জিমের ৩০০ বছরের সদস্যকিনলেন, অতঃপর...
Published: 14th, August 2025 GMT
চীনে এক ব্যক্তি অভিনব এক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ঝেজিয়াং প্রদেশের একটি জিম থেকে ৮ লাখ ৭০ হাজারের বেশি ইউয়ান খরচ করে (১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার) তিনি ৩০০ বছরের সদস্যপদ কিনেছেন!
ভাবছেন লোকটি কি বোকা, মানুষ আবার ৩০০ বছর বাঁচে নাকি? জিনও জানেন, মানুষ ৩০০ বছর বাঁচে না। কিন্তু তিনি সহজে অর্থ আয় করার লোভে পড়ে এই প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়েছেন।
জিন বলেন, ১০ মে থেকে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে তিনি ৮ লাখ ৭১ হাজার ২৭৩ ইউয়ান খরচ করে হাংঝোউ শহরের রানইয়ান জিমের প্রায় ১ হাজার ২০০ ক্লাস ও সদস্য কার্ড কিনেছেন। সেগুলোর মোট বৈধতার মেয়াদকাল ৩০০ বছর।
তিন বছর ধরে জিন নিয়মিত ওই জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করতেন। গত ৯ মে সেখানে একজন বিক্রয়কর্মীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তিনি জিনকে ‘প্রমোশনাল অফারের’ কথা বলেন।
ওই বিক্রয়কর্মী জিনকে বলেন, তিনি ৮ হাজার ৮৮৮ ইউয়ান দিয়ে এক বছরের জন্য একটি সদস্য কার্ড কিনে সেটি অন্য কারও কাছে ১৬ হাজার ৬৬৬ ইউয়ানে বিক্রি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে লাভের মাত্র ১০ শতাংশ জিম কর্তৃপক্ষ রাখবে, বাকিটা জিনের পকেটে যাবে।
শুরুতে জিনের মনেও সন্দেহ জাগে। কিন্তু ওই বিক্রয়কর্মী তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, যদি তিনি দুই মাসের মধ্যে কার্ড বিক্রি করতে না পারেন তবে তিনি সেগুলো জিমে ফেরত দিয়ে মূল অর্থের পুরোটা ফেরত নিতে পারবেন।
এবার জিন দ্বিগুণ মুনাফার লোভে পড়ে যান এবং দুটি সদস্য কার্ড কেনেন।
পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে ওই বিক্রয়কর্মী তাঁকে আরও প্রলুব্ধ করে আরও সদস্য কার্ড ও ব্যক্তিগত ক্লাস কেনান। একবার তো জিন একসঙ্গে তিন লাখ ইউয়ানের বেশি খরচ করেন।
১৫ জুলাই নিজের বিনিয়োগ করা অর্থের একটি অংশ জিন ফেরত নিতে যান। কিন্তু তাঁকে কোনো অর্থ ফেরত দেওয়া হয় না।
একজন বিপণন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি জিনকে বলেন, তিনি যেসব সদস্য কার্ড কিনেছেন, সেগুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
কিন্তু জুলাই মাসের শেষ দিকে গিয়ে জিন আবিষ্কার করেন, জিমের সব লোকজন ও বিক্রয়কর্মী উধাও।
জিনের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। এরপর তিনি তাঁর কাছে থাকা চুক্তিপত্র পরীক্ষা করে দেখতে পান, যেসব কাগজপত্রে তিনি সই করেছেন সেগুলোতে কোথাও সদস্য কার্ড কিনতে তিনি যে বিনিয়োগ করেছেন, তা ফেরত দেওয়ার কথা উল্লেখ নেই। এখন নিজের অর্থ ফেরত পেতে মামলা করেছেন জিন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস য ক র ড ক ন ব ক রয়কর ম ৩০০ বছর ইউয় ন
এছাড়াও পড়ুন:
নৌকায় বিস্ফোরণে দগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে নৌকায় রান্নার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ চার জেলের মধ্যে মো. ফারুক (৩৯) নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে, একই ঘটনায় শনিবার (৯ আগস্ট) মারা যান আমজাদ হোসেন (৪০)। দুজনই লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরবংশী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
বিদ্যালয়ের সিঁড়ির রেলিং থেকে পড়ে ছাত্রীর মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের হাওরে পর্যটকের মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ আগস্ট সকালে রামগতি মাছ ঘাট সংলগ্ন একটি খালে নৌকায় থাকা অবস্থায় গ্যাস সিলিন্ডারে রান্নার সময় লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে চার জেলে গুরুতর দগ্ধ হন।
আহতদের প্রথমে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল এবং সেখান থেকে ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে ৬৬ শতাংশ দগ্ধ আমজাদ হোসেন এবং পরে ৪৫ শতাংশ দগ্ধ ফারুক মারা যান। এ ঘটনায় ৩৫ শতাংশ দগ্ধ আব্দুল খায়ের (৩২) ও ৪০ শতাংশ দগ্ধ গনি খাঁ (৫০) এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নৌকার মালিক মিরাজ উদ্দিন কবি ব্যাপারী জানান, দগ্ধদের মধ্যে ফারুক ও আমজাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, চারজন দগ্ধের মধ্যে আমজাদ ও ফারুকের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন তারা। বাকিদের চিকিৎসা চলছে।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মেহেদী