বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি পূরণে অন্তর্বর্তী সরকারকে একমাস সময় দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। দাবি না মানলে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বুধবার (১৩ আগস্ট) শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর প্রেস ক্লাবের সামনে এসে আন্দোলনরত শিক্ষকেদের মাঝে এ ঘোষণা দেন জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজী।সচিবালয়ে যাওয়া শিক্ষকদের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলে তিনিও ছিলেন।

জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজী বলেন, “আমাদের দাবি যৌক্তিক, এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও স্বীকার করেছেন। কিন্তু তারা যৌক্তিক দাবি পূরণে গড়িমসি করছেন। আমরা দাবি আদায়ে ৩০ দিন সময় বেঁধে দিচ্ছি। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে সর্বাত্মক আন্দোলনে যাব।”

আরো পড়ুন:

৬ ঘণ্টা পর রেলপথ ছাড়লেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

বিসিএসে অযৌক্তিক অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

তিনি আরো বলেন, “এক মাসের মধ্যে আমাদের দাবি মানা না হলে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর অর্ধদিবস এবং ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালান করা হবে। তাতেও না হলে ১২ অক্টোবর থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।”

সদস্য সচিব বলেন, “মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া ৫০% থেকে ৭৫% করে ডিউ লেটার অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তারা বলেছেন, সব দাবি একবারে পূর্ণ করা সম্ভব নয়। আমরা এই দাবিগুলো পূরণে কী পরিমাণ অর্থ লাগবে তা নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করব। প্রস্তাব রেখেছি, আমাদের বাড়ি ভাড়া পার্সেন্টেজ হিসেবে বাড়াতে হবে।”

তিনি বলেন, “মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে ২০% বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করে অর্থ মন্ত্রণালযয়ে পাঠানো হবে। চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে ১০০০ করা হবে। আমরা এই বিষয় নিয়ে আর বেশি কিছু বলিনি। আমরা বাড়ি ভাড়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। যদি আমাদের দাবিগুলো মেনে অর্থ মন্ত্রণালযয়ে ডিউ লেটার পাঠানো না হয় তাহলে আমরা নতুন কর্মসূচিতে যাব।”

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাঈনুদ্দিন আহমেদ শিক্ষক সমাবেশ সারা দেশে থেকে আগত শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানিয়ে আগামীতে আন্দোলন সংগ্রামে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে সমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এরপর প্রেস ক্লাবের আশেপাশের এলাকার যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র দ ব সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ