গড়ে চার গ্লাস পানি (প্রায় এক লিটার) পানি পান করতে পারেন।

প্রথম দিকে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে একটু সমস্যা হতে পারে। তবে চেষ্টা করলে  এটা অনেক কিছুদিনের মধ্যে এই অভ্যাস আয়ত্বে চলে আসবে। এবং এর নানা উপকারিতাও বুঝতে পারবেন।

সূত্র: ওয়েবএমডি

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ