হাসি একটি শারীরিক ব্যায়াম। এটি এমন একটি শারীরিক প্রক্রিয়া যার সরাসরি প্রভাব পড়ে শরীরে ও মনে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোসহ হাসি আমাদের শরীরে ও মনে কি কি পরিবর্তন আনে সেই বিষয়ে জেনে নিন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
হাসি কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোন কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধক কোষ এবং সংক্রমণ-প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি বৃদ্ধি করতে পারে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং অসুস্থতা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। অল্প কয়েক মিনিট হাসলেও দারুণ উপকার পাওয়া যায়। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
কার্ডিওভাসকুলার ফাংশন উন্নত করে
হাসি রক্তনালীর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। হাসার সময় হৃদস্পন্দন অল্প সময়ের জন্য বৃদ্ধি পায়, তারপরে পেশী শিথিল হয় এবং রক্তচাপ হ্রাস পায়। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।
আরো পড়ুন:
নিয়মিত করলা খেলে যেসব উপকার পাবেন
স্বাস্থ্যের দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
ব্যথা কমায়
হাসি এন্ডোরফিনের নিঃসরণ বাড়ায়। ফলে শরীর প্রাকৃতিক ভাবেই ভালো অনুভব করে। এন্ডোরফিন কেবল আপনার মেজাজ উন্নত করে না বরং প্রাকৃতিক ভাবে শরীরের ব্যথাও কমায়। নিয়মিত হাসলে সহনশীলতা বৃদ্ধি পায়। পেশীগুলোকে শিথিল করে।
ফুসফুস ভালো রাখে
হাসলে ফুসফুস উদ্দীপিত হয়। সহজে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে। এবং এ সময় ফুসফুস থেকে পুরানো বাতাস বেরিয়ে যায়। সঙ্গে মানসিক চাপও কমে। একটি প্রাণবন্ত হাসি আপনাকে অক্সিজেন গ্রহণে সহায়তা করতে পারে এবং শ্বাসনালীকে আরও ভালো রাখতে পারে।
হাসি একটি শারীরিক ব্যায়াম
হাসলে শারীরিক কার্যকলাপের সঙ্গে সংযুক্ত সিস্টেমগুলোর বেশিরভাগই উদ্দীপিত হয়। যেমন—পেটের পেশী, কাঁধ এবং ডায়াফ্রাম। এমনকি আপনার হৃদস্পন্দনও বাড়ে। সুতরাং হাসি একটি কার্যকর ব্যায়াম হিসেবে কাজ করে।
সুতরাং হাসুন, আর সুস্থ থাকার একটি কার্যকর উপায় পেয়ে যান।
সূত্র: হেলথলাইন
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন
এছাড়াও পড়ুন:
গাছের সঙ্গে গলায় কাপড় প্যাঁচানো প্রতিবন্ধী ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ইঞ্জিনচালিত ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের সোনাচুনি বিলের মধ্যে সড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে গলায় কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় পুলিশ ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করে।
ওই ভ্যানচালকের নাম লিমন শেখ (২৫)। তিনি উপজেলার বুইকারা গ্রামের কাসেম শেখের ছেলে। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। চার ভাইয়ের মধ্যে লিমন শেখ বড়। শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও তিনি ইঞ্জিনচালিত ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন।
এলাকাবাসীদের কয়েকজন জানান, আজ সকালে উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের সোনাচুনি বিলের মধ্যে সড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে বসা অবস্থায় লিমন শেখের গলায় কাপড় প্যাঁচানো ছিল। স্থানীয় কয়েকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে অভয়নগর থানা ও পাথালিয়া পুলিশ ক্যাম্প থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীম বলেন, লিমন শেখ শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। তিনি ইঞ্জিনচালিত ভ্যানচালক ছিলেন। তাঁর গলায় দাগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভ্যান ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ভ্যানটি উদ্ধারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।