কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের লক্ষ্যে ‘এআই অ্যান্ড আই’ নামের নতুন কর্মসূচি চালু করেছে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি কর্মীদের ক্ষমতায়ন নতুন এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য বলে আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে গ্রামীণফোন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এআই অ্যান্ড আই কর্মসূচি গ্রামীণফোনের ‘এআই ফার্স্ট’ যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এ কর্মসূচির আওতায় গ্রামীণফোনের অভ্যন্তরীণ কাজে এআইয়ের কার্যকর সমন্বয় ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। এরই মধ্যে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে গ্রাহকসেবা ও বিপণন—সব কার্যক্রমে এআই ব্যবহার শুরু করেছে গ্রামীণফোন। এর মাধ্যমে ৮ কোটি ৬০ লাখের বেশি গ্রাহকদের চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী দ্রুত সেবা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন৯,৯৯০ টাকায় নতুন স্মার্টফোন আনল গ্রামীণফোন ও আইটেল২৮ জানুয়ারি ২০২৫

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘এআই অ্যান্ড আই অন্য সব কর্মসূচির মতো নয়, এটি একটি অভিযাত্রার সূচনা। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যৎ শুধু এককভাবে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে না, বরং এআই ও ব্যক্তি মানুষের যুগপৎ কার্যক্রম এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেক কর্মীর কাছে এআইয়ের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে। ফলে গ্রাহকদের আরও বুদ্ধিদীপ্ত, সহানুভূতিশীল ও প্রাসঙ্গিক সেবা প্রদানে সক্ষমতা বাড়বে আমাদের। এআই অ্যান্ড আইয়ের হাত ধরে গ্রাহকদের জন্য আরও স্মার্ট সেবা নিশ্চিত করব আমরা।’

আরও পড়ুনদেশে তৈরি ফোর–জি স্মার্টফোন আনল গ্রামীণফোন ও সিম্ফনি, দাম কত জানেন১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রসঙ্গত, সিসকোর সহযোগিতায় এবং এনভিআইডিআইএ জিপিইউ প্রযুক্তির মাধ্যমে ‘এআই ফ্যাক্টরি’ চালু করেছে গ্রামীণফোন। ফলে উচ্চ গতির এআই মডেলের উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের পাশাপাশি সব কর্মীর জন্য এআই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে গ্রামীণফোন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এআই অ য ন ড

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ