বিশ্বের সর্ববৃহৎ এনজিও ব্র্যাকের সহযোগিতায় ব্র্যাক ব্যাংক একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগের আওতায় ব্র্যাক ব্যাংকে নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন কর্মীদের ব্র্যাকের মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে ফিল্ড ভিজিটের আয়োজন করা হয়।

এই উদ্যোগের ফলে ব্যাংকটির নতুন কর্মীরা দেশের বিভিন্ন গ্রামীণ অঞ্চলে ব্র্যাকের পরিচালিত কমিউনিটিভিত্তিক কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পান।

বর্তমানে প্রতি মাসে নতুন কর্মীদের নিয়ে দুটি করে এক্সপোজার ভিজিটের আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে প্রতি মাসে ৮০ জন করে বছরে প্রায় ১ হাজার জন কর্মী অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। এ ছাড়া প্রতিবছর দুবার করে লিডারশিপ টিমের জন্যও এই ভিজিটের আয়োজন করা হয়। এমন ভিজিটের মাধ্যমে নতুন কর্মীরা ব্র্যাকের সমন্বিত উন্নয়ন কৌশল সম্পর্কে জানার সুযোগ পান।

এই উদ্যোগের উন্মেষ হলো, ব্র্যাক ও ব্র্যাক ব্যাংকের মাঝে সেতুবন্ধকারী প্রতিষ্ঠাকালীন ভিশনের সঙ্গে সবাইকে পরিচিত করা। মাঠপর্যায়ের এমন ভিজিটের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা অন্তর্ভুক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, জলবায়ু সহনশীলতা, জীবনমান উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন সরাসরি দেখার সুযোগ পান।

এসব ভিজিটের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মীরা কীভাবে ব্যাংকটির আর্থিক সেবা ব্র্যাকের বৃহত্তর লক্ষ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করছে, সে বিষয়ে জানতে পারেন। ব্যাংকটির কর্মীরা বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রেক্ষাপটে ব্র্যাকের ভূমিকা সম্পর্কে আরও সুস্পষ্টভাবে জানার সুযোগ পান। বিভিন্ন কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ব্যাংকটির মিশনকে আরও মানবিক করে তুলতে সহায়তা করছে, যা দেশে আর্থিক সেবার প্রভাবকে আরও দৃশ্যমান করে তুলতে ভূমিকা রাখছে।

এই ভিজিট কর্মীদের মধ্যে অনুপ্রেরণা জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে মূল্যবোধ, সহানুভূতি ও সামাজিক দায়িত্ববোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে অবদান রাখছে। প্রতিটি ভিজিট অনেকগুলো ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত থাকে, যেখানে রয়েছে পরিচিতিমূলক ব্রিফিং, কর্মসূচিভিত্তিক ওরিয়েন্টেশন এবং দুটি ভিন্ন জায়গায় দিনব্যাপী ফিল্ড ভিজিটের অভিজ্ঞতা। ব্র্যাকের সমন্বিত উন্নয়ন মডেল সম্পর্কে জানার মাধ্যমে কর্মীরা ক্রস-সেক্টরাল সলিউশন সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন, যা গ্রাহকদের ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তাঁদের সহায়তা করে।

অনবোর্ডিং প্রক্রিয়ায় মাঠপর্যায়ের ভিজিট অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক একটি মূল্যবোধনির্ভর ওয়ার্ক ফোর্স গঠনের ব্যাপারে ব্যাংকটির প্রতিশ্রুতি আরও জোরদার করেছে। এই উদ্যোগ ব্যাংকটির সেবাগ্রহণকারী গ্রাহকদের সম্পর্কে কর্মীদের ধারণা লাভের সুযোগ প্রদান করে, যা ব্যাংকটির গ্রাহকসেবার উন্নয়নেও সহায়তা করছে।

এই উদ্যোগ ব্র্যাক ব্যাংকের ইন্টারনাল কালচারের উন্নয়নের পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবার সঙ্গে যুক্ত করার একটি কার্যকর মডেল হিসেবে কাজ করছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর থ ক স ব কর ম দ র কর ম র

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স পরীক্ষায় ৩০ মিনিট বাড়তি সময় পাবেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ কেন্দ্রে ২০২৪ সালের অনার্স ১ম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপলসি) পরীক্ষার্থী থাকলে নিচের শর্তে ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় পাবেন। গতকাল রোববার (১০ আগস্ট) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. এনামুল করিম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনএসএসসিতে ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণ: ঢাকা বোর্ডে নতুন জিপিএ-৫ পেল ২৮৬, ফেল থেকে পাস ২৯৩১০ আগস্ট ২০২৫দরকারি শর্ত জেনে নিন—

১. অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতিবন্ধী সনদ থাকতে হবে।

২. পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ২ (দুই) কর্মদিবস আগে অধ্যক্ষ রা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের তথ্য (প্রবেশপত্রের কপি ও প্রতিবন্ধী সনদের কপি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বা সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর পাঠাতে হবে।

৩. প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র আলাদাভাবে গালাসিল করে ‘মো.আবদুস সামাদ, অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত), অনার্স ১ম বর্ষ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর-১৭০৪’ এই ঠিকানায় পাঠাতে হবে। প্যাকেটের ওপরে ‘প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র’ লাল কালিতে লিখতে হবে।

* বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট

আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যের চেভেনিং বৃত্তি, ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটিতে পড়তে চাইলে করুন আবেদন১০ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দ্রুত হাঁটলে আয়ু বাড়ে: গবেষণা
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স পরীক্ষায় ৩০ মিনিট বাড়তি সময় পাবেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা