২০১৩ সালে আইপিএলে বেটিং বিতর্কে তাঁর নাম জড়ানোর অভিযোগে ভারতের দুটি মিডিয়া চ্যানেল এবং এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি রুপি মানহানির মামলা করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এক দশকের বেশি সময় পর গতকাল মাদ্রাজ হাইকোর্ট এই মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুনভক্ত বললেন—‘আপনাকে খেলতেই হবে’, ধোনির প্রশ্ন—‘হাঁটুর যত্ন কে নেবে’১৬ ঘণ্টা আগে

ধোনির কৌঁসুলিপক্ষ হলফনামা জমা দিয়ে এই মামলা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের পর বিচারক সিভি কার্তিকেয়ান এই নির্দেশ দেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ জানিয়েছে, ধোনির পক্ষ থেকে যেসব প্রমাণ দাখিল করা হবে, সেসব নথিবদ্ধ রাখতে একজন অ্যাডভোকেট কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন বিচারক কার্তিকেয়ান। পাশাপাশি ভারতের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এ অধিনায়কের জবানবন্দি নেওয়া হবে। ধোনি আদালতে নিজে উপস্থিত থেকে এসব বিচারিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন না। যেহেতু ভারতে তিনি তারকা, সে কারণে আদালতে তাঁর উপস্থিতি বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করতে পারে।

চেন্নাইকে একাধিকবার আইপিএল জিতিয়েছেন ধোনি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ