উচ্চগতির ট্রেনে লাফিয়ে উঠে গ্রেপ্তার
Published: 13th, August 2025 GMT
অস্ট্রিয়ায় উচ্চগতির একটি ট্রেন যাত্রাবিরতিতে স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল, এক যাত্রী ভাবলেন এই ফাঁকে স্টেশনে নেমে একটু ধূমপান করা যাক। যেমন ভাবনা তেমন কাজ—ওই যাত্রী স্টেশনে দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুঁকছিলেন। এদিকে যাত্রাবিরতি শেষে নির্ধারিত সময়ে চলতে শুরু করেছে ট্রেন।
স্টেশনে নেমে যাওয়া ওই যাত্রী যতক্ষণে ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি টের পান, ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। ট্রেনটি স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম প্রায় পেরিয়ে যাচ্ছিল। ওই ব্যক্তি ট্রেনের পেছনে ছুটতে শুরু করেন, লাফিয়ে উঠে পড়েন দুই বগির মাঝখানের ফাঁকা জায়গায়!
ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী ভিয়েনা থেকে ৬৪ কিলোমিটার দূরে সেন্ট পোল্টেন স্টেশনে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন আলজেরীয় এক তরুণ, বয়স ২৪ বছর। তিনি যে ট্রেনটিতে লাফিয়ে ওঠেন, সেটি ইউরোপে চলাচল করা উচ্চগতির ‘রেলজেট’ ট্রেন। এই ট্রেন সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার গতিতে ছোটে। ট্রেনটি সুইজারল্যান্ডের জুরিখ থেকে ভিয়েনা যাচ্ছিল।
স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার সময় ওই ব্যক্তি যখন ট্রেনে লাফিয়ে ওঠেন, তখন সেটি কত কিলোমিটার গতিতে চলছিল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আলজেরীয় ওই তরুণ লাফিয়ে দুই বগির মাঝের জায়গায় উঠেই অন্য যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হাত দিয়ে জোরে জোরে ট্রেনের জানালায় বাড়ি দিতে শুরু করেন। পরে জরুরি ব্রেক চেপে ট্রেন থামিয়ে ওই ব্যক্তিকে সেখান থেকে বের করে ট্রেনের ভেতরে নেওয়া হয়। অস্ট্রিয়ার একটি পত্রিকা বলেছে, ওই তরুণকে ভেতরে নেওয়ার পর তাঁর সঙ্গে ট্রেনের কর্মীর তীব্র বাগ্বিতণ্ডা হয়।
অস্ট্রিয়ান রেলের (ওবিবি) একজন মুখপাত্র বলেন, এ কাণ্ডের কারণে ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে সাত মিনিট বিলম্বে ভিয়েনা পৌঁছায়।
ওই মুখপাত্র এএফপিকে আরও বলেন, ‘এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ; এ ধরনের ঘটনা সাধারণত মৃত্যুর মধ্য দিয়েই শেষ হয়। আর আপনি এতে শুধু নিজেকেই বিপদে ফেলছেন না; যদি ট্রেনের নিচে চলে যান, তখন উদ্ধারকর্মী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস—সবাইকে আসতে হবে।’
সৌভাগ্যক্রমে ওই তরুণ প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেপ্তার এড়াতে পারেননি। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট র নট
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত
অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ