যশপ্রীত বুমরার ‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট’ নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে বিতর্ক যেন শেষই হচ্ছে না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের সিরিজে ভারতের এই তারকা পেসার খেলেছেন মাত্র তিনটি। বিসিসিআই তাঁকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যাতে সামনে থাকা ব্যস্ত সূচিতে ফিট থাকেন। কিন্তু সিরিজে বুমরা যে দুটি টেস্টে খেলেননি, সেই দুটিতেই জয় পায় ভারত। ২-২ সমতায় শেষ হয় সিরিজ। এটা দেখেই খেপেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক দিলীপ ভেংসরকার। তাঁর মতে, বুমরা যদি আইপিএলে না খেলতেন বা কিছু ম্যাচ বাদ দিতেন, তাহলে ইংল্যান্ড সিরিজে তাঁকে পুরোদমে পাওয়া যেত, সিরিজের ফলও তাহলে ভারতের জন্য আরও ভালো হতো।

আরও পড়ুন৫ বল খেলেই জয়: আর্জেন্টিনাকে উড়িয়ে দিল কানাডা১ ঘণ্টা আগে

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তো খেলোয়াড়দের বিশ্রাম নিয়ে বিসিসিআই বেশ সচেতন, এমনকি নিয়ম করে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের বিশ্রামও দেয় তারা। কিন্তু আইপিএলের ক্ষেত্রে সে রকম খুব একটা দেখা যায় না। ভারতের তারকা ক্রিকেটাররা সবাই-ই খেলেন নিজেদের ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে।

ভেংসরকার দাবি করলেন, তিনি যদি নির্বাচক থাকতেন, তাহলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে রাজি করাতেন বুমরাকে কিছু ম্যাচে বা পুরো মৌসুমেই বিশ্রাম দেওয়ার জন্য। তাতে ইংল্যান্ড সফরে বুমরাকে সব কটি ম্যাচে খেলানো যেত। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে ভেংসরকার বলেছেন, ‘ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের গুরুত্ব আর ওর নাজুক পিঠের কথা ভেবে বিসিসিআই, নির্বাচক আর টিম ম্যানেজমেন্টের উচিত ছিল বুমরাকে এ বছরের আইপিএলে না খেলতে বলা। এই ঐতিহাসিক সিরিজের জন্য আমাদের দরকার ছিল একদম ফিট, সতেজ বুমরা।’

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের সিরিজে তিনটি টেস্ট খেলেন বুমরা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রীবেশে উঠে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা, চালককে গলা কেটে খুন

ফেনীর সোনাগাজীতে গলা কেটে এক অটোরিকশাচালককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের পশ্চিম চরদরবেশ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মনোরঞ্জন ভূঞা (৬৫)। তিনি চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঞা বাজার-সংলগ্ন কলাবাগান এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

পুলিশ ও নিহত মনোরঞ্জনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার রাত ৯টার দিকে সোনাগাজী পৌর শহর থেকে ছোট ফেনী নদীর সাহেবের ঘাট সেতুর ওপর যাওয়ার কথা বলে কয়েকজন যুবক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি ভাড়া করেন। অটোরিকশা সাহেবের ঘাট সেতু পার হলে রিকশায় থাকা যুবকেরা গাড়ি থামিয়ে চালককে মারধর করে গাড়িটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। এতে চালক মনোরঞ্জন ছিনতাইকারীদের বাধা দিলে তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে খালের পাশে গাড়িসহ ফেলে পালিয়ে যান তাঁরা।

রাতে স্থানীয় লোকজন খালের পাশে রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী মহিন উদ্দিন বলেন, মনোরঞ্জন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সপ্তাহখানেক আগে কিস্তিতে নতুন একটি অটোরিকশা কেনেন। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন অটোরিকশাটি ছিনতাই করতে ব্যর্থ হয়ে তাঁকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, মরদেহটি ফেনীর সোনাগাজী-কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তের খালের মধ্যে পাওয়া যাওয়ায় দুই থানার পুলিশ যৌথভাবে ঘটনাস্থলে কাজ করছে। হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ