রাকসুতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের প্যানেল ঘোষণা
Published: 12th, August 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাকসু প্রাঙ্গণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মুহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে সংগঠনের প্যানেল ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগের দাবিতে মানববন্ধন
জাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে নারীদের জন্য পৃথক নামাজের স্থান দাবি
প্যানেলে ভিপি পদে মনোনিত হন রাবি শাখার সভাপতি মাহবুব আলম, জিএস পদে সহ সভাপতি শরিফুল ইসলাম এবং এজিএস পদে সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আকন্দ মনোনীত হন। রাকসু প্যানেলের বাকি সদস্যরা হলেন, জাহিদুল হাসান শরীফ, আহসানুল ইসলাম শাওন, মাহবুব আলম, কাজিউল ইসলাম, হাবিবুর রহমান।
সম্মেলনে মুহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম বলেন, “আমাদের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আমরা আমাদের এই প্যানেল ঘোষণা করলাম। তবে জুলাইযের চেতনাকে ধারণ করে শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর স্বার্থে প্রযোজনে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিতেও আলোচনার সুযোগ আছে বলে মনে করে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।
শাখার সভাপতি মুহাম্মদ মাহবুব আলম বলেন, “রাকসু নির্বাচন হলে শিক্ষার্থীরা তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি পাবে। ক্যাম্পাসে দীর্ঘ দিনের নেতৃত্বের সংকট কেটে যাবে। রাকসু নির্বাচনে পেশীশক্তির প্রভাবমুক্ত ও আধিপত্য বিস্তার রোধে এবং সচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ভোটকেন্দ্র হলের পরিবর্তে একাডেমিক ভবনে স্থাপনের জোর দাবি জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হলে শতভাগ আবাসন সুবিধা ও আবাসনের মান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ, রেজিস্ট্রার অফিসকে ডিজিটালাইজ করা, নিরাপদ, বৈষম্যহীন ও সহনশীল শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত, গবেষণাভিত্তিক স্কলারশিপ ও ল্যাব সুবিধা বৃদ্ধি, হলে ডাইনিং ও ক্যান্টিনের খাবারের মান উন্নয়ন, বিভাগ ও হল পর্যায়ে দুর্নীতি ও হয়রানি বন্ধে ছাত্র-অভিযোগ সেল গঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন, ইন্টার্নশিপ ও স্কিল ট্রেনিং নিশ্চিতকরণ, সব ছাত্র সংগঠনের রাজনৈতিক সহাবস্থান ও গঠনমূলক ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠা এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি গণমুখী ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে প্রশাসনকে বাধ্য করার দীপ্ত প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে শ্বশুড় বাড়ির সন্ত্রাসী হামলায় মা ও ছেলে জখম
বন্দরে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রতিপক্ষ শ^শুর বাড়ির সন্ত্রাসী হামলায় মা ও ছেলে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা বসত ঘরে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে ঘরের ওয়ারড্রপে রক্ষিত নগদ ২ লাখ টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো- মা সেলিনা বেগম (৫৫) ও ছেলে সেলিম (৩০)। স্থানীয়রা আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে সে সাথে তার মা আহত সেলিনা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে রেফার্ড করে।
এ ব্যাপারে আহত জামাতা সেলিম মিয়া বাদী হয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার রাতেই হামলাকারি শশুড় নান্টু মোল্লা ও তার ৩ সন্ত্রাসী ছেলে জুয়েল, মেহেদী, সোহাগ, স্ত্রী নিশী, শাশুড়ী পাখী, তন্নী ও মহনাকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এর আগে গত রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় বন্দর থানার সোনাকান্দা এনায়েতনগরস্থ জালাল মিয়ার বসত বাড়ি সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জানা গেছে, গত রোববার সন্ধ্যা পারিবারিক কলহের জের ধরে বিবাদী শশুড় নান্টু মোল্লা ও তার ৩ সন্ত্রাসী ছেলে জুয়েল, মেহেদী, সোহাগ, স্ত্রী নিশী, শাশুড়ী পাখী, তন্নী ও মহনাগং দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জামাতা সেলিমের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।
ওই সময় হামলাকারি মেহেদী সেলিমের গালের বাম পাশে সজোরে কামড় মেরে রক্তাক্ত জখম করে। এ ছাড়াও শশুড় নান্টু মোল্লা, জুয়েল, সোহাগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য সেলিনা বেগমের মাথায় এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে
এ ছাড়াও অন্যান্য বিবাদী নিশী,তন্নী, মহনা লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে উল্লেখিত টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়।