নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার মগড়া নদী থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় রিজন মিয়া (২২) নামের এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের দুই দিন পর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের ঘাগড়া গ্রাম–সংলগ্ন নদী থেকে তাঁর অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, নিখোঁজের সময় রিজনের কাছে ১২ লাখের বেশি টাকা ছিল।

রিজন মিয়া জেলা শহরের পশ্চিম নাগড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা (এমএফএস) বিকাশ এজেন্টের কর্মী হিসেবে জেলা শহরে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার সকালে নেত্রকোনা শহরের বিকাশ এজেন্টের কার্যালয় থেকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা নিয়ে বের হন রিজন। সর্বশেষ বেলা তিনটার দিকে তিনি সদর উপজেলার বাজারে অবস্থান করছিলেন। এরপর থেকে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাঁকে না পেয়ে ওই রাতে পরিবারের লোকজন নেত্রকোনা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গতকাল সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে মগড়া নদীতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গলিত লাশটি ভাসতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে লাশটিকে রিজনের বলে শনাক্ত করেন তাঁর পরিবারের লোকজন।

এ বিষয়ে আটপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, লাশের সুরতহাল শেষে পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি আজ বুধবার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে রিজনের নিহতের খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। তাঁদের মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য ফাহিম খান পাঠান ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘কে জানত, এটাই হবে রিজনের শেষ ডিউটি! বিকেলে কে বা কারা তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায় মোটরসাইকেলটি বাজারে রেখেই। আজ (মঙ্গলবার) তাঁর লাশ আটপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রিজনের এরিয়া ছিল দুগিয়া, আমতলা, সদর নেত্রকোনা। এ দেশে নিরাপত্তা বলতে কিচ্ছু নেই। কর্মক্ষেত্রে গিয়ে সেফলি বাসায় ফেরার মতো নিরাপত্তা নেই। এ দেশে আছে লুটপাট, চাঁদাবাজি এবং পেশিশক্তির অপব্যবহার।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ত রক ন পর ব র র জন র

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ