গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের নিয়ে প্রবন্ধ পাঠানোর নির্দেশ
Published: 11th, August 2025 GMT
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত জুলাইযোদ্ধা সম্পর্কিত প্রবন্ধসহ অন্যান্য তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে নির্ধারিত ই-মেইলে এই প্রবন্ধ পাঠাতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে রবিবার এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
থমকে গেছে জুলাই যোদ্ধা মিশনের জীবন
৭১-এর মতো ২৪-এ বুক পেতে দিয়েছেন বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী: হাফিজ
চিঠিটি সব আঞ্চলিক পরিচালক এবং বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার আঞ্চলিক উপ-পরিচালককে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ৭ আগস্টের চিঠির নির্দেশনা অনুসরণ করে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এ শহীদ ও আহত জুলাই যোদ্ধা সম্পর্কিত প্রবন্ধসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে হার্ডকপি আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পারফরম্যান্স, উদ্ভাবন ও সেবা উন্নয়ন অধিশাখার যুগ্মসচিব বদরুল হাসান লিটনের ঠিকানায় পাঠাতে হবে।
সফটকপি নিকস বাংলা ১৪ ফন্টে ই-মেইলে ([email protected])--এ পাঠানোর পাশাপাশি [email protected] ই-মেইলে সিসি করে পাঠানোর জন্য সব আঞ্চলিক পরিচালক ও বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার আঞ্চলিক উপ-পরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, লেখার সঙ্গে প্রমাণ হিসেবে এ পর্যন্ত পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ, ছবি, সরকারি গেজেট ও অন্যান্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হবে। ই-মেইলের ক্ষেত্রে স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে।
এতে আরো বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান প্রধান, প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ সিনিয়র শিক্ষক এবং প্রবন্ধ লেখার সাথে সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি এই তিনজনের যৌথ স্বাক্ষরসহ প্রত্যায়নপত্র পাঠাতে হবে।
ঢাকা/হাসান/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই গণঅভ য ত থ ন প রবন ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে রূপগঞ্জে শ্রমিক সমাবেশ ও দোয়া
স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে রূপগঞ্জ থানার তারাব পৌরসভার বরাব এলাকায় শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকাল ৫টায় ছাত্র-শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুথান ও ফ্যাসিবাদের পতন দিবস উপলক্ষ্যে শহীদ ও আহতদের স্মরণে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক এড.তারিকুল রহমান ।
তিনি বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হলেও দেশের শ্রমিক শ্রেণি এখনো ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। সেই অভ্যুত্থানে ছাত্র-শিক্ষক, পেশাজীবীদের পাশাপাশি শ্রমিকরাও রক্ত দিয়েছেন। অথচ আজও শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে রাস্তায় নামতে হচ্ছে।”
সভায় বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামি সাধারন সম্পাদক মো.হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন, নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আনোয়ার হোসেন মোল্লা,ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন আবদুল মজিদ শিকদার,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আকরাম হোসেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ কোর্ট সহকারী পিপি এড.ইসরাফিল হোসেন,নারায়ণগঞ্জ জেলার জামায়াতে ইসলামি কর্ম পরিষদ সদস্য মজিবুর রহমান মিয়াজী,নারায়ণগঞ্জ মহনগরী শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সভাপতি হাফেজ আবদুল মোমেন, প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামি সেক্রেটারী মো.হাফিজুর রহমান তিনি বলেন- “যদিও স্বৈরাচারী সরকার বিতাড়িত হয়েছে, তবে এখনো বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। আজও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কিছু ব্যক্তি জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে।”
সমাবেশে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক, পেশাজীবী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।