দুই বাংলার পরিচিত মুখ নুসরাত ফারিয়া। গ্ল্যামার, আত্মবিশ্বাস আর অভিনয় প্রতিভার মেলবন্ধনে যিনি জয় করেছেন অগণিত ভক্তের হৃদয়। পর্দার আড়ালে তিনি বরাবরই ছিলেন পরিপাটি, গোছানো জীবনের প্রতিচ্ছবি। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের এক অধ্যায় তাকে নিক্ষেপ করেছিল গভীর অন্ধকারে।

ফারিয়ার জীবনের অন্যতম বড় সিদ্ধান্ত ছিল দীর্ঘদিনের প্রেমিক রনি রিয়াদ রশিদকে ছেড়ে আসা। দশ বছরের সম্পর্ক, ২০২০ সালে ধুমধাম করে হওয়া বাগদান— সব মিলিয়ে ছিল স্বপ্নময় এক গল্প। কিন্তু সেই গল্প শেষ হয় বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফারিয়া খোলাখুলি জানিয়েছেন সেই কঠিন সময়ের কথা। ছোটবেলা থেকে রনিকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ভেবে আসায় সম্পর্ক ভাঙা ছিল তার জন্য ভীষণ মানসিক আঘাত।

আরো পড়ুন:

‘ভিউয়ের পেছনে ছুটতে ছুটতে আমরা যদি একটু থামতাম, একটু ভাবতাম’

সময়ই সব বলে দেয়: নুসরাত ফারিয়া

ফারিয়ার ভাষায়, “মা–বাবা আর রনিকে ঘিরেই ছিল আমার পৃথিবী। রনির সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর কষ্ট পেয়েছিলাম। কারণ ওকে ছাড়া কিছু ভাবতেই পারতাম না।”

বিচ্ছেদের পর তিনি তিন মাস কোনো কাজ করতে পারেননি। মানসিক অবসাদ এতটাই গ্রাস করেছিল যে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেতে হয়েছিল।

তার কথায়, “দশ বছর অনেক বড় সময়। এত দিনের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে প্রচুর মনের জোর লাগে।”

প্রায় চার বছর পর সাহস করে এই অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে আনলেন নুসরাত ফারিয়া। জানালেন, “সময়ের সঙ্গে তিনি এখন চেষ্টা করছেন জীবনের নতুন অধ্যায়ে নিজেকে মানিয়ে নিতে— আবারও আলোয় ফেরার যাত্রায়।”

ঢাকা/রাহাত//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র জ বন র

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ