মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় দুই দেশের মধ্যে ৫টি সমঝোতা স্মারক সই ও তিনটি নোট বিনিময় করা হয়।  

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে পুত্রজায়ায় তারা বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে যৌথ ব্রিফিংয়ে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এক পোস্টে বিষয়টি জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “অর্থনীতিসহ সব বিষয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন।”
তরুণদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ায় মালয়েশিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি দেশটির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বানও জানান। 

দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরুর আগে পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন প্রধান উপদেষ্টা। পুত্রজায়ায় পৌঁছানোর পর অধ্যাপক ইউনূসকে নিজ কার্যালয়ে স্বাগত জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। সেখানে কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার পরিচয় করিয়ে দেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।

প্রধান উপদেষ্টা তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর পৌঁছান। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় অধ্যাপক ইউনূসকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি দুপুর ২টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল সঙ্গে রয়েছে। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.

তৌহিদ হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

আগামী ১৩ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

ঢাকা/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ