মালয়েশিয়ার দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় তাঁরা বৈঠকে বসেছেন।

প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টার (মালয়েশিয়ার সময় সকাল ১০টা) কিছু আগে এক পোস্টে বৈঠকের বিষয়টি জানানো হয়।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরুর আগে পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন প্রধান উপদেষ্টা। পুত্রজায়ায় পৌঁছানোর পর অধ্যাপক ইউনূসকে নিজ কার্যালয়ে স্বাগত জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। সেখানে কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার পরিচয় করিয়ে দেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে পুত্রজায়ায় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার ইব্রাহিম ও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল সোমবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর পৌঁছেছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় অধ্যাপক ইউনূসকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

অধ্যাপক ইউনূস সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে কুয়ালালামপুরে পৌঁছান।

গত রোববার সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফরে অভিবাসন ও বিনিয়োগ-সম্পর্কিত বিষয় অগ্রাধিকার পাবে।

প্রেস সচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টা আজ একটি ব্যবসায়ী সম্মেলনে যোগ দেবেন। পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।

আগামীকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেবে মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি কেবাংসান (ইউকেএম)। এ অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও উপস্থিত থাকতে পারেন।

প্রধান উপদেষ্টার সফরকালে মোট পাঁচটি সমঝোতা স্মারক এবং তিনটি ‘নোট অব এক্সচেঞ্জ’ সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় থাকা বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক ইউনূসের যোগ দেওয়ারও কথা রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও এক জেলের মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আরও এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম ফারুক হাওলাদার (৪০)। তিনি শরীয়তপুরের বাসিন্দা। আজ মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাঁর মৃত্যু হয়।

এর আগে একই বিস্ফোরণের ঘটনায় গত শনিবার রাতে আমজাদ হোসেন নামে চিকিৎসাধীন এক জেলের মৃত্যু হয়। দগ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁরা হলেন—আবুল খায়ের (৩২) ও আবদুল গনি (৫০)। আবুল খায়েরের শরীরের ৩৫ শতাংশ এবং গনির ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

গত বৃহস্পতিবার সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতির মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পাশে নদীতে নৌকায় রান্নার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে নৌকায় থাকা পাঁচ জেলে দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁদের রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চারজনকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুরের রামগতির বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফারুক হাওলাদারের মৃত্যুর বিষয়টি ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি। তাঁর স্বজনরাও জানিয়েছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ