শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন স্থগিত
Published: 11th, August 2025 GMT
আগামী ২২ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন স্থগিত করেছেন আদালত।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র সহকারী জজ তাহমিনা আফরোজ তানি নির্বাচন স্থগিত করে রায় দেন। রবিবার (১০ আগস্ট) সাইফুল ইসলাম স্বপন ও হাসেম আহাম্মেদ ছিদ্দিকি বাদী হয়ে নির্বাচন স্থগিতের আবেদন করেন।
সোমবার মামলার শুনানি করেন আইনজীবী আখতারুজ্জামান। তাকে সহযোগিতা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, বিশেষ পিপি রুবি ও আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা আতাহার আলী।
আরো পড়ুন:
পুরো আসনের ফল বাতিল করতে পারবে ইসি, ফিরছে ‘না’ ভোট
পুলিশকে রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান
মামলার প্রধান আইজবীবী আখতারুজ্জামান জানান, বাদীপক্ষ আদালতে অভিযোগ করেন চেম্বারের অধিকাংশ ভোটার ভুয়া। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে এই সংক্রান্ত রায় দেন। রায়ে বিচারক ত্রুটিযুক্ত ভোটার তালিকা ঠিক করা না পর্যন্ত ওই নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে আদালত চেম্বার সভাপতি আরিফ হোসেন, চেম্বার সচিব হারুণ অর রশিদ, এই নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম রকিব, বাছাই কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এম কে মোরাদুজ্জামানকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছেন। এর ফলে নয় বছর পর চেম্বার নির্বাচনের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা স্থগিত হয়ে গেল।
ঢাকা/তারিকুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও সন্নিকটের নয়টি বালুমহালের ইজারা কার্যক্রম স্থগিত
কক্সবাজারের চকরিয়া, রামু ও উখিয়া—এই তিন উপজেলার সংরক্ষিত–রক্ষিত বনাঞ্চল এবং সন্নিকটে অবস্থিত নয়টি বালুমহালের ইজারা কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ওই বন এলাকা থেকে বালু উত্তোলনে জড়িত ইজারাগ্রহীতাসহ দোষী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি এবং বালু উত্তোলনের ফলে বনের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণ করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) গত মাসে রিটটি করে।
নয়টি বালুমহাল হচ্ছে চকরিয়ার খুটাখালী মৌজার খুটাখালী-১; রামুর ধোলিরছড়া মৌজার ধলিরছড়া এবং পানিরছড়া খাল; উখিয়ার উখিয়া ঘাট মৌজার বালুখালী-১, উয়ালাপালং এবং রাজাপালং মৌজার দোছড়ি বালুমহাল, পালংখালী মৌজার পালংখালী; রাজাপালং মৌজার হিজলিয়া, ধোয়াংগারচর ও কুমারিয়ারছড়া।
আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া।
বেলা জানায়, জেলা প্রশাসক কক্সবাজার জেলার ৫টি উপজেলায় মোট ২৭টি বালুমহালের তালিকা প্রস্তুত করে ২০২৫-২৬ (১৪৩২ বঙ্গাব্দ) সালের জন্য ইজারার উদ্দেশ্যে গত ১১ মার্চ দরপত্র আহবান করেন। ২৭টি বালুমহালের মধ্যে ওই ৯টি বালুমহাল সংরক্ষিত ও রক্ষিত বনের মধ্যে এবং কাছাকাছি। তাই সংশ্লিষ্ট বনের পরিবেশ ও প্রতিবেশের সম্ভাব্য ক্ষতি বিবেচনা করে ওই বালুমহালগুলো ইজারা প্রদান থেকে বিরত থাকতে কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তারা কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেন। এই অনুরোধ উপেক্ষা করে তিনটি বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। অন্যগুলোর ইজারাপ্রক্রিয়া চলমান। এ অবস্থায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বালু উত্তোলনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সংরক্ষিত ও রক্ষিত বন রক্ষায় রিটটি করে।
নয়টি বালুমহাল ইজারার জন্য তালিকাভুক্ত করা সংবিধান ও অন্যান্য আইনের পরিপন্থী বলে কেন তা বেআইনি ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান বেলার অন্যতম আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই বালুমহালগুলো বিলুপ্ত ঘোষণা এবং ইজারাযোগ্য বালুমহালের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে সংরক্ষিত–রক্ষিত বনাঞ্চলের সুরক্ষা নিশ্চিতের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে। বালু উত্তোলনের ক্ষতি নিরূপণ করে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে।