পটুয়াখালীতে এক সাংবাদিককে বেঁধে পেটানোর হুমকি দেওয়া জেলা মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা বেগমের পদ স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাঁর পদ স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়। একই চিঠিতে জেলা মহিলা দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আনোয়ারা খানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, পটুয়াখালী জেলা মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা বেগম সীমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, দলের আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কারণে তাঁর দলীয় সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার এশিয়ান টিভির পটুয়াখালী প্রতিনিধি মো.

রাকিবুল হাসান ওরফে তনুকে বেঁধে পেটানোর হুমকি দেন মহিলা দল নেত্রী আফরোজা বেগম। এ–সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে জেলা মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা বেগমকে সাংবাদিক রাকিবুলের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘তুই কোন জায়গার সাংবাদিক? তোরে বাইন্দা জাকির ভাইকে ফোন দিতাম। এক্কালে ঘেডি নোইয়া কেউন্নামু। তোরে এইহানে বাইন্দা পিডাইলে কোনো সাংবাদিক আইবে না।’ এ সময় তিনি সাংবাদিক রাকিবুলের ব্যক্তিগত বিষয় জড়িয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে একটি পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা বেগম তাঁর এক আত্মীয়কে কল করে শেরেবাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে যেতে বলেন। এ সময় তিনি ও তাঁর আত্মীয়স্বজন ওই বিদ্যালয়ে গেলে আফরোজা বেগম তাঁকে বেঁধে পেটানোর হুমকিসহ অকথ্য ভাষায় গালমন্দ শুরু করেন। তিনি বলেন, ওই দিন ওই নেত্রীর কাছে যাওয়ার আগে তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নেত্রী তাঁদের ওপর চড়াও হন।

এ বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আফর জ

এছাড়াও পড়ুন:

‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।

আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।

এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।

ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’

১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ