মেহেরপুরে বিজিবির কাছে ৯ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
Published: 14th, August 2025 GMT
মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৯ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুজিবনগর সীমান্তের ১০৫ নম্বর পিলারের কাছে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের সবাই ফরিদপুরের বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে দুজন পুরুষ, একজন নারী ও ছয় শিশু। প্রাপ্তবয়স্কের কেউ কেউ কাজের সন্ধানে ২০-২৫ বছর আগে ভারতে গিয়েছিলেন।
পতাকা বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষে নেতৃত্ব দেন মুজিবনগর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবুল বাশার এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন হৃদয়পুর কোম্পানি কমান্ডার সজল কুমার।
বিজিবির হাতে আটকের পর আবু সাইদ (৪৫) নামের একজন বলেন, ‘১১ বছর হলো হলো পরিবার নিয়ে ভারতে বসবাস করছিলাম। আমার সেখানে একটি ছেলে হয়। জন্মসূত্রে ছেলেটি ভারতীয় নাগরিক। এরপরও পুলিশ আমাদের ধরে বিএসএফের কাছে দিয়েছে। পরে তাঁরা বিজিবির কাছে ফেরত পাঠায়।’
আটক ব্যক্তিদের মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদি রাসেল বলেন, তাঁদের পরিচয় শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তাঁরা বাংলাদেশ থেকে দীর্ঘদিন আগে ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি নেতা খুন: অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ফেসবুকে লিখলেন ‘আউট’
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আবুল কালাম (৫০) নামে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খুনের ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রদলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবার।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ৩০ মিনিট পর অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ক্রিকেট খেলার একটি ভিডিও পোস্ট করেন তার ফেসবুক আইডিতে। ভিডিওটি পোস্ট দিয়ে ফেসবুকে তিনি লিখেন, ‘আউট’। ফেসবুকে তার দেওয়া এই পোস্ট হত্যাকাণ্ডকে ইঙ্গিত করেই দেওয়া বলে অভিযোগ করেছে নিহত কালামের পরিবার।
আরো পড়ুন:
আ.লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’: গোপালগঞ্জে আরেক মামলা, আসামি ২৫২
কানের দুল ছিনিয়ে নিতে শিশুকে হত্যা, আটক ২
আবুল কালাম উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অভিযুক্ত কাউছার মানিক বাদল স্থানীয় ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য।
গত বছরের ৭ আগস্ট বিভিন্ন অভিযোগে কাউছারকে বহিষ্কার করে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদল। পরে ৩ নভেম্বর তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাউছারের সঙ্গে আবুল কালামের বিরোধ চলে আসছিল।
কাউছার ভিডিওটি পোস্ট করেন তার কে এম বাদল নামের ফেসবুক আইডি থেকে। ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রামের কয়েকজন ক্রিকেট খেলছেন। এর মধ্যে একজন রানআউট হয়েছেন। তবে, ভিডিওতে কাউছারকে দেখা যায়নি।
খুনের ঘটনার পরপরই কাউছার এ ঘটনায় জড়িত বলে দাবি করেন নিহত কালামের স্ত্রী ফেরদৌসি আক্তার। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে খুন হওয়ার পর কাউছারের পোস্ট করা ভিডিওটি কাকতালীয় নয়। এটি হত্যার ঘটনাকে ইঙ্গিত করেই করা হয়েছে।’’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাউসার মানিক বাদল বলেন, ‘‘ঘটনার সময় আমি লতিফপুর বাজারে ছিলাম। যা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে। কালাম ভাই বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমার সঙ্গেই বাজারে ছিলেন। এ ঘটনায় আমি কোনোভাবে জড়িত নই।’’
নিজ দলের একজন নেতার মৃত্যুর পর ফেসবুকে ‘আউট’ লিখে ভিডিও দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কাউছার বলেন, ‘‘বাড়ির সামনে ক্রিকেট খেলেছিলাম, সেই ভিডিও দিয়ে আউট লিখেছি।’’
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. ফয়েজুল আজীম বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে কাউছার ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার ‘আউট’ লেখা ভিডিওটি পুলিশের নজরে এসেছে। তবে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।’’
ঢাকা/লিটন/রাজীব