টেকনাফে ৫ জেলে নৌকাসহ ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
Published: 12th, August 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর মোহনায় মাছ ধরতে যাওয়া এক নৌকার পাঁচ জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন রাতে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় কোস্টগার্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার মোহাম্মদ ইলিয়াস (৪১), তাঁর ছেলে মোহাম্মদ নুর হোসেন (১৮) ও আক্কাল আলী (২০), কালু মিয়ার ছেলে সাবের হোসেন (২২) এবং মোহাম্মদ নুর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (২৫)।
সাবরাং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম জানান, সকালে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে তাঁরা মাছ ধরতে যান। এ সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা স্পিডবোটে এসে তাঁদের ধাওয়া করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যান। পাশের নৌকায় থাকা অন্য জেলেরা ফিরে এসে মালিককে বিষয়টি জানান।
শাহপরীর দ্বীপ ক্ষুদ্র মৎস্য সমিতির সভাপতি আবদুল গনি বলেন, একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচ জেলে ইলিয়াসের মালিকানাধীন নৌকায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তাঁদের মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলেদের স্বজনেরা কোস্টগার্ড ও বিজিবিকে খবর দিয়েছেন।
যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.
উল্লেখ্য, এর আগে ৫ আগস্ট সকালে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া-সংলগ্ন নাফ নদীর জলসীমা থেকে দুই জেলেকে একইভাবে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। তাঁদের এখনো ফেরত দেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ২১১ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বিজিবির প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি নৌকা ফেরত আনা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর ক ন আর ম ম হ ম মদ
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।