নৌকায় বিস্ফোরণে দগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু
Published: 12th, August 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে নৌকায় রান্নার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ চার জেলের মধ্যে মো. ফারুক (৩৯) নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে, একই ঘটনায় শনিবার (৯ আগস্ট) মারা যান আমজাদ হোসেন (৪০)। দুজনই লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরবংশী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
বিদ্যালয়ের সিঁড়ির রেলিং থেকে পড়ে ছাত্রীর মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের হাওরে পর্যটকের মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ আগস্ট সকালে রামগতি মাছ ঘাট সংলগ্ন একটি খালে নৌকায় থাকা অবস্থায় গ্যাস সিলিন্ডারে রান্নার সময় লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে চার জেলে গুরুতর দগ্ধ হন।
আহতদের প্রথমে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল এবং সেখান থেকে ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে ৬৬ শতাংশ দগ্ধ আমজাদ হোসেন এবং পরে ৪৫ শতাংশ দগ্ধ ফারুক মারা যান। এ ঘটনায় ৩৫ শতাংশ দগ্ধ আব্দুল খায়ের (৩২) ও ৪০ শতাংশ দগ্ধ গনি খাঁ (৫০) এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নৌকার মালিক মিরাজ উদ্দিন কবি ব্যাপারী জানান, দগ্ধদের মধ্যে ফারুক ও আমজাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবস থ য় র মগত আমজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
পুরো আসনের ফল বাতিল করতে পারবে ইসি, ফিরছে ‘না’ ভোট
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথ বন্ধ করতে ‘না’ ভোটের বিধান চালু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া, ইসি চাইলে পুরো আসনের ফল বাতিল করতে পারবে।
সোমবার (১১ আগস্ট) কমিশন সভা শেষে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেছেন, “যদি কোনো আসনে একজন প্রার্থী থাকে, তাকে বিনা ভোটে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে না। কোনো আসনে যদি একজন প্রার্থী হয়, তাহলে তাকেও নির্বাচনে যেতে হবে। তার বিপক্ষ ‘না’ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সেখানে যদি ‘না’ হেরে যায়, তাহলে আর ভোট হবে না। তখন ব্যক্তি প্রার্থী বিবেচিত হবে।”
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও বাতিল নিয়ে যে বিধানগুলো ছিল, পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল করার বা ফলাফল বাতিল করার যে সক্ষমতা সীমিত করা হয়েছিল, সেটা পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। ইসি অবস্থা বুঝে এক বা একাধিক কেন্দ্র বা পুরো আসনের ফলাফল বাতিল করতে পারবে।”
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গণমাধ্যমকর্মীরা ভোট গণনার সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে, সেক্ষেত্রে গণনা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটা সময় থাকতে হবে। মাঝপথে বের হয়ে যাওয়া যাবে না।
জাতীয় নির্বাচনে এক আসনে দুইজন প্রার্থী সমান ভোট পেলে আগে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করার বিধান ছিল। কমিশন সেটা থেকে সরে এসেছে।
নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, “এক্ষেত্রে পুনঃনির্বাচন হবে। সংসদ সদস্যের ক্ষেত্রে লটারির বিধান রাখা উচিত বলে কমিশন মনে করে না।”
নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যয়ের বিষয়টি আরো সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “আগে ব্যক্তি পর্যায়ে ১০ লাখ, প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ৫০ লাখ অনুদান নিতে পারত, এখন সেটাকে ৫০ লাখ করা হয়েছে। তবে, শর্ত দেওয়া হয়েছে, ব্যাংক অ্যঅকাউন্টের মাধ্যমে এই লেনদেন হতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ট্যাক্স রিটার্নে এটা দেখাতে হবে।”
তিনি জানান, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে ভোট করতে হলে প্রত্যেকটি দলকে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।
ঢাকা/রফিক