‘ঘাম ও রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না। আমরা ওদের এত গুরুত্ব দিই কেন?’

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ভারতের বর্জন করা উচিত কি—ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার করা প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন হরভজন সিং।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এশিয়া কাপ। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এ টুর্নামেন্টে ‘এ’ গ্রুপে আরব আমিরাত ও ওমানের সঙ্গে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। সূচি অনুযায়ী, ১৪ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপে নিজেদের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান।

আরও পড়ুন৩৪ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের১ ঘণ্টা আগে

এবারের এশিয়া কাপ নিয়ে জটিলতা বাড়ে গত মে মাসে ভারত ও পাকিস্তান সামরিক সংঘাতে জড়ালে। এসিসির এই দুই প্রভাবশালী দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে ক্রিকেট খেলবে না—এমন আলোচনাও ওঠে তখন। ২৪ জুলাই ঢাকায় এসিসি এজিএম হওয়া নিয়েও মুখোমুখি দাঁড়ায় দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। শেষ পর্যন্ত অনলাইনে এজিএমে যোগ দেয় বিসিসিআই। এজিএমের পর এক্সে করা পোস্টে এশিয়া কাপের দিন-তারিখ ও সূচি প্রকাশ করেন এসিসি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।

তবে এর মধ্যে অন্য ঘটনাও ঘটেছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডস (ডব্লিউসিএল) টুর্নামেন্টে ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নস দলে খেলেছেন হরভজন। গ্রুপ পর্ব ও সেমিফাইনালে ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নস পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নসের সঙ্গে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। গত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এ টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বর্জন করেন ভারতের সাবেকেরা।

হরভজনের মতে, ‘জাতি সবার আগে’ এবং তিনি মনে করেন প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে এশিয়া কাপে খেলতে অস্বীকৃতি জানানো উচিত হবে ভারতের, ‘তাদের বুঝতে হবে, কোনটা গুরুত্বপূর্ণ ও কোনটা অগুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে ব্যাপারটা এমনই। যেসব সৈন্য সীমান্তে আছেন, পরিবারের সঙ্গে দেখা হয় না সেভাবে, কখনো কখনো নিজেদের জীবন উৎসর্গ করছেন এবং আর কখনোই বাড়ি ফেরেন না, তাঁদের ত্যাগ আমাদের সবার জন্যই অনেক বড় ব্যাপার। সে তুলনায় একটি ক্রিকেট ম্যাচ ছাড়াটা খুবই সামান্য বিষয়।’

আরও পড়ুনআন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে চমকের নাম ফয়সাল২ ঘণ্টা আগে

ভারতের হয়ে ১০৩ টেস্টে ৪১৭ উইকেট নেওয়া ৪৫ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটার আরও বলেন, ‘আমাদের সরকারেরও একই অবস্থান। রক্ত ও ঘাম একসঙ্গে বইতে পারে না। সীমান্তে লড়াই চলছে আর আমরা ক্রিকেট খেলতে নেমে পড়ছি, এটা হতে পারে না। এ বড় ইস্যুগুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ক্রিকেট খুবই ছোট বিষয়। জাতি সবার আগে।’

হরভজন ব্যাখ্যা করেন, ‘আমাদের যা কিছু পরিচয়, সবই এই দেশের জন্য। সেটা আপনি খেলোয়াড়, অভিনেতা কিংবা যাই হোন—কেউ জাতির চেয়ে বড় নয়। সবার আগে দেশ এবং যে দায়িত্ব আসে, সেটা পালন করতেই হবে। দেশের বিষয়ে ক্রিকেট ম্যাচ না খেলাটা খুবই সামান্য ব্যাপার।’

২০০৭ সালে বেঙ্গালুরু টেস্টে ভারতের হরভজন সিং (বাঁয়ে) ও পাকিস্তানের শোয়েব আখতার। ওই ম্যাচের পর দুই দল আর কখনো টেস্টে মুখোমুখি হয়নি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আধুনিক টিভির যত আধুনিক সুবিধা

টেলিভিশনকে বাংলায় বলা হয় ‘দূরদর্শন’। মাত্র কয়েক বছর আগেও এটি সত্যিই ছিল দূরদর্শনের মাধ্যম—দূরের কোনো ঘটনা চোখের সামনে এনে দেওয়ার একটি যন্ত্র। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে টিভির সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য ও ব্যবহার। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতিতে আজকাল টিভি হয়ে উঠেছে একটি ‘স্মার্ট হাব’, যেখানে সিনেমা দেখা, গেম খেলা, ভিডিও কল করা, এমনকি বাড়ির অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আধুনিক টিভিগুলোর সুবিধা কেবল ছবি বা সাউন্ডে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এগুলো এখন ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স।

স্মার্ট অপারেটিং সিস্টেম

বর্তমান প্রজন্মের টিভিগুলো শুধু নাটক কিংবা সিনেমা দেখার একটি স্ক্রিন নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ স্মার্ট ডিভাইস। স্মার্ট টিভিতে অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) হিসেবে টাইজেন, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, রোকু টিভি এবং ওয়েবওএস ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। এই সিস্টেমগুলোর মাধ্যমেই বর্তমান যুগের টিভিগুলো হয়ে উঠছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর। ব্যবহারকারীরা এখন চাইলেই স্মার্ট টিভিগুলোতে নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, স্পটিফাই, অ্যামাজন প্রাইম কিংবা যেকোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মও সরাসরি উপভোগ করতে পারেন।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘অ্যাপ স্টোর ইন্টিগ্রেশন’। টিভিতেই এখন মোবাইলের মতো অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। ওয়েদার অ্যাপ, গেমস, নিউজ—এমনকি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপও ব্যবহার করা যায় টিভির বড় স্ক্রিনে।

ভয়েস কন্ট্রোল: কথা বলেই নিয়ন্ত্রণ

রিমোট খোঁজার ঝামেলা এখন যেন অতীত। আগে টিভির সবকিছু রিমোট দ্বারা পরিচালিত হলেও এখনকার আধুনিক টিভিগুলোতে আছে ভয়েস কন্ট্রোল—যেখানে ব্যবহারকারীর ভয়েস দ্বারাই টিভি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই প্রযুক্তি বিক্সবি, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যালেক্সার মতো ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে কাজ করে। এর পাশাপাশি কিছু হাই-এন্ড মডেলে রয়েছে জেসচার কন্ট্রোল—যেখানে হাত নাড়লেই টিভি রেসপন্স করে। টিভি চালু-বন্ধ করা, চ্যানেল পরিবর্তন—এমনকি ভলিউম বাড়ানো-কমানোর মতো কাজও করা যায় হাতের ইশারায়। এ ক্ষেত্রে গ্যালাক্সি ওয়াচের কথা বলা যায়। এটি হাতের নড়াচড়াকে শনাক্ত করে এসব কমান্ড কার্যকর করে।

মাল্টি-ডিভাইস কানেকটিভিটি: এক স্ক্রিনে সব সংযোগ

বর্তমানে টিভি শুধু সম্প্রচার মাধ্যম নয়; এটি হয়ে উঠেছে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল ইউনিট। মোবাইল ফোন, স্পিকার, ল্যাপটপ, গেমিং কনসোল—সব ডিভাইস এখন টিভির সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত করা যায়।

বেশির ভাগ স্মার্ট টিভিতে রয়েছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, এইচডিএমআই এআরসি, এয়ার প্লে, মিরাকাস্টসহ বিভিন্ন সুবিধা। ফলে ব্যবহারকারী চাইলে নিজের ফোনের ছবি, ভিডিও বা প্রেজেন্টেশন মুহূর্তেই বড় স্ক্রিনে শেয়ার করতে পারেন। সেই সঙ্গে আধুনিক টিভিগুলোতে রয়েছে গেমারদের জন্য এইচডিএমআই ২.১ পোর্ট এবং কম ইনপুট ল্যাগযুক্ত ডিসপ্লে, যা গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে করে তোলে আরও স্মুথ।

আধুনিক টিভিগুলো ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কঙ্কনার সঙ্গে বিচ্ছেদ ও সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন রণবীর
  • আধুনিক টিভির যত আধুনিক সুবিধা
  • রওশন জাহান: বোন, শিক্ষক ও সহযোদ্ধা
  • বিদেশি খেলোয়াড়, দেশি খেলোয়াড় চিন্তা করে বাংলাদেশ জিততে পারবে না—বললেন শমিত
  • দীর্ঘস্থায়ী দাম্পত্য জীবনের মূলমন্ত্র কী? জানালেন ৮৪ বছর ধরে একসঙ্গে থাকা এই দম্পতি