‘শিক্ষকেরা স্বপ্ন দেখানোর পাশাপাশি স্বপ্নপূরণের সাহস জোগান’
Published: 12th, August 2025 GMT
একজন মানুষের জীবনে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মা–বাবার পর যদি কারও অবদান থাকে, তাহলে সেটা শিক্ষকদের। একজন শিক্ষক শুধু বইয়ের জ্ঞান দেন না, তিনি স্বপ্ন দেখানোর পাশাপাশি স্বপ্নপূরণের সাহস জোগান। শিক্ষকেরা সেই আলোকবর্তিকা, যাঁর আলোয় একজন মানুষ নিজের পথ খুঁজে পায়। প্রকৃত শিক্ষকেরাই গড়ে তোলেন একটি সভ্য জাতি।
গাজীপুরে ‘আইপিডিসি-প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে আলোচকদের বক্তব্যে উঠে আসে এমন কথা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গাজীপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শুরু হওয়া এই সুধী সমাবেশে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সুধী সমাবেশে ‘আখতার স্যার’ ও ‘মজুমদার স্যার’ শিরোনামে দুটি ভিডিও চিত্র দেখানো হয়। শিক্ষকদের প্রতি সম্মান জানানোর ভিডিও দেখে উপস্থিত সবাই আবেগপ্লুত হয়ে পড়েন।
আইপিডিসি-প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় বদলে যেতে পারে শিক্ষার্থীর জীবন
লেখাপড়া প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এক বছর লেখাপড়া শেষে একটা পরিপূর্ণ মূল্যায়ন পেতে চায়। পরীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর সঠিক মূল্যায়ন পাওয়া সম্ভব। তাই জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা একজন শিক্ষার্থীর জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। একজন শিক্ষার্থীর জীবন এ বৃত্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়েই বদলে যেতে পারে।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুধু একটি পরীক্ষাই নয়, বরং একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ গঠনের একটি শক্তিশালী ভিত্তি। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থী ধীরে ধীরে এই পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকে। এতে করে তার মধ্যে লক্ষ্য নির্ধারণ, পড়ার প্রতি আগ্রহ এবং নিয়মিত অধ্যবসায়ের অভ্যাস গড়ে ওঠে।
একজন শিক্ষার্থী যখন বৃত্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে, তখন তার মানসিক বিকাশের পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়। এই আত্মবিশ্বাস একজন শিক্ষার্থীর জন্য অনেক দরকার। ভবিষ্যৎ লেখাপড়ার প্রতিযোগিতামূলক সড়কে একমাত্র পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থী নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আবার শুরু হতে যাচ্ছে। অবশ্য এ উদ্যোগ ঘিরে বিভক্ত মত রয়েছে শিক্ষাবিদদের মধ্যে। এই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের অভিমত ছাপা হচ্ছে শিক্ষায়আর এই বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে একটি স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ পায়। একজন শিক্ষার্থী যখন বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়, তখন সে শুধু নিজেই গর্বিত হয় না, তার পরিবার, বিদ্যালয় এবং সমাজও তার ওপর গর্ববোধ করে। এতে তার মধ্যে আরও ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়। পড়াশোনায় সে আরও মনোযোগী হয়ে ওঠে এবং ভবিষ্যতে ভালো ফলাফলের জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জন করে। এই সাফল্য পরবর্তীকালে তার শিক্ষা ও কর্মজীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুনঅষ্টম শ্রেণিতে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে, আছে প্রশ্নও২৮ জুলাই ২০২৫রাবেয়া সুলতানা, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা