রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বড়পুল এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শরীফ আল রাজীব।

পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাংশা মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন খন্দকার সাইফুল ইসলাম। গতকাল রাত সোয়া আটটার দিকে রাজবাড়ী সদর থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

খন্দকার সাইফুল ইসলাম পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে বর্তমানে তাঁকে রাজবাড়ী সদর থানায় হেফাজতে রাখা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হবে। রাজবাড়ী জেলা পুলিশের পাশাপাশি সব থানা-পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ