বীমায় আস্থা ফেরাতে প্রযুক্তির উন্নয়ন জরুরি: বিশেষজ্ঞরা
Published: 14th, August 2025 GMT
দেশের বীমা খাতে গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অপরিহার্য বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বর্তমানে অনেক কোম্পানি পলিসির যে তথ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জমা দেয়, তার সঙ্গে সফটওয়্যারে আপলোড করা তথ্যের গরমিল থাকে। প্রযুক্তি-ভিত্তিক স্বচ্ছ সিস্টেম চালু হলে এ ধরনের অসঙ্গতি কমবে, ফলে গ্রাহকের আস্থা বাড়বে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) আশুলিয়ার শক্তি ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে বীমা খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) আয়োজিত ‘বীমা খাতের আধুনিকায়নে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক সিইও এস এম জিয়াউল হক এবং দুয়ার সার্ভিসেস পিএলসির শাহনেওয়াজ দুর্জয়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান।
বক্তারা বলেন, ব্যাংকিং খাত প্রযুক্তিগতভাবে অনেক এগিয়েছে। কোনো ব্যাংক অনিয়ম করলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে চিহ্নিত করতে পারে। কিন্তু বীমা খাতে এখনো সে সক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। ফলে গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ না হলেও কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) প্রযুক্তি ব্যবহারে কোম্পানিগুলোকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠানের অসহযোগিতার কারণে তা পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।
তাদের মতে, প্রযুক্তি ব্যবহার করলে গ্রাহক প্রিমিয়াম জমার সঙ্গে সঙ্গে তার তথ্য পেয়ে যাবেন। এতে আস্থা যেমন বাড়বে, তেমনি এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে।
দুয়ার সার্ভিসেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা বীমা গ্রাহক সেবা সহজতর ও সার্বিক মানোন্নয়নে ১০টি কেন্দ্রীয় ডিজিটাল সিস্টেম সমৃদ্ধ ইন্স্যুরেন্স ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইআইএমএস) বাস্তবায়ন করছে। উন্নত বিশ্বের মতো কেন্দ্রীয় পলিসি ডিপোজিটরি চালু হচ্ছে, যাতে সব বীমা পলিসির তথ্য সংরক্ষিত থাকবে এবং গ্রাহকের দাবি সময়মতো নিষ্পত্তি হচ্ছে কি না তা তদারকি করা যাবে।
আইআইএমএস চালুর ফলে অনেক কোম্পানি তাদের আইটি অবকাঠামো শক্তিশালী করতে বাধ্য হচ্ছে। দুয়ারের মাধ্যমে গ্রাহক প্রিমিয়াম জমার তথ্য অ্যাপে পাওয়া, দ্রুত পলিসি চালু করতে কেন্দ্রীয় ই-কেওয়াইসি সিস্টেম ব্যবহার এবং কাগজের বদলে ই-রিসিপ্ট সিস্টেম চালু হচ্ছে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করে আইআরএফ এর সভাপতি গাযী আনোয়ার।
ঢাকা/নাজমুল/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র গ র হক ন নয়ন
এছাড়াও পড়ুন:
বীমায় আস্থা ফেরাতে প্রযুক্তির উন্নয়ন জরুরি: বিশেষজ্ঞরা
দেশের বীমা খাতে গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অপরিহার্য বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বর্তমানে অনেক কোম্পানি পলিসির যে তথ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জমা দেয়, তার সঙ্গে সফটওয়্যারে আপলোড করা তথ্যের গরমিল থাকে। প্রযুক্তি-ভিত্তিক স্বচ্ছ সিস্টেম চালু হলে এ ধরনের অসঙ্গতি কমবে, ফলে গ্রাহকের আস্থা বাড়বে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) আশুলিয়ার শক্তি ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে বীমা খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) আয়োজিত ‘বীমা খাতের আধুনিকায়নে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক সিইও এস এম জিয়াউল হক এবং দুয়ার সার্ভিসেস পিএলসির শাহনেওয়াজ দুর্জয়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান।
বক্তারা বলেন, ব্যাংকিং খাত প্রযুক্তিগতভাবে অনেক এগিয়েছে। কোনো ব্যাংক অনিয়ম করলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে চিহ্নিত করতে পারে। কিন্তু বীমা খাতে এখনো সে সক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। ফলে গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ না হলেও কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) প্রযুক্তি ব্যবহারে কোম্পানিগুলোকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠানের অসহযোগিতার কারণে তা পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।
তাদের মতে, প্রযুক্তি ব্যবহার করলে গ্রাহক প্রিমিয়াম জমার সঙ্গে সঙ্গে তার তথ্য পেয়ে যাবেন। এতে আস্থা যেমন বাড়বে, তেমনি এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে।
দুয়ার সার্ভিসেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা বীমা গ্রাহক সেবা সহজতর ও সার্বিক মানোন্নয়নে ১০টি কেন্দ্রীয় ডিজিটাল সিস্টেম সমৃদ্ধ ইন্স্যুরেন্স ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইআইএমএস) বাস্তবায়ন করছে। উন্নত বিশ্বের মতো কেন্দ্রীয় পলিসি ডিপোজিটরি চালু হচ্ছে, যাতে সব বীমা পলিসির তথ্য সংরক্ষিত থাকবে এবং গ্রাহকের দাবি সময়মতো নিষ্পত্তি হচ্ছে কি না তা তদারকি করা যাবে।
আইআইএমএস চালুর ফলে অনেক কোম্পানি তাদের আইটি অবকাঠামো শক্তিশালী করতে বাধ্য হচ্ছে। দুয়ারের মাধ্যমে গ্রাহক প্রিমিয়াম জমার তথ্য অ্যাপে পাওয়া, দ্রুত পলিসি চালু করতে কেন্দ্রীয় ই-কেওয়াইসি সিস্টেম ব্যবহার এবং কাগজের বদলে ই-রিসিপ্ট সিস্টেম চালু হচ্ছে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করে আইআরএফ এর সভাপতি গাযী আনোয়ার।
ঢাকা/নাজমুল/ইভা