সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের পরিবারের সদস্যদেরও হিসাব তলব
Published: 14th, August 2025 GMT
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ও চার ডেপুটি গভর্নরের পাশাপাশি তাঁদের স্ত্রী–সন্তান ও সন্তানদের স্বামী বা স্ত্রীর হিসাবও তলব করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান ও মাসুদ বিশ্বাস এবং তাঁদের স্ত্রী–সন্তান ও সন্তানদের স্বামী বা স্ত্রীর হিসাবও তলব করা হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তাঁরা বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পদের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের কারও কারও বিরুদ্ধে ব্যাংক দখল করে অর্থ লোপাটে সহায়তার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আছে। এমন নানা অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অনুরোধে গতকাল বুধবার ব্যাংকগুলোকে হিসাব তলবসংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক বছর পর এখন আর্থিক খাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
যাঁদের পরিবারের হিসাব তলব করা হয়েছে, তাঁরা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার। এর মধ্যে ফজলে কবিরের মেয়াদে ব্যাংক দখল করে লুটপাট শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে আব্দুর রউফ তালুকদারের মেয়াদেও। এ ছাড়া আব্দুর রউফ তালুকদারের মেয়াদে টাকা ছাপিয়ে ঋণ দিয়ে ব্যাংকগুলো থেকে অর্থ লোপাটের সুযোগ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া সাবেক যেসব ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে, তাঁরা হলেন সরকার পতনের পর দুদকের মামলায় কারাগারে থাকা এস কে সুর চৌধুরী, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো.
এ ছাড়া বিএফআইইউর সাবেক প্রধান আবু হেনা মো. রাজী হাসান ও সরকার পতনের পর বিএফআইইউর প্রধান থেকে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া মো. মাসুদ বিশ্বাসের পরিবারের হিসাব তলব করা হয়েছে। এর মধ্যে দুদকের মামলায় এস কে সুর চৌধুরী ও মাসুদ বিশ্বাস কারাগারে। সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে তাঁদের ব্যাংক হিসাবে অর্থ লেনদেন, হিসাব খোলার ফরমসহ যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। কোনো হিসাব বন্ধ থাকলে, সেই তথ্যও জানাতে বলা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ স ব তলব র পর ব সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।