চার টুকরো করে যুবককের লাশ খালে ফেলেন দম্পতি
Published: 11th, August 2025 GMT
কুমিল্লার তিতাসে নজরুল ইসলাম ভূইয়া (৩৫) নামে এক যুবককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন দম্পতি। এরপর তারা মরদেহটি চার টুকরো করে আলাদা বস্তায় ভরে খালে ফেলে দেন। এ ঘটনায় জড়িত স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১০ আগস্ট) ভোরে তিতাস উপজেলার মজিদপুর এলাকার বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেল পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করে নিহত যুবকের কাটা দুইটি হাত উদ্ধার করে পুলিশ। গত চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন নজরুল।
তিতাস থানার ওসি মো.
আরো পড়ুন:
রংপুরে গণপিটুনিতে ২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা
পাবনার সেলিম গাজীপুরে এসে হন স্বাধীন, পাল্টান বাবার নামও
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মজিদপুর এলাকার মৃত মজু মিয়ার ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ হোসেন (৩২) এবং তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তার (২৭)।
পুলিশ জানায়, গত ৬ আগস্ট রাতে মজিদপুর ইউনিয়নের শাহাবৃদ্ধি গ্রামের হানিফ ভূইয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম ভূইয়া নিখোঁজ হন। নজরুল পেশায় ট্রাকচালক ছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে তিতাস থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন নজরুলের বাবা।
পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমেই মোবাইল ট্র্যাকিং করে অটোরিকশাচালক হোসেনের স্ত্রী স্মৃতির মোবাইল নম্বরের সঙ্গে নজরুলের সর্বশেষ যোগাযোগের তথ্য পায়। রবিবার ভোরে স্মৃতি ও তার স্বামী হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নজরুলকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন দম্পতি।
পুলিশ জানায়, নজরুলকে হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে তারা জানান, স্মৃতির সঙ্গে নজরুলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল এমনটি সন্দেহ করতেন হোসেন। পরে স্বামী-স্ত্রী মিলে নজরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
গত ৮ আগস্ট রাতে নজরুলকে ফোন করে ডেকে আনেন ওই দম্পতি। ঘরে প্রবেশের পর নজরুলকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন হোসেন ও তার স্ত্রী। পরে নজরুলের লাশ চার টুকরো করে চারটি আলাদা বস্তায় ভরে মরদেহের খালে ফেলে দেন তারা।
অভিযুক্তদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার বিকেলে মজিদপুর গ্রামের উত্তর পাশের খাল থেকে স্থানীয় জেলেদের দিয়ে মরদেহের খণ্ডিত দুইটি হাত উদ্ধার করা হয়। অন্য টুকরোগুলো এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তিতাস থানার ওসি মো. শহিদ উল্লাহ বলেন, “হত্যাকারীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মরদেহের কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি অংশগুলো ডুবুরি দিয়ে খোঁজা হচ্ছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অভ য গ নজর ল র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।