যশোরে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর আবারও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
Published: 13th, August 2025 GMT
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে বের হয়েই আবার অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন শার্শা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কবীর উদ্দীন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
কবির উদ্দিন ওরফে তোতা শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।
পুলিশ বলছে, কবির উদ্দিনকে চাঁচড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে স্বজনদের দাবি, জেলগেট থেকেই তাঁকে আটক করে শার্শা থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশ। পরে আরেকটি চাঁদাবাজি মামলায় তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক রোকসানা খাতুন ও জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক ভুঞা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৬ মার্চ বিদেশে যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কবির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে নাশকতা, চাঁদাবাজিসহ তিনটি মামলা রয়েছে।
জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক ভুঞা বলেন, ‘শার্শা থানায় কবির উদ্দিন বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। শার্শা থানা-পুলিশের সহযোগিতায় তাঁকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়।
চাঁদাবাজি মামলাটির বাদী শার্শার ব্যবসায়ী রিজাউল ইসলাম। মামলায় কবির উদ্দিনসহ সাতজন আসামি। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শার্শা বাজারে বাদীর দোকান রয়েছে। ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চেয়ারম্যান কবির উদ্দিনের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা বাদীসহ আরও কয়েক ব্যবসায়ীকে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে ডেকে নিয়ে যান এবং ৫ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে বাদী ৩ লাখ টাকাসহ সবাই মোট ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চাঁদা দেন। সে সময় আসামিদের ভয়ে বাদী প্রতিবাদ করতে পারেননি। পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ায় তিনি শার্শা থানায় মামলা করেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ