বন্দরে পরিত্যক্ত একটি গোডাউন থেকে লুন্ঠিত সাড়ে ৪ টন রড সহ ৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে বন্দর উপজেলার ধামগড় মনারবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে  গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাকৃতরা হলো, ফারুক(৩২), লিয়াকত হোসেন ওরফে সলিমুল্লাহ  (৪০) ও গোডাউন ম্যানেজার সাদ্দাম (২৪)। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে ট্রাক চালক সজিব গণমাধ্যমকে জানায়, গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেট্রো ট ২৪-২০৬৪ নাম্বারের একটি রড ভর্তি ট্রাক নিয়ে এসিআই কোম্পানিতে আসার পথে  চৌরাপাড়া মোড়ে ট্রার্নিং নেওয়ার সময় ৩টি মোটর সাইকেল যোগে অজ্ঞাত  ডাকাত দল  দেশীয় অস্ত্র ঠিকিয়ে আমাকে বেদম মারধর করে ট্রাকটি ছিনিয়ে নেয়।

ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ট্রাকটি ডাকাতি হওয়ার সাথে সাথে ট্রাক ড্রাইভার সজিব ট্রাক ডাকাতি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবগত করে। পরে  আমরা সাথে জিপিএস ট্রেকিং এর মাধ্যমে ট্রাকটি গতি পথ সনাক্ত করে ধামগড় ফাঁড়ি পুলিশের সহযোগিতায় কাঁচপুর এলাকা থেকে ট্রাকটি উদ্ধার করি।

পরে মনারবাড়ি একটি চুনা কারখানার ভিতর থেকে ডাকাতি হওয়া আংশিক রড উদ্ধার করে। খবর পেয়ে  ম্যানেজার এসে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে চাইলে ধামগড় ফাঁড়ি পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করে  ঘটনাস্থলে আসা ম্যানেজারের কাছ থেকে একটি চেক গ্রহন করে উদ্ধারকৃত মালামাল হস্তান্তর করে।

ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন জানান, মঙ্গলবার ভোরে জাঙ্গাল এলাকায় অবস্থিত বিএসআরএম গোডাউন থেকে ২৮ টন রড নিয়ে একটি ট্রাক নাসিক ২৬ নং ওয়ার্ড এলাকায় অবস্থিত এসিআই  ফ্যাক্টরিতে যাচ্ছিল।

ওই সময় ট্রাকটি মদনপুর -মদনগঞ্জ সড়কের  ইস্পাহানি বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে ওই সময ১০/১৫ জন ডাকাতদল হেলপার / চালককে নামিয়ে রড ভর্তি ট্রাক নিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে জিপিএস প্রযুক্তি থাকায় কাঁচপুর থেকে খালি ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়।

পরে মনারবাড়ি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত গোডাউন থেকে লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার এবং ডাকাতির  ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ ড উন এল ক য় ধ মগড়

এছাড়াও পড়ুন:

১২ দিনের নতুন কর্মসূচি দিল জামায়াত

জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে ১ থেকে ১২ অক্টোবর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এর আগে একই দাবিতে সেপ্টেম্বর মাসে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল দলটি।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে ছাত্রলীগ কর্মীর ছুরিকাঘাতে জামায়াতের যুব বিভাগের নেতা নিহত

ক্ষমতায় গেলে কাউকে দাবি নি‌য়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে না: জামায়াতের আমির

পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

জামায়াত ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হলো-
৫ দফা দাবির পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে ১ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে গণসংযোগ। এ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা। গোলটেবিল বৈঠক। সেমিনার ইত্যাদি।

এছাড়া কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১০ অক্টোবর রাজধানীসহ সব বিভাগীয় শহরে গণমিছিল এবং ১২ অক্টোবর সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কাছে  স্মারকলিপি পেশ।

যে পাঁচ দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলো হলো-জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা। আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা। ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা। স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

এতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী জুলাই সনদকে আইনগত ভিত্তি দেওয়ার বিষয়ে জোরাল ভূমিকা পালন করে আসছে। জাতির ক্রান্তিলগ্নে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি' হিসেবে অতীতের বিভিন্ন নজির ও উদাহরণ তুলে ধরে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তির বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান বারবার ব্যক্ত করে আসছে। এ লক্ষ্যে জুলাই জাতীয় সনদের আইনগত ভিত্তি দেওয়ার জন্য আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে জামায়াত ইতোমধ্যে সরকারের কাছে দুটি প্রস্তাব করেছে।

প্রথমত, জুলাই জাতীয় সনদের জন্য ‘সংবিধান আদেশ' জারি করা। দ্বিতীয়ত, এই সনদের অধিকতর আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য নির্বাচনের আগে গণভোট করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, সেটা না হলে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ছাড়া ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অভ্যুত্থান ও তার অর্জন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে।

জনগণের দাবিগুলো কার্যকর করতে সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলে জানিয়েছে জামায়াত।

জামায়াতের এর আগে ঘোষণা করা পাঁচ দফা জনগণের কাছে যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি। তাই জনগণের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করার দাবি জানিয়েছে জামায়াত।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম ও হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সাইফুল আলম খান, মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল প্রমুখ।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৃদ্ধা মাকে তালাবদ্ধ করে ৮ দিন ধরে নির্যাতন করলো দুই ছেলে, উদ্ধার  
  • ১২ দিনের নতুন কর্মসূচি দিল জামায়াত
  • ১ থেকে ১২ অক্টোবর নতুন কর্মসূচি দিল জামায়াত