এআই নিয়ে গ্রামীণফোনের নতুন কর্মসূচি
Published: 12th, August 2025 GMT
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের লক্ষ্যে ‘এআই অ্যান্ড আই’ নামের নতুন কর্মসূচি চালু করেছে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি কর্মীদের ক্ষমতায়ন নতুন এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য বলে আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে গ্রামীণফোন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এআই অ্যান্ড আই কর্মসূচি গ্রামীণফোনের ‘এআই ফার্স্ট’ যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এ কর্মসূচির আওতায় গ্রামীণফোনের অভ্যন্তরীণ কাজে এআইয়ের কার্যকর সমন্বয় ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। এরই মধ্যে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে গ্রাহকসেবা ও বিপণন—সব কার্যক্রমে এআই ব্যবহার শুরু করেছে গ্রামীণফোন। এর মাধ্যমে ৮ কোটি ৬০ লাখের বেশি গ্রাহকদের চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী দ্রুত সেবা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন৯,৯৯০ টাকায় নতুন স্মার্টফোন আনল গ্রামীণফোন ও আইটেল২৮ জানুয়ারি ২০২৫গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘এআই অ্যান্ড আই অন্য সব কর্মসূচির মতো নয়, এটি একটি অভিযাত্রার সূচনা। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যৎ শুধু এককভাবে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে না, বরং এআই ও ব্যক্তি মানুষের যুগপৎ কার্যক্রম এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেক কর্মীর কাছে এআইয়ের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে। ফলে গ্রাহকদের আরও বুদ্ধিদীপ্ত, সহানুভূতিশীল ও প্রাসঙ্গিক সেবা প্রদানে সক্ষমতা বাড়বে আমাদের। এআই অ্যান্ড আইয়ের হাত ধরে গ্রাহকদের জন্য আরও স্মার্ট সেবা নিশ্চিত করব আমরা।’
আরও পড়ুনদেশে তৈরি ফোর–জি স্মার্টফোন আনল গ্রামীণফোন ও সিম্ফনি, দাম কত জানেন১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪প্রসঙ্গত, সিসকোর সহযোগিতায় এবং এনভিআইডিআইএ জিপিইউ প্রযুক্তির মাধ্যমে ‘এআই ফ্যাক্টরি’ চালু করেছে গ্রামীণফোন। ফলে উচ্চ গতির এআই মডেলের উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের পাশাপাশি সব কর্মীর জন্য এআই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে গ্রামীণফোন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এআই অ য ন ড
এছাড়াও পড়ুন:
অপতথ্য ও এআইয়ের অপব্যবহার রোধে আশা ও সীমাদ্ধতা, দুটিই দেখছে ইসি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্য এবং এআইয়ের (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) অপব্যবহার ঠেকাতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এ ক্ষেত্রে আশা ও সীমাবদ্ধতা, দুটিই দেখছেন তিনি।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসি আয়োজিত সংলাপের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় সানাউল্লাহ এ কথা জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন, তিনজন নির্বাচন কমিশনার এবং পাঁচটি দলের প্রতিনিধিরা এই পর্বে আলোচনায় অংশ নেন।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রথমত ভালো তথ্যের প্রবাহ বাড়িয়ে খারাপ তথ্যকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ছাড়া রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থী—উভয়ই নির্বাচনী আচরণবিধির আলোকে একটা অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করছেন, যেখানে তাঁরা আচরণবিধি প্রতিপালনের কথা বলেছেন। সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করলে অপতথ্যের প্রভাব কমানো যাবে বলে ইসি মনে করে।’
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় যতটুকু সক্ষমতা আমাদের আছে, এর পাশাপাশি সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে আমরা ইউএনডিপির (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) যে প্ল্যাটফর্মটা আছে, সেটাও ব্যবহার করছি। তবে এটা খুব একটা সহজ কাজ নয় বর্তমান বিশ্বে। আমি ইসির পক্ষ থেকে অনেকগুলো ইলেকটোরাল ম্যানেজমেন্ট বডির (নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা পর্ষদ) সঙ্গে বৈঠক করেছি। সবারই উদ্বেগ এখন এটা যে কীভাবে এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপপ্রয়োগ, অপব্যবহার, এআইয়েরর অপব্যবহার রোধ করা হবে। তবে আমরা যদি সবাই সচেতন থাকি, তাহলে কিছুটা অবশ্যই করা সম্ভব।’
‘প্রায় ৫০ শতাংশের উৎস দেশের বাইরে’
নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, বর্তমান সময়ে তথ্যের প্রবাহ থামানো যাবে না। কারণ, ৫০ শতাংশের বেশির উৎস ট্রেসই (শনাক্ত) করা সম্ভব নয়; কোত্থেকে উৎপত্তি হচ্ছে, এটাই বের করা যাবে না। এটা একটা বৈশ্বিক বাস্তবতা। প্রায় ৫০ শতাংশের উৎস দেশের বাইরে। মেটাসহ (ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান) যতগুলো প্রোভাইডার আছে, এরা যে মানদণ্ডে একটা জিনিসকে সরিয়ে দেয়, সেই মানদণ্ডে বেশির ভাগই পড়ে না। তার মানে, চাইলেও সে সরাবে না কন্টেন্টটা।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘তাহলে আমরা কী করতে পারি? আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রথমত ভালো তথ্যের প্রবাহ বাড়িয়ে খারাপ তথ্যকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।...আমরা ভালো তথ্যের প্রবাহ বাড়াব, যেগুলো খারাপ তথ্য আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেগুলোর ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেটা সরানো সম্ভব, তা সরানো, যেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, তার পরিবর্তে একটা সঠিক তথ্য যথাযথ সময়ে তুলে ধরা; যাতে মানুষ অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই কাজগুলো করব।’
ভোটার তালিকা ১৮ নভেম্বর
পোস্টাল ভোটিংয়ের নিবন্ধনের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার ইসি ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামের একটি অ্যাপ উদ্বোধন করতে যাচ্ছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, একটা উল্লেখযোগ্য সাড়া পাব।...যে প্রবাসী বাংলাদেশি ভাই–বোনেরা ইতিমধ্যে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত আছেন, তাঁরা চাইলে ভোট দিতে পারবেন। পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে ভোট দেওয়া যাবে।’
তবে গত ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রবাসীদের মধ্যে যাঁরা ভোটার হতে আবেদন করেছেন, আপাতত তাঁরা ভোট দিতে পারবেন বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবরের পর যাঁরা হচ্ছেন, তাঁদের নেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, ১৮ নভেম্বর একটা ভোটার তালিকা প্রণয়ন হয়ে যাবে।
অবশ্য নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, ‘দেশের ভেতরে যদি কেউ এখনো বাদ পড়ে থাকেন ভোটার তালিকায়, তাঁদের জন্য সুযোগ আছে। কারণ, আমাদের তফসিল ঘোষণার পরও আমরা ভোটার তালিকার একটা ফাইনাল ইভেন্ট (সংস্করণ) বের করব। তখন পর্যন্ত আমরা কাউকে পেলে নিয়ে নেব।’