ভারতকে এমন শিক্ষা দেবো, কখনোই ভুলবে না: শাহবাজ শরিফ
Published: 13th, August 2025 GMT
সিন্ধু নদের পানি বণ্টন নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আবারো বেড়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পর এবার ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। খবর জিও নিউজের।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে ইসলামাবাদে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “‘আমি শত্রুদের পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, যদি আমরা আমাদের পানির এক ফোঁটাও কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেবো না। যদি আপনারা আমাদের পানি আটকে রাখার পরিকল্পনা করে থাকেন এবং এ সংক্রান্ত কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে আপনাদের উচিত শিক্ষা দেবো। এমন শিক্ষা দেবো, কখনো তা ভুলবেন না।”
গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের পেহেলগামে ভয়াবহ বন্দুক হামলায় ২৫ ভারতীয় এবং এক নেপালি পর্যটক নিহত হন। ভারতের দাবি, ওই হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত ছিল, তবে পাকিস্তান বরাবরই ওই দাবি নাকচ করেছে। পেহেলগামে হামলার পর তাৎক্ষণিক সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে ভারত। এর ফলে পাকিস্তানের তিন নদী সিন্ধু, চেনাব এবং ঝিলামের পানি প্রবাহ ব্যাপকভাবে হ্রাস পায় এবং গুরুতর ঝুঁকির মুখে পড়ে দেশটির কৃষি উৎপাদন।
আরো পড়ুন:
কেবিসির মঞ্চে সোফিয়া-ব্যোমিকারা, শুরু বিতর্ক
রজনীকান্তের ‘কুলি’: এক পয়সাও পারিশ্রমিক নেননি আমির!
ভারত সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার পর আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে পাকিস্তান। ৮ আগস্ট ওই মামলা রায় দিয়েছেন আদালত। এতে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি সচল করা এবং ভারতকে এই চুক্তিতে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে, আন্তর্জাতিক সালিশ আদালতের এই রায়ের পর ভারত এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতের পর ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সিন্ধু নদের ভারতীয় অংশের ওপর বাঁধ নির্মাণ করা হবে। আদালত এ বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ‘ভারত যদি সিন্ধু নদের ওপর বাঁধ বা এ জাতীয় কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে চায়, তাহলে অবশ্যই চুক্তির শর্ত মেনে এবং চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে সেটি নির্মাণ করতে হবে।’
এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ডমার্শাল আসিম মুনির গত ৯ আগস্ট ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় ভারতের সিন্ধু নদী অববাহিকায় যেকোনো ধরনের পরিকাঠামো নির্মাণ ধ্বংসের হুমকি দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ভারতের এই প্রকল্পগুলো পাকিস্তানের জন্য পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করলে তা ২৫ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাকে বিপন্ন করবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “আমরা অপেক্ষা করব ভারত কোনো বাঁধ বানানোর জন্য, আর একবার বানালে ১০টা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ওটা উড়িয়ে দেব… সিন্ধু নদী ভারতীয়দের পারিবারিক সম্পত্তি নয়। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, আলহামদুলিল্লাহ।”
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ জন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। এসব ব্যক্তির হিসাবের যাবতীয় তথ্য জানাতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিএফআইইউর একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ জন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। হিসাবের যাবতীয় তথ্য পাওয়ার পর এসব ব্যক্তির হিসাবে অস্বাভাবিক কোনো লেনদেন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানা যাবে।
আরো পড়ুন:
১২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এল ১০৫ কোটি ডলার
১০০ টাকার নতুন নোট বাজারে, আসল-নকল চেনার উপায়
যাদের হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার।
ব্যাংক হিসাব তলবের তালিকায় থাকা সাবেক ডেপুটি গভর্নররা হলেন এস কে সুর চৌধুরী, মো. মাসুদ বিশ্বাস, আবু হেনা মো. রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো. নাছের। এদের মধ্যে এস কে সুর চৌধুরী বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি। মো. মাসুদ বিশ্বাস বিএফআইইউর প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন। আবু হেনা মো. রাজী হাসান দীর্ঘদিন বিএফআইইউর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যাংকগুলোকে পাঠানো বিএফআইইউ চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ, কেওয়াইসি ফরমসহ সব তথ্য আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে। যদি কোনো হিসাব বন্ধ হয়ে থাকে, সেটির তথ্যও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ