২০০৬ সাল থেকে কেএফসির একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে বাংলাদেশে সেবা দিয়ে আসছে ট্রান্সকম ফুডস লিমিটেড। এটি কেএফসি ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিংস, যুক্তরাষ্ট্রের লাইসেন্সের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। এবার সেই যাত্রায় যুক্ত হলো নতুন এক মাত্রা—সেলফ-অর্ডার কিয়স্ক, যেখানে গ্রাহকেরা কাউন্টারে না গিয়ে নিজের অর্ডার নিজেই খুব সহজে করতে পারবেন।    

দেশের নির্দিষ্ট কিছু আউটলেটে ছয় মাসের সফল পরীক্ষার পর কেএফসি এখন রেস্টুরেন্টে চালু করেছে সেলফ-অর্ডার কিয়স্ক, যা ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় সব আউটলেটে পৌঁছে যাবে। গ্রাহকদের জন্য দ্রুত, আরামদায়ক এবং ঝামেলাহীন অর্ডারিং অভিজ্ঞতা তৈরি করাই এই সেবার উদ্দেশ্য।    
 
এই কিয়স্কে গ্রাহকেরা নিজের পছন্দমতো ডাইন-ইন বা টেকঅ্যাওয়ে নিতে পারবেন, বিশেষ সব অফার ও জনপ্রিয় আইটেমগুলো নির্বাচন করতে পারবেন এবং নিজের মতো করে অর্ডার কাস্টমাইজও করতে পারবেন। আর সঙ্গে থাকছে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সহজে পেমেন্ট সুবিধা।

সেলফ-অর্ডার কিয়স্ক তৈরি করেছে ট্রান্সকম টেকনোলজি। ট্রান্সকম ফুডস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব থাপা বলেন, ‘কেএফসি সব সময়ই গ্রাহকদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি করতে কাজ করে আসছে। সেলফ-অর্ডার কিয়স্ক আমাদের সেই যাত্রার আরেকটি বড় পদক্ষেপ, যেখানে প্রযুক্তি ও সেবা মিলিয়ে আমরা তৈরি করছি স্মার্ট ও স্বাচ্ছন্দ্যময় ডাইনিং অভিজ্ঞতা।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রব ন ক এফস

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ