বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে যুক্ত হলো নতুন এক অধ্যায়। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সার্কভুক্ত দেশগুলোর ফুটবলাররা ‘দেশি’ খেলোয়াড় কোটায় খেলতে পারবেন। অর্থাৎ, তাঁরা বিদেশি হিসেবে গণ্য হবেন না। তাতে একদিকে ক্লাবগুলোর শক্তি বাড়বে, অন্যদিকে ফুটবলারদের মধ্যেও তৈরি হবে নতুন প্রতিযোগিতা। তবে শেষ পর্যন্ত কতজন দক্ষিণ এশীয় ফুটবলার নাম লেখাবেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে, তার হিসাব মিলবে আজ ফুটবলারদের নিবন্ধন শেষ হলে।

গতকাল পর্যন্ত এ মৌসুমের জন্য ছয়জন সার্কভুক্ত ফুটবলারের বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে খেলা নিশ্চিত হয়েছে। আজ শেষ দিনে নাটকীয় কিছু না হলে সংখ্যাটা ছয়ই থাকার সম্ভাবনা বেশি। ছয়জনই সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় দলের ফুটবলার, তাঁদের মধ্যে দুজন গোলকিপার। বাংলাদেশ পুলিশ এফসিতে নেপালের দুজন ও ভুটানের একজন, ফর্টিস এফসিতে শ্রীলঙ্কা ও নেপালের দুজন এবং রহমতগঞ্জ নেপালের একজনকে চূড়ান্ত করেছে।

ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস কলকাতার এক গোলকিপারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে আনার সম্ভাবনা কম। নবাগত পিডব্লিউডি নেপালের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তবে ওই খেলোয়াড় তাঁর সংস্থা থেকে ছাড়পত্র পাননি। আরামবাগ চেষ্টা করছে ভারতে থেকে এক খেলোয়াড়কে আনতে, যদিও তাঁকে পাওয়া অনিশ্চিত।

শ্রীলঙ্কার গোলকিপার সুজান পেরেরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল দ শ র ঘর য় ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমজাদ ভাই এমনভাবে বলেন যে আর না করতে পারিনি’

তাঁর পরিচয় তিনি লেখক, অভিনয়শিল্পী, পরিচালক। আজ প্রয়াত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব আমজাদ হোসেনের জন্মদিন। ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন আমজাদ হোসেন। জন্মদিন উপলক্ষে আমজাদ হোসেন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক কিছু জানা–অজানা তথ্য।
ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন আমজাদ হোসেন। তৃতীয় শ্রেণিতে প্রথম ছড়া লেখেন, যা প্রকাশিত হয়েছিল ‘আজাদ’ পত্রিকায় শিশুদের পাতায়। ম্যাট্রিক পাস করে কলেজে ভর্তি হওয়ার পর কাউকে না জানিয়ে গোপনে কলকাতার দেশ পত্রিকায় কবিতা লিখে পাঠান। প্রকাশের আগেই দেশ পত্রিকা থেকে সম্পাদক সাগরময় ঘোষ আমজাদ হোসেনকে একটি চিঠি পাঠান। পঞ্চাশের দশকে ঢাকায় এসে সাহিত্য ও নাট্যচর্চার সঙ্গে জড়িত হন।

সিনেমায় আমজাদ হোসেনের পথচলা শুরু হয় অভিনয় দিয়ে। ১৯৬১ সালে ‘তোমার আমার’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। পরবর্তী সময়ে তিনি কালজয়ী চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন।

আমজাদ হোসেন। ফাইল ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ