‘নির্বাচক হলে বুমরাকে আইপিএলে খেলতে দিতাম না’
Published: 11th, August 2025 GMT
যশপ্রীত বুমরার ‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট’ নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে বিতর্ক যেন শেষই হচ্ছে না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের সিরিজে ভারতের এই তারকা পেসার খেলেছেন মাত্র তিনটি। বিসিসিআই তাঁকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যাতে সামনে থাকা ব্যস্ত সূচিতে ফিট থাকেন। কিন্তু সিরিজে বুমরা যে দুটি টেস্টে খেলেননি, সেই দুটিতেই জয় পায় ভারত। ২-২ সমতায় শেষ হয় সিরিজ। এটা দেখেই খেপেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক দিলীপ ভেংসরকার। তাঁর মতে, বুমরা যদি আইপিএলে না খেলতেন বা কিছু ম্যাচ বাদ দিতেন, তাহলে ইংল্যান্ড সিরিজে তাঁকে পুরোদমে পাওয়া যেত, সিরিজের ফলও তাহলে ভারতের জন্য আরও ভালো হতো।
আরও পড়ুন৫ বল খেলেই জয়: আর্জেন্টিনাকে উড়িয়ে দিল কানাডা১ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তো খেলোয়াড়দের বিশ্রাম নিয়ে বিসিসিআই বেশ সচেতন, এমনকি নিয়ম করে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের বিশ্রামও দেয় তারা। কিন্তু আইপিএলের ক্ষেত্রে সে রকম খুব একটা দেখা যায় না। ভারতের তারকা ক্রিকেটাররা সবাই-ই খেলেন নিজেদের ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে।
ভেংসরকার দাবি করলেন, তিনি যদি নির্বাচক থাকতেন, তাহলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে রাজি করাতেন বুমরাকে কিছু ম্যাচে বা পুরো মৌসুমেই বিশ্রাম দেওয়ার জন্য। তাতে ইংল্যান্ড সফরে বুমরাকে সব কটি ম্যাচে খেলানো যেত। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে ভেংসরকার বলেছেন, ‘ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের গুরুত্ব আর ওর নাজুক পিঠের কথা ভেবে বিসিসিআই, নির্বাচক আর টিম ম্যানেজমেন্টের উচিত ছিল বুমরাকে এ বছরের আইপিএলে না খেলতে বলা। এই ঐতিহাসিক সিরিজের জন্য আমাদের দরকার ছিল একদম ফিট, সতেজ বুমরা।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের সিরিজে তিনটি টেস্ট খেলেন বুমরা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষকদের কষ্টের কথা বলার জায়গা কম, শোনার লোকও নেই
শিক্ষকেরা সমাজের পথনির্দেশক ও বাতিঘর। তাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তৈরি করে দেওয়ার কাজ করছেন। কিন্তু সেই শিক্ষকেরা যথাযথ মর্যাদা পান না। শিক্ষকদের কষ্টের কথা বলার জায়গা কম, শোনার লোকও নেই।
বগুড়ায় ‘আইপিডিসি-প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে এ কথা বলেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফিরোজ মিয়া। আজ সোমবার বিকেলে শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার শহীদ আবদুল জব্বার সড়কের একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে এ সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বগুড়ার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কবি-সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সুধী সমাবেশে গুণী শিক্ষক ও কথাসহিত্যিক বজলুল করিম বাহার বলেন, শিক্ষকেরা সমাজ বদলে দেন। নতুন প্রজন্ম তৈরি করেন। শিক্ষকের মর্যাদা শেষ হয় না। শিক্ষকেরাই আগামী শতাব্দীর নতুন প্রেরণা। তিনি আরও বলেন, আগের দিনে শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষে যে শিক্ষা দিতেন, তা শিক্ষার্থীদের মগজে ও মননে ঢুকে যেত। সমাজে এখন সেই গুণী শিক্ষকের অভাব রয়েছে।
বগুড়ার সরকারি মজিবর রহমান ভান্ডারী মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ত্বাইফ মামুন বলেন, মর্যাদাপূর্ণ পেশা হলেও শিক্ষকেরা ক্লাসে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। নির্যাতিত হচ্ছেন। শিক্ষকেরা নতুন প্রজন্ম তৈরির কারিগর। কিন্তু ব্যক্তি দোষে সেই মর্যাদার অবক্ষয় ঘটছে। ক্লাসের বদলে শিক্ষার্থীরা টিউশনিতে ঝুঁকছেন। শুধু গতানুগতিক শিক্ষার্থী পড়িয়ে গুণী শিক্ষক হওয়া সম্ভব নয়। পাঠদানের পাশাপাশি নৈতিকতা, সৃজনশীল ও মানবিকতার আলো ছড়ানোর কাজ করতে হবে। গুণী শিক্ষক তৈরি নিশ্চিত করা সম্ভব হলে সমাজ আলোকিত হবে।
সুধী সমাবেশে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ বলেন, ‘মানুষকে মানুষ হয়ে উঠতে হয়। এ জন্য তাকে মানবিক গুণাবলি অর্জন করতে হয়। এই মানবিক গুণাবলি পাওয়া যায় শিক্ষকের কাছে। প্রত্যেক মানুষের জীবনে একজন প্রিয় শিক্ষক আছেন। যিনি মনে দাগ কাটেন, চলার পথে আলো ফেলে দেন। সেই প্রিয় শিক্ষককে খুঁজতেই আইপিডিসি-প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননার আয়োজন করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে মানুষের জন্য দুর্দশা সৃষ্টি করা, লোভ–লালসা, হিংসা-প্রতিহিংসার কাছে পরাজিত মানুষের নেগেটিভ বাংলাদেশ দেখি, অন্যদিকে মেয়েরা ফুটবলে, শিক্ষার্থীরা গণিত অলিম্পিয়াডে, ক্রিকেটাররা বিশ্ব ক্রিকেটে, বিজ্ঞানীরা বিশ্ব বিজ্ঞানের আসরে এক দুর্দান্ত আশাবাদী বাংলাদেশকে তুলে ধরছে। প্রথম আলো পজিটিভ বাংলাদেশকে তুলে ধরতে চায়। এগিয়ে নিতে চায়। তারই অংশ হিসেবে আইপিডিসিকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননার এ উদোগ নিয়েছে।’
আইপিডিসি ফাইন্যান্স (পিএলসি) বগুড়া শাখার ভারপ্রাপ্ত শাখা ব্যবস্থাপক মো. ফরিদ হাসান বলেন, শিক্ষক জাতির মেরুদণ্ড। সেই শিক্ষকদের সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য প্রিয় শিক্ষক সম্মাননার এ আয়োজন। মহান পেশার মানুষদের স্বপ্ন যেন শুধু অন্যদের মাঝেই সীমাবদ্ধ না থাকে, তাই জীবন বদলের কারিগর সব শিক্ষকদের স্বপ্নপূরণে আইপিডিসি নিয়ে এসেছে বিশেষ লোন ‘প্রজ্ঞা’।
প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে অতিথিরা। আজ সোমবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার একটি হোটেলে