স্মার্টফোনের টাচ স্ক্রিনের সমস্যা সমাধানের ৬ উপায়
Published: 11th, August 2025 GMT
স্মার্টফোনে যেকোনো কাজই টাচ স্ক্রিন বা স্পর্শনির্ভর পর্দার মাধ্যমে করতে হয়। ফলে টাচ স্ক্রিন ভালোমতো কাজ না করলে নিয়মিত কাজে ব্যাঘাত ঘটে। ফোনের টাচ স্ক্রিন ট্যাপ বা সুইপ করলে কাজ না করা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। সফটওয়্যারের ত্রুটি, অতিরিক্ত ভারী অ্যাপ চালানো, পর্যাপ্ত ধারণক্ষমতার অভাব বা দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ফোনের টাচ স্ক্রিন ঠিকমতো কাজ করে না। ফোনের টাচ স্ক্রিনের সমস্যা সমাধানের উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
১.ফোর্স রিস্টার্ট করা
টাচ স্ক্রিনের সমস্যা সমাধানে ফোন ফোর্স রিস্টার্ট করা বেশ কার্যকর। ফোর্স রিস্টার্টের ফলে ফোনের মেমোরি রিফ্রেশ হয় এবং অনেক সময় স্ক্রিনের হ্যাং হয়ে যাওয়া সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফোর্স রিস্টার্ট করার জন্য পাওয়ার ও ভলিউম ডাউন বাটন একসঙ্গে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড চেপে ধরতে হবে। আইফোনের ক্ষেত্রে প্রথমে ভলিউম আপ, তারপর ভলিউম ডাউন চেপে পাওয়ার বাটন ধরে রাখতে হবে যতক্ষণ না অ্যাপলের লোগো দেখা যায়।
২. চার্জ করাকখনো কখনো ব্যাটারি সমস্যার কারণে স্ক্রিন হ্যাং করতে পারে। এ সময় ফোন চার্জে দিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। কিছুটা চার্জ হলে আবার ফোর্স রিস্টার্টের চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুনস্মার্টফোনের নেটওয়ার্ক সমস্যা সমাধানের ৫ পদ্ধতি২৬ মে ২০২৫৩. সেফ মোড চালুতৃতীয় পক্ষের কোনো অ্যাপ সমস্যার জন্য দায়ী হলে ফোন সেফ মোডে চালু করে দেখা যেতে পারে। সেফ মোডে কেবল ডিফল্ট সিস্টেম অ্যাপ চালু হয়। এ অবস্থায় ফোন ঠিকঠাক কাজ করলে সম্প্রতি ইনস্টল করা অ্যাপগুলো মুছে ফেলতে হবে।
৪. ফোনের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণচার্জ করার সময় বা দীর্ঘ সময় গেম খেলার পর ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে স্ক্রিন ঠিকমতো কাজ করে না। আর তাই ফোন কিছুক্ষণ বন্ধ করে ঠান্ডা ও শুকনো জায়গায় কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। ফোন ঠান্ডা হলে আবার চালু করতে হবে।
আরও পড়ুনস্মার্টফোন মেরামত করতে দেওয়ার আগে যে ৫ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে১৪ জানুয়ারি ২০২৫৫. ধারণক্ষমতা বৃদ্ধিধারণক্ষমতা প্রায় পূর্ণ হয়ে গেলে ফোন ধীরগতিতে কাজ করার পাশাপাশি অনেক সময় স্ক্রিন ঠিকমতো কাজ করে না। এ ক্ষেত্রে ফোনে থাকা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ, ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলতে হবে। এরপর অ্যাপ ক্যাশ ও অস্থায়ী ফাইল মুছে ফোন রিস্টার্ট করতে হবে।
৬. ফ্যাক্টরি রিসেটফ্যাক্টরি রিসেট করলে ফোনে থাকা সব তথ্য মুছে যাওয়ায় বিভিন্ন ত্রুটিযুক্ত সফটওয়্যার, ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তবে ফ্যাক্টরি রিসেট করলে ফোনে থাকা সব তথ্য মুছে যায়। তাই ফ্যাক্টরি রিসেট করার আগে অবশ্যই ফোনের সব তথ্য আলাদা জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে।
সূত্র: নিউজ১৮
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র স ট র ট কর ক জ কর সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের শুল্ক শাস্তি, মোদির ভারতের সামনে সহজ কোনো পথ নাই
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের ভাবমূর্তি যেভাবে বাজারে প্রচার করতে পারেন, সেটা খুব কম নেতাই পারেন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি নিজেকে শক্তিশালী ও আরও আত্মপ্রত্যয়ী ভারতের নির্মাতা হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন। নরেন্দ্র মোদি ভারতের জোরালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য নিজের কৃতিত্ব দাবি করে এসেছেন। আর যখন পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে, তখন তিনি পূর্বসূরিদের দোষারোপ করেছেন। এক প্রজন্মের ভোটাররা বিশ্বাস করেছেন, বিশ্বমঞ্চে ভারতের মর্যাদা যে বেড়েছে, তার পেছনে রয়েছেন মোদি।
কিন্তু এরপরই দৃশ্যপটে ডোনাল্ড ট্রাম্প চলে এসেছেন। তিনি প্রচলিত নিয়মকানুন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজে অত্যন্ত সিদ্ধ। গত বুধবার তিনি বিশ্বের চতুর্থ অর্থনীতি ভারত থেকে আসা আমদানি পণ্যের ওপর অবিশ্বাস্যভাবে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। এটা কার্যকর হলে ভারতকে যেকোনো দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ শুল্ক দিতে হবে।
দুই ব্যক্তির মধ্যে আগের যে মধুর সম্পর্ক, সেই বিবেচনায় এই ঘোষণাকে চমকজাগানিয়া বলেই মনে হয়। মোদি ও ট্রাম্প দুজনেই আদর্শগত মিলের দিক থেকে জনতুষ্টিবাদী নেতা। এর আগে তাঁরা একে অপরের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন এবং এ বছরের জানুয়ারি মাসে ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর, বিশ্বনেতাদের মধ্যে মোদিই ছিলেন প্রথম দিককার একজন, যিনি হোয়াইট হাউসের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন। ফেব্রুয়ারি মাসেই ট্রাম্পকে তিনি ‘মহৎ বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন ডলার থেকে দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
কিন্তু ঝামেলা টগবগ করে ফুটতে শুরু করল জুলাইয়ের শেষ দিকে। সে সময়ে ট্রাম্প ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন, গত বুধবার সেটা দ্বিগুণ করেন। রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত যে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল কিনছে, সেটাকেই লক্ষ্যবস্তু করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ইউক্রেনের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য নির্ধারিত সময়সীমা রাশিয়ার নাকের ডগায় ঝুলছে।
দীর্ঘদিন ধরেই ভারত তার পররাষ্ট্রনীতিতে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন বজায় রেখে আসছে। কিন্তু এর জন্য যে মূল্য দিতে হয়, সেটা গত সপ্তাহেই দেখা গেল। এই শুল্ক ভারতের কাছে বার্তা দিচ্ছে যে যদিও দেশটির প্রভাব ও অর্থনীতির আকার বেড়েছে, কিন্তু কৌশলগত প্রাসঙ্গিকতা এখনো এমন পর্যায়ে পৌঁছায়নি, যেখানে দেশটি ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।নতুন শুল্ক ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। বাড়তি এই শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বা ব্যবসা সুরক্ষিত করবে, বিষয়টা এমনটা নয়। কিন্তু বাড়তি এই শুল্ক সেই দেশকে শাস্তি দেওয়া হবে, যে দেশটি এখন নিজেদের মোট আমদানির ৩৬ শতাংশ জ্বালানি তেলে রাশিয়া থেকে আমদানি করে। অথচ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের আগে সেটি ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। সস্তায় কেনা এই তেলের বেশির ভাগটা দেশের ভেতরকার চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা হয়। ভারতকে তার প্রয়োজনীয় তেলের ৮০ শতাংশের বেশি আমদানি করতে হয়। আর দ্রুত অন্য কোনো উৎস খুঁজে পাওয়া সহজ বা সস্তাও হবে না।
হতে পারে এ কারণেই ভারত সরকার যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আরোপ করা শুল্কের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং এটিকে ‘অন্যায়, অবিচার ও অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে। কিন্তু এখানে এটাও মনে হতে পারে যে পশ্চিমা দেশগুলো ভণ্ডামি করছে। ভারত খুব দ্রুত উল্লেখ করেছে যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো রাশিয়ার সঙ্গে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ব্যবসা করে চলেছে এবং রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতের তেল কেনাকে এর আগে সমর্থন করেছিল তার কারণ হলো, এতে বিশ্বে জ্বালানির দাম স্থিতিশীল রাখা গিয়েছিল।
বিভিন্ন সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের তেল পরিশোধনাগারগুলো রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে কি না, তার জন্য এখন দিল্লি সরকারের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছে। একই সময়ে আবার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মস্কোতে রয়েছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, পুতিন এই বছরের শেষ দিকে ভারত সফর করবেন। মোদি সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের আসন্ন দিনগুলোতে রাশিয়া সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু মোদি সরকার যে প্রতিক্রিয়া জানাক না কেন, একটি ব্যাপার এখানে স্পষ্ট। ট্রাম্পের সঙ্গে যে ‘বন্ধুত্বের’ কথা মোদি ভেবেছিলেন, সেটি চূড়ান্ত বিচারে অকার্যকর ও হালকা সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক মোদির অতি উচ্ছ্বাস আর ট্রাম্পের নিষ্ঠুর স্বার্থপরতা দিয়ে সংজ্ঞায়িত করা যায়। সেই ব্রোম্যান্সের (ভাইয়ে ভাইয়ে মধুর সম্পর্ক) দিন শেষ। বৈশ্বিক স্বার্থের শীতল অঙ্কের কাছে ব্যক্তিগত রসায়ন কখনোই ছাপিয়ে যেতে পারে না।
রাশিয়ার তেলের বিষয়টিকে এক পাশে সরিয়ে রাখলেও বাণিজ্য, শুল্ক ও ভূরাজনীতির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ভিন্ন অবস্থান রয়েছে। ট্রাম্প চান, আমেরিকায় উৎপাদনশিল্প ফিরিয়ে আনতে। আর মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি আংশিকভাবে আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে চীন থেকে ভারতে স্থানান্তর করার আহ্বান। মোদির এই পথ ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যহীন।
পাকিস্তানের প্রতি ট্রাম্পের আকস্মিক ও কৌশলগত ঝোঁক ভারত গভীরভাবে অসন্তুষ্ট। জুনে ট্রাম্প পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান এবং সম্প্রতি তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে তেল অনুসন্ধানের একটি চুক্তির ঘোষণাও দিয়েছেন। এ ছাড়া মে মাসে চার দিনের সংঘর্ষের পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়, তার কৃতিত্ব দাবি করেন ট্রাম্প। এটিও ভারতের জন্য অনেকটা বিরক্তির জন্ম দেয়।
এসব ঘটনার কোনোটিই এমন একটি দেশের পক্ষে গ্রহণযোগ্য হবে না, যে দেশটি পাকিস্তানের সঙ্গে তিক্ত লড়াই করে চলেছে এবং যে দেশটির কর্মকর্তারা দুই দশক ধরে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে উন্নত করার জন্য পরিশ্রম করে চলেছেন। ট্রাম্পের পদক্ষেপ সেই সম্পর্কের ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
ট্রাম্পের কথাবার্তা ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীকেও আহত করেছে। ট্রাম্প ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন এবং মোদিকে অভিযুক্ত করেছেন যে তিনি ‘বিশৃঙ্খলা থেকে মুনাফা’ করছেন। ‘বন্ধুত্বের প্রতীককে’ জনলজ্জা ও জবরদস্তির হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে। ভারতীয় কূটনীতিবিদেরা সাধারণত নীরবে এবং দৃশ্যপটের আড়ালের কূটনীতির সঙ্গে অভ্যস্ত।
কয়েক দিন চুপ থাকার পর বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদি এ নিয়ে প্রথম মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ভারতীয় কৃষকদের স্বার্থে কোনো আপস করা হবে না। কিন্তু তার সামনে ভারসাম্য বজায় রেখে চলার কঠিন একটি চ্যালেঞ্জ। যদি তিনি কোনো বিষয়ে আপস করেন, তাহলে দেশে তাঁর ভাবমূর্তি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে। কিন্তু যদি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন, তাহলে উত্তেজনা আরও তীব্র হবে। তাতে উতোর–চাপানে থাকা ভারতের অর্থনীতির ক্ষতি হতে পারে। কেননা, যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন ভারতের অর্থনীতি আরও নিবিড়ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারতের ৮৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়। ২৭ আগস্ট থেকে যে শুল্ক ধার্য করা হয়েছে তা যদি কার্যকর হয়, তাহলে এর অনেকটাই প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না। দেশের ভেতরে মোদির রাজনীতিও ঝুঁকিতে পড়বে। বিরোধী দলগুলো এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে এবং শুল্ককে ‘অর্থনৈতিক ব্ল্যাকমেল’ ও ‘ভারতকে অন্যায় বাণিজ্যচুক্তিতে’ বাধ্য করার প্রচেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করে নিজেদের চাপ আরও বাড়িয়েছে।
ভারতের জন্য শিক্ষা হলো, উষ্ণ আলিঙ্গন নয়, কঠোর স্বার্থ দিয়েই নীতি পরিচালিত হতে হবে। ট্রাম্পের কাছে কোনো সম্পর্কই পবিত্র নয়, চুক্তির শিল্পটাই তার কাছে সবকিছু। মোদি হয়তো ভেবেছিলেন, তিনি ট্রাম্পকে মুগ্ধ করতে পারবেন; ট্রাম্প প্রশংসা পছন্দ করলেও শেষ পর্যন্ত সেটাই যথেষ্ট নয়।
দীর্ঘদিন ধরেই ভারত তার পররাষ্ট্রনীতিতে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন বজায় রেখে আসছে। কিন্তু এর জন্য যে মূল্য দিতে হয়, সেটা গত সপ্তাহেই দেখা গেল। এই শুল্ক ভারতের কাছে বার্তা দিচ্ছে যে যদিও দেশটির প্রভাব ও অর্থনীতির আকার বেড়েছে, কিন্তু কৌশলগত প্রাসঙ্গিকতা এখনো এমন পর্যায়ে পৌঁছায়নি, যেখানে দেশটি ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
সলিল ত্রিপাঠী, নিউইয়র্কে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক
দ্য টাইম ম্যাগাজিন থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনুবাদ মনোজ দে