সিলেটে ‘পাওনা টাকা নিয়ে’ বিরোধের জেরে আজাদুর রহমান (২৫) নামের এক যুবক ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় মো. বদরুল (২০) নামের আরেক যুবক আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সিলেট সদর উপজেলার খাদিম জাতীয় উদ্যান–সংলগ্ন বড়গুল চা–বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আজাদুর ও বদরুল গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। আজাদুর শ্রমিক ও বদরুল পেশায় ট্রলিচালক। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছুরিকাহত অবস্থায় তাঁদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আজাদুরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বদরুল সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।

আজাদুরের ছোট ভাই সৈয়দুল আলম খালেদের অভিযোগ, একই গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন ওই দুজনকে ছুরিকাঘাত করেছেন। দেলোয়ার গতকাল বিকেলে তাঁর ভাইকে মুঠোফোন খাদিম উদ্যানের দিকে ডেকে নেন। এরপর তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়। আজাদুরের কাছে দুই হাজার টাকা পাওয়ার দাবি করে আসছিলেন দেলোয়ার। বিষয়টি তাঁকে (সৈয়দুল) ও তাঁদের মাকে জানিয়েছিলেন দেলোয়ার। তাঁরা টাকা পরিশোধের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। সেই টাকার জন্যই আজাদুরের জীবন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে দেলোয়ার পলাতক আছেন।

আজাদুরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে হয়েছে বলে জানান সিলেট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পাওনা টাকার জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আজ দ র র বদর ল

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ