বন্দরে ডাকাতির লুন্ঠিত রড উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
Published: 12th, August 2025 GMT
বন্দরে পরিত্যক্ত একটি গোডাউন থেকে লুন্ঠিত সাড়ে ৪ টন রড সহ ৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে বন্দর উপজেলার ধামগড় মনারবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাকৃতরা হলো, ফারুক(৩২), লিয়াকত হোসেন ওরফে সলিমুল্লাহ (৪০) ও গোডাউন ম্যানেজার সাদ্দাম (২৪)। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে ট্রাক চালক সজিব গণমাধ্যমকে জানায়, গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেট্রো ট ২৪-২০৬৪ নাম্বারের একটি রড ভর্তি ট্রাক নিয়ে এসিআই কোম্পানিতে আসার পথে চৌরাপাড়া মোড়ে ট্রার্নিং নেওয়ার সময় ৩টি মোটর সাইকেল যোগে অজ্ঞাত ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র ঠিকিয়ে আমাকে বেদম মারধর করে ট্রাকটি ছিনিয়ে নেয়।
ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ট্রাকটি ডাকাতি হওয়ার সাথে সাথে ট্রাক ড্রাইভার সজিব ট্রাক ডাকাতি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবগত করে। পরে আমরা সাথে জিপিএস ট্রেকিং এর মাধ্যমে ট্রাকটি গতি পথ সনাক্ত করে ধামগড় ফাঁড়ি পুলিশের সহযোগিতায় কাঁচপুর এলাকা থেকে ট্রাকটি উদ্ধার করি।
পরে মনারবাড়ি একটি চুনা কারখানার ভিতর থেকে ডাকাতি হওয়া আংশিক রড উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ম্যানেজার এসে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে চাইলে ধামগড় ফাঁড়ি পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করে ঘটনাস্থলে আসা ম্যানেজারের কাছ থেকে একটি চেক গ্রহন করে উদ্ধারকৃত মালামাল হস্তান্তর করে।
ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন জানান, মঙ্গলবার ভোরে জাঙ্গাল এলাকায় অবস্থিত বিএসআরএম গোডাউন থেকে ২৮ টন রড নিয়ে একটি ট্রাক নাসিক ২৬ নং ওয়ার্ড এলাকায় অবস্থিত এসিআই ফ্যাক্টরিতে যাচ্ছিল।
ওই সময় ট্রাকটি মদনপুর -মদনগঞ্জ সড়কের ইস্পাহানি বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে ওই সময ১০/১৫ জন ডাকাতদল হেলপার / চালককে নামিয়ে রড ভর্তি ট্রাক নিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে জিপিএস প্রযুক্তি থাকায় কাঁচপুর থেকে খালি ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়।
পরে মনারবাড়ি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত গোডাউন থেকে লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার এবং ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ ড উন এল ক য় ধ মগড়
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: আসক
রংপুরে তারাগঞ্জ উপজেলা এলাকায় ভ্যান চুরির সন্দেহে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। মানবাধিকার সংগঠনটি বলছে, ঘটনাটি প্রচলিত আইন, সংবিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের দৃষ্টিতে অত্যন্ত বিপজ্জনক ও অগ্রহণযোগ্য।
আজ সোমবার সংগঠনটি এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।
৯ আগস্ট রাত ৯টার দিকে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা এলাকায় ভ্যানচোর সন্দেহে পিটিয়ে দুই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর এলাকার বাসিন্দা রুপলাল দাস (৪০) ও মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়াভাটা গ্রামের প্রদীপ দাস (৩৫)।
বিবৃতিতে আসক বলেছে, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে হত্যা করা আইনের শাসন ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সংবিধানের ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদে প্রত্যেক নাগরিকের আইনগত সুরক্ষা ও জীবন রক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে, যা এই ঘটনায় গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে।
গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটে চলেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনা দেশের নাগরিকের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি সামাজিক সম্প্রীতি ও আইনের শাসনের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ ও ভুক্তভোগী পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়ে আসক বলেছে, যেকোনো সংঘবদ্ধ প্ররোচনামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত গোষ্ঠী বা ব্যক্তিবিশেষকে দায়মুক্তি না দিয়ে তাদের শনাক্ত করে কঠোরভাবে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। কেননা এ ধরনের নির্মম ঘটনা মানবাধিকারের ভিত্তিকে সরাসরি আঘাত করে।
আসক–এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত অন্তত ১১১ জন নাগরিক ‘মব–সন্ত্রাসের’ শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন।