ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নারীশিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রের স্থান পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। ছাত্রসংগঠনটি মনে করে, বর্তমান কেন্দ্রগুলো হল থেকে অনেক দূরে হওয়ায় নারীশিক্ষার্থীদের ভোটদানে আগ্রহ কমবে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার।

আবু বাকের মজুমদার বলেন, যারা নারী নেতৃত্ব চায় না, তারা প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশ করে পরিকল্পিতভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি নির্দিষ্ট কিছু কেন্দ্রের স্থান পরিবর্তনেরও প্রস্তাব দেন।

সুফিয়া কামাল হলের ভোটকেন্দ্র টিএসসিতে (ছাত্র–শিক্ষক কেন্দ্র) না করে কার্জন হলে, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও কুয়েত মৈত্রী হলের ভোটকেন্দ্র টিচার্স ক্লাবে না দিয়ে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে এবং রোকেয়া হল ও শামসুন নাহার হলের জন্য টিএসসিতে বা বিকল্প ভোটকেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক বলেন, টিএসসির মতো ছোট জায়গায় ১৪ হাজারের বেশি ভোট কাস্ট করা সম্ভব নয়। সর্বোচ্চ তিন থেকে চার হাজার ভোট কাস্ট করা সম্ভব। কিন্তু এখানে একটা পরিকল্পনা আছে‌। একদল চায় না নারীরা ভোটে অংশগ্রহণ করুক। এ সময় তিনি প্রশাসনকে অতি দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানান।

আসনসংকট পরিকল্পিত

সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের বলেন, ‘আমরা দেখেছি, ক্ষমতাসীন দলগুলো সব সময় শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। ইতিহাসে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের একটি বড় অংশ এসেছে ছাত্রদের মধ্য থেকে। এই নিয়ন্ত্রণের জন্য তারা দুটি প্রধান কৌশল ব্যবহার করে।’

আবদুল কাদের বলেন, প্রথমত, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনগুলো হলে কৃত্রিম আসনসংকট তৈরি করে শিক্ষার্থীদের চাপে রাখে। দ্বিতীয়ত, হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রায়ই ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ উপেক্ষা করে।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক বলেন, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসে এবং আর্থিক সংকটে থাকে। এই পরিস্থিতিতে পরিকল্পিতভাবে আসনসংকট তৈরি করে ছাত্রসংগঠন ও প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালায়। সাম্প্রতিক আন্দোলনগুলোর একটি মূল কারণ ছিল এ ধরনের ‘দাসত্ব’ থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ টক ন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। 

নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়।  পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ