বাবার মতো অত বড় মাপের ক্রিকেটার হতে পারেননি। তবে ক্রিকেটার ঠিকই হয়েছেন, যদিও বাবার মতো ব্যাটসম্যান নয়, বাঁহাতি পেসার। ভারত ও ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটেই আপাতত সীমাবদ্ধ তাঁর ক্যারিয়ার। এদিকে কালে কালে বয়সও তো কম হলো না অর্জুন টেন্ডুলকারের। এখন ২৫ বছর চলে। বিয়ের ভাবনা ভাবতে এই সময়টাকেই বেছে নিয়েছেন অর্জুন।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া দলে তিন চোট, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন সবাই৪ ঘণ্টা আগে

গতকাল ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে সূত্র নিশ্চিত করেছে, পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে মুম্বাইয়ের ব্যবসায়ী রবি ইকবাল ঘাইয়ের নাতি সানিয়া চন্দকের সঙ্গে বাগ্‌দান সম্পন্ন করেছেন অর্জুন। দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে আংটি বদল করেছেন আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে খেলা এই ক্রিকেটার। ওহ, বলাই হয়নি অর্জুনের বাবার নাম শচীন টেন্ডুলকার।

টেন্ডুলকার কিংবা রবি ঘাইয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। গ্রাভিস গ্রুপের চেয়ারম্যান ৭০ বছর বয়সী শিল্পপতি রবি ঘাই ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল ও ব্রুকলিন ক্রিমারি আইসক্রিম কোম্পানির মালিক। ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, রবি ঘাইয়ের ছেলে গৌরব ঘাইয়ের মেয়ে সানিয়া। গৌরবের সঙ্গে তাঁর বাবার পারিবারিক বিরোধ রয়েছে।

কে এই সানিয়া চন্দক

মুম্বাইয়ের ক্যাথেড্রাল অ্যান্ড জন কোনন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন সানিয়া। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে ২০২০ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ভারতের আর্থিক বিষয়াদির সংবাদমাধ্যম ও পে সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি টিভি১৮ জানিয়েছে, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ভেটেরিনারি সার্ভিস (ডব্লিউভিএস) থেকে গত বছর ভেটেরিনারি টেকনিশিয়ানের সার্টিফিকেট নিয়েছেন সানিয়া।

মুম্বাইয়ে ‘মি: পওজ পেট স্পা অ্যান্ড স্টোর’–এর পরিচালক ও ব্যবসায়িক অংশীদারও সানিয়া। এই ব্যবসা থেকে বছরে ৯০ লাখ রুপি আয় হয় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। সানিয়ার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ জানা যায়নি। তিনি মিডিয়া ও নিজের প্রচার একটু এড়িয়ে চলেন বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম। রবি ঘাইয়ের প্রতিষ্ঠান গ্রাভিস ফুড সলিউশনস ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬২৪ কোটি রুপি আয় করেছে বলে জানিয়েছে ইকোনোমিক টাইমস, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। তবে রবি ঘাইয়ের সব প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে তাঁর মোট সম্পদের সঠিক আর্থিক মূল্য জানা যায়নি। অর্জুনের বোন সারা টেন্ডুলকারের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক সানিয়া চন্দকের। ইনস্টাগ্রামে দুজনের একসঙ্গে ছবি দেখা যায়।

সানিয়ার দাদা রবি ঘাইয়ের বাবা ইকবাল কৃষাণ ‘আই কে’ ঘাই ভারতে ‘আইসক্রিমের মহারাজা’ হিসেবে পরিচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের তিনি ঘরে বানানো খাবার সরবরাহ করতেন। ভারতে কোয়ালিটি আইসক্রিম প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তাঁর ছেলে রবি ঘাই কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হোটেল ব্যবস্থাপনায় ডিগ্রি নিয়ে ১৯৬৭ সালে ব্যবসায় মনোযোগ দেন। রবির ছেলে গৌরব ঘাই এখন ব্যবসায়িক গ্রুপগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ায় অলরাউন্ডারও খুঁজবে বাংলাদেশ৯ ঘণ্টা আগেঅর্জুন এখন যেখানে দাঁড়িয়ে

কিংবদন্তি ক্রিকেটার বাবার সন্তান হলেও প্রত্যাশার খুব কমই পূরণ করতে পেরেছেন অর্জুন। বাঁহাতি এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে গোয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৩৭ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৫৩২ রান করেছেন। ২৪ টি-টোয়েন্টিতে ২৭ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি করেছেন ১১৯ রান। আর ১৮টি ওয়ানডে (লিস্ট এ) ম্যাচে ১০২ রান করার পাশাপাশি নিয়েছেন ২৫ উইকেট।
আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে ২০২৩ সালে অভিষেক অর্জুনের। সেবার ৪ ম্যাচ খেলে নেন ৩ উইকেট। পরের মৌসুমে একটি ম্যাচ খেললেও উইকেট পাননি।

ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে মিডলসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট লিগের দল এলিং ক্লাবে খেলেছেন। মুম্বাইয়ের বয়সভিত্তিক দল থেকে উঠে এসে ২০২০-২১ মৌসুমে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করেন অর্জুন। সে বছর মুম্বাইয়ের হয়ে খেলার পর ২০২২-২৩ মৌসুমে গোয়ায় যোগ দেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক রান ও সেঞ্চুরির মালিক শচীন টেন্ডুলকারের এই একমাত্র ছেলে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, অর্জুনের মোট সম্পদের আর্থিক মূল্য ২২ কোটি রুপি। বেশির ভাগ আয় করেছেন আইপিএল থেকে। ২০২০ সালে ২০ লাখ রুপিতে সই করেন মুম্বাইয়ে। পরের বছর ৩০ লাখ রুপিতে তাঁকে ধরে রাখে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। গত পাঁচ মৌসুমে আইপিএল থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ রুপি আয় করেছেন অর্জুন। রঞ্জি ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফি ও সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি মিলিয়ে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যান্য খাত থেকে বছরে ১০ লাখ রুপি আয় অর্জুনের। সব মিলিয়ে ক্রিকেট থেকে তাঁর বার্ষিক আয় প্রায় ৫০ লাখ রুপি।

অর্জুন তাঁর মা–বাবার সঙ্গেই থাকেন। মুম্বাইয়ে ২০০৭ সালে ৩৯ কোটি রুপি খরচ করে ৬ হাজার বর্গফুটের একটি বিলাসবহুল বাড়ি কেনেন শচীন টেন্ডুলকার, যেটার দাম এখন প্রায় ১০০ কোটি রুপি। লন্ডনে লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের কাছাকাছি একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে টেন্ডুলকারের। গ্রীষ্মকালে সেখানে গিয়ে অনুশীলন করেন অর্জুন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ট ন ড লক র ট ন ড লক র র ছ ন অর জ ন অর জ ন র ব যবস য় কর ছ ন র ঘর য় উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ