গাজীপুরের শ্রীপুরে সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন এক তরুণী। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার বরমী ইউনিয়নের ত্রিমোহনী সেতু থেকে সুতিয়া নদীতে ওই তরুণী ঝাঁপ দেন। তাঁকে উদ্ধারে বেলা দুইটা থেকে নদীতে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা।

জুতা দেখে ওই তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করেছেন তাঁর স্বজনেরা। তরুণীর নাম লামিয়া আক্তার (১৯)। তিনি শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের নান্দিয়াসাঙ্গুন গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। তিনি ময়মনসিংহের পাগলা থানার ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।

খলিলুর রহমান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, দূর থেকে কয়েকজন ব্যক্তি এক তরুণীকে সেতু থেকে নদীতে লাফিয়ে পড়তে দেখেছেন। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি নদীতে নেমে তাঁকে উদ্ধার করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নাগাল পাননি। এর আগেই তলিয়ে যান ওই তরুণী।

লামিয়ার বাবা দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেতুতে রাখা জুতাগুলো আমার মেয়ের। তাকে সকাল থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। জুতা দেখে ধারণা করছি, আমার মেয়ে সেখান থেকে লাফিয়ে পড়েছে। তবে কেন সে এমনটা করল, তা ধারণা করতে পারছি না।’

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ওই তরুণীর খোঁজে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ