বিয়েবাড়িতে মায়ের কোল থেকে শিশু নিয়ে উধাও, মুক্তিপণ দাবির পর মরদেহ উদ্ধার
Published: 11th, August 2025 GMT
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির অদূরে একটি জঙ্গল থেকে দেড় বছর বয়সী মেয়েশিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্বজনেরা বলছেন, চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে মায়ের কোল থেকে ডেকে নিয়ে যান এক স্বজন। পরের দিন শিশুটির পরিবারের কাছে মুক্তিপণও চাওয়া হয়। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন গ্রামবাসী।
নিহত শিশুটির পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, গত শনিবার বিকেলে শিশুটিকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যান তার মা–বাবা। ওই দিন রাত আটটার দিকে এলিজা মার্ডি নামের এক স্বজন শিশুটিকে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে মায়ের কোল থেকে তাকে নিয়ে যান। পরে অনেক রাত হলেও এলিজা মার্ডি বিয়েবাড়িতে আর ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাঁদের কোথাও পাওয়া যায়নি। পরদিন রোববার সকাল ১০টার দিকে এলিজা মার্ডি একা বাড়ি ফেরেন। এ সময় শিশুটির কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এদিন বিকেলে এলিজা মার্ডির চাচা শিশুটিকে জীবিত ফেরত পেতে চাইলে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এ সময় মুক্তিপণের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান শিশুটির মা–বাবা।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি কৃষিকাজের জন্য মাঠে গিয়ে বিলের পাশে বাঁশঝাড়সংলগ্ন একটি শুকনা নালার মধ্যে অর্ধগলিত অবস্থায় এক শিশুর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয়টি তিনি আশপাশের লোকজনকে জানান। এ সময় স্থানীয় লোকজনের পক্ষ থেকে ৯৯৯ নম্বরে কল দেওয়া হলে নবাবগঞ্জ থানা–পুলিশের একটি দল মরদেহটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে নিখোঁজ শিশুর স্বজনেরা ছুটে আসেন এবং লাশ শনাক্ত করেন। এ সময় গ্রামবাসী ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এলিজা মার্ডি, তাঁর চাচা, তিন প্রতিবেশী নারীসহ ছয়জনকে আটক করেন। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল মতিন প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। নিহত শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র মরদ হ স বজন এ সময়
এছাড়াও পড়ুন:
চানখাঁরপুলে ছয়জনকে হত্যা করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করা হয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর
গণ-অভ্যুত্থানকালে ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগত অপরাধের অংশ হিসেবে রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয়জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এই মামলার আসামিরা ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগত অপরাধের অংশ জেনেও হত্যার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সূচনা বক্তব্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
আরও পড়ুনডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা১০ আগস্ট ২০২৫বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সূচনা বক্তব্য দেন তাজুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এই মামলায় আটজন আসামি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল পলাতক।
আরও পড়ুনআবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ০৬ আগস্ট ২০২৫আসামি শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক আরশাদ হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার আছেন। আজ তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
আরও পড়ুন‘জঙ্গি নাটক’ সাজিয়ে সাবেক মেজর জাহিদুল হত্যার অভিযোগ চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে১০ আগস্ট ২০২৫