বাবাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার মামলায় ছেলে গ্রেপ্তার
Published: 12th, August 2025 GMT
হবিগঞ্জের মাধবপুরে অভিযান চালিয়ে বাবাকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ছেলে মাসুক মিয়াকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে র্যাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে, সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের হরিণখোলা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরো পড়ুন:
স্ত্রী হত্যার দায়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার আমৃত্যু কারাদণ্ড
রাজধানীতে দুই মরদেহ নিয়ে চাঞ্চল্য, স্বজনদের অভিযোগ ‘হত্যা’
মামলার এজাহার ও র্যাব সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার তারাউল্লা গ্রামের ধনু মিয়ার দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর ঘরে পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে।
ধনু মিয়া প্রথম পক্ষের ছেলেদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। তবে প্রথম পক্ষের কয়েকজন ছেলে জমি দলিল করে দেওয়ার জন্য চাপ দেন।
এতে ধনু মিয়া রাজি না হওয়ায় গত ২৬ জুলাই সকালে স্থানীয় মসজিদের সামনে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ধারালো দা দিয়ে বাবাকে এলোপাতাড়ি কোপায় ছেলে মাসুক। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পর ধনু মিয়া বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। মামলার পর থেকে পলাতক মাসুককে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রাতে র্যাব-৯ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিপিসি-১ ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের সিপিসি-৩ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত মাসুককে নাসিরনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গুরুতর অপরাধ দমনে তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা/মামুন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অভ য গ ন স রনগর
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মেঘনা গ্রুপের কর্মকর্তাসহ দুজন নিহত
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী ও কবিরহাট উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মেঘনা গ্রুপের এক কর্মকর্তাসহ দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তি হলেন মেঘনা গ্রুপের (ফ্রেশ) আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক গোলাম ছারওয়ার (৪৫)। তিনি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার আবদুস সাত্তার মণ্ডলের ছেলে। নিহত অপরজন হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিরাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হায়দার (৫২)।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টার দিকে শহরের পশ্চিম মাইজদী এলাকায় মাইজদী-রাজগঞ্জ-ছয়ানী সড়কের নাহার কটেজের মোড়ে মোটরসাইকেল আরোহী মেঘনা গ্রুপের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক গোলাম ছারওয়ারকে পেছন থেকে চাপা দেয় একটি পণ্যবাহী গাড়ি। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে ওই গাড়ির পেছনের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে সুধারাম থানার পুলিশ গিয়ে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে এবং গাড়িটি আটক করে।
সুধারাম থানার উপরিদর্শক (এসআই) লন্ডন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়কের মোড় ঘুরতে গিয়ে সম্ভবত পণ্যবাহী গাড়িটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়েছে। এতে মোটরসাইকেল থেকে আরোহী গোলাম ছারওয়ার ছিটকে গাড়ির পেছনের চাকার নিচে পড়ে যান। গাড়িটি আটক করা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অপর দিকে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কবিরহাটের গ্রামের বাড়ি থেকে কিডনি ডায়ালাইসিস করানোর জন্য জেলা শহরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে যাচ্ছিলেন বেলাল হায়দার (৫২) নামের এক ব্যক্তি। পথে সুন্দলপুর ইউনিয়নের হাতাইল্লা পোল নামের স্থানে বিপরীত দিক হতে আসা একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে বেলালকে বহনকারী অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারের পর বেলাল হায়দারকে জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হন বেলালের স্ত্রী, অটোরিকশার চালক, প্রাইভেট কারের চালক, আরোহীসহ কমপক্ষে আরও পাঁচজন। তাঁরা জেলা শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে কবিরহাট থানার পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত ব্যক্তির লাশ পরিবার বাড়িতে নিয়ে গেছে।