পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিল মানুষ। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। সংস্কার কার্যক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সব পক্ষকে নিয়ে কিছু করার যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, তার বাস্তবায়ন হয়নি।

আজ মঙ্গলবার রাঙামাটিতে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন সন্তু লারমা।

‘আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভবিষ্যৎ গঠনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সার্থক প্রয়োগ’—এই প্রতিপাদ্যে আঞ্চলিক পরিষদের সম্মেলনকক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় শুরু হওয়া সভায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা চাকমা।

সভায় সন্তু লারমা বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেতিবাচক দিক কাটিয়ে তার সার্থক প্রয়োগের ঘটিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন এগিয়ে নিতে হবে।

সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের যুবসমাজের প্রতিভার অভাব নেই। অনেকে অনেক কিছু জানেন। কিন্তু অধিকার নেই বলে এলাকার উন্নয়নে সেই জ্ঞান ব্যবহার করতে পারছেন না তাঁরা।

সভায় বক্তব্য দেন আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য চঞ্চু চাকমা, শিক্ষাবিদ শিশি কান্তি চাকমা, রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক জিতেন চাকমা, পর্যটন ব্যবসায়ী তণয় দেওয়ান প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ২৭ বছরেও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি। বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়ন হলে উন্নয়ন পরিকল্পনা করা যেত। চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় সমাজেও নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে যুব সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে শ্বশুড় বাড়ির সন্ত্রাসী হামলায় মা ও ছেলে জখম  

বন্দরে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রতিপক্ষ শ^শুর বাড়ির সন্ত্রাসী হামলায় মা ও ছেলে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা বসত ঘরে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে ঘরের ওয়ারড্রপে রক্ষিত নগদ ২ লাখ টাকা ও আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।

 সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো- মা সেলিনা বেগম (৫৫) ও ছেলে সেলিম (৩০)। স্থানীয়রা আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে  কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে সে সাথে তার মা আহত সেলিনা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য  ঢামেক হাসপাতালে রেফার্ড করে।

এ ব্যাপারে আহত জামাতা সেলিম মিয়া বাদী হয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার রাতেই হামলাকারি শশুড়  নান্টু মোল্লা ও তার ৩ সন্ত্রাসী ছেলে জুয়েল, মেহেদী, সোহাগ, স্ত্রী নিশী, শাশুড়ী পাখী, তন্নী ও মহনাকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

এর আগে গত রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় বন্দর থানার সোনাকান্দা এনায়েতনগরস্থ জালাল মিয়ার বসত বাড়ি সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

জানা গেছে, গত রোববার সন্ধ্যা পারিবারিক কলহের জের ধরে বিবাদী শশুড়  নান্টু মোল্লা ও তার ৩ সন্ত্রাসী ছেলে জুয়েল, মেহেদী, সোহাগ, স্ত্রী নিশী, শাশুড়ী পাখী, তন্নী ও মহনাগং দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জামাতা সেলিমের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।

ওই সময় হামলাকারি মেহেদী সেলিমের গালের বাম পাশে সজোরে কামড় মেরে রক্তাক্ত জখম করে। এ ছাড়াও শশুড় নান্টু মোল্লা, জুয়েল, সোহাগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য সেলিনা বেগমের মাথায়  এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে

এ ছাড়াও অন্যান্য বিবাদী নিশী,তন্নী, মহনা লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে উল্লেখিত টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ