গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যায় রিমান্ডে থাকা সাত আসামির মধ্যে একজন নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাঁকেসহ সাত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

জবানবন্দি দেওয়া এই আসামি হলেন মো.

শাহজালাল (৩২)। তিনি কুমিল্লার হোমনা থানার অনন্তপুর গ্রামের হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেপ্তার করেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে আগেই কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অন্য সাতজনকে আদালত দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান। রিমান্ড শেষে আজ দুপুরে তাঁদের গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–৩–এর বিচারক ওমর হায়দারের আদালতে তোলা হয়। এ সময় আসামি শাহজালাল হত্যার সঙ্গে জড়িত ও নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত অন্য আসামিদেরও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, সাত আসামির মধ্যে শাহজালাল হত্যাকাণ্ডের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুনমুঠোফোনে অস্ত্রধারীদের ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান, পরে তাঁকেই হত্যা করা হয়০৮ আগস্ট ২০২৫

গাজীপুরের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন খান বলেন, আসামি শাহজালাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কী বলেছেন, সেটি এখনো জানতে পারেননি। তবে আদালতের নথিপত্র এলে পরে তা জানা সম্ভব হবে।

আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ভিডিও করার সময় চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ শনাক্ত করে এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুনময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমা, মরদেহে ৯টি গভীর আঘাতের চিহ্ন১ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব দ ক আস দ জ জ ম ন শ হজ ল ল

এছাড়াও পড়ুন:

৩২ নম্বরের দিকে যাওয়া ২টি বুলডোজার আটকে দিল সেনাবাহিনী

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে যাওয়া দুটি বুলডোজার আটকে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় ছাত্র-জনতার সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

সূত্র জানায়, দুটি বুলডোজার ট্রাকে করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বুলডোজারের ওপরে কিছু তরুণকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভেঙে ফেলার ঘোষণা দিচ্ছিল। পরে সেনাবাহিনী ও বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ৩২ নম্বরে প্রবেশের রাস্তায় বুলডোজার দুটি আটকে দেন। ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরু‌দ্ধে রায় ঘোষণা চলছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।

গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাড়িটিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও বুলডোজার এনে বাড়িটির কিছু অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা/এমআর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ