বিপ্লব উদ্যান ভাড়া দেওয়া যাবে না, মেয়রকে বেলার চিঠি
Published: 14th, August 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যান ভাড়া না দিতে ও সৌন্দর্যবর্ধন চুক্তি বাতিল করতে সিটি করপোরেশনের মেয়র, জেলা প্রশাসকসহ ১০ জনকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। আজ বৃহস্পতিবার বেলার পক্ষ থেকে এই চিঠি দেওয়া হয়।
চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেলার চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়কারী মনিরা পারভীন। তবে সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ধরনের কোনো চিঠি পাননি। আর আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।
বেলার আইনজীবী এস হাসানুল বান্না স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিপ্লব উদ্যানে বিদ্যমান সব ধরনের স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। সেখানে সবার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। আর বিপ্লব উদ্যান নিয়ে করা সৌন্দর্যবর্ধনের চুক্তি বাতিল করতে হবে। উদ্যান হিসেবে চিহ্নিত জায়গার কোনো শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। এই জায়গা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা ও অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর করা যাবে না। বিপ্লব উদ্যানের যথাযথ সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জোরালো দাবি জানানো হয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ছাড়া অন্য আটজন হলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার, নূর হাফিজ প্রপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
১৯৭৯ সালে চট্টগ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম দুই নম্বর গেট গাছগাছালিতে ভরা ১ একরের এই উদ্যান গড়ে তোলা হয়। বর্তমান মেয়র শাহাদাত হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পর গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে নূর হাফিজ প্রপার্টিজ লিমিটেডের সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদি সৌন্দর্যবর্ধনের চুক্তি করে সিটি করপোরেশন।
এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি উদ্যানে বিদ্যমান একতলা স্থাপনা বর্ধিত করে চারতলা পর্যন্ত করতে পারবে। তবে এ জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অনুমতি নিতে হবে। এসব অবকাঠামোয় বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সিটি করপোরেশনকে রাজস্ব দেবে ১৮ লাখ টাকা।
আগের দুই মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও মো.
এদিকে বিপ্লব উদ্যানে মেলা আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে সিটি করপোরেশন। সবুজে ঘেরা উদ্যানটিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে বিজয় মেলা শুরু হয় ৮ আগস্ট। ‘ছাত্রসমাজ চট্টগ্রাম মহানগর’–এর ব্যানারে আয়োজন করা হচ্ছে ১৫ দিনব্যাপী এ মেলার। এর আয়োজক নগর যুবদল নেতা আলিফ উদ্দিন ও তাঁর অনুসারীরা। তিনি নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিপ্লব উদ্যান ভাড়া দেওয়া যাবে না, মেয়রকে বেলার চিঠি
চট্টগ্রাম নগরের দুই নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যান ভাড়া না দিতে ও সৌন্দর্যবর্ধন চুক্তি বাতিল করতে সিটি করপোরেশনের মেয়র, জেলা প্রশাসকসহ ১০ জনকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। আজ বৃহস্পতিবার বেলার পক্ষ থেকে এই চিঠি দেওয়া হয়।
চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেলার চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়কারী মনিরা পারভীন। তবে সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ধরনের কোনো চিঠি পাননি। আর আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।
বেলার আইনজীবী এস হাসানুল বান্না স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিপ্লব উদ্যানে বিদ্যমান সব ধরনের স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। সেখানে সবার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। আর বিপ্লব উদ্যান নিয়ে করা সৌন্দর্যবর্ধনের চুক্তি বাতিল করতে হবে। উদ্যান হিসেবে চিহ্নিত জায়গার কোনো শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। এই জায়গা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি ব্যবহারের জন্য ভাড়া, ইজারা ও অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর করা যাবে না। বিপ্লব উদ্যানের যথাযথ সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জোরালো দাবি জানানো হয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ছাড়া অন্য আটজন হলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার, নূর হাফিজ প্রপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
১৯৭৯ সালে চট্টগ্রাম শহরের গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম দুই নম্বর গেট গাছগাছালিতে ভরা ১ একরের এই উদ্যান গড়ে তোলা হয়। বর্তমান মেয়র শাহাদাত হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পর গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে নূর হাফিজ প্রপার্টিজ লিমিটেডের সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদি সৌন্দর্যবর্ধনের চুক্তি করে সিটি করপোরেশন।
এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি উদ্যানে বিদ্যমান একতলা স্থাপনা বর্ধিত করে চারতলা পর্যন্ত করতে পারবে। তবে এ জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অনুমতি নিতে হবে। এসব অবকাঠামোয় বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সিটি করপোরেশনকে রাজস্ব দেবে ১৮ লাখ টাকা।
আগের দুই মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরের উন্মুক্ত এই উদ্যানে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এতে উদ্যানটি কংক্রিটের জঞ্জালে পরিণত হয়। বর্তমানে এই উদ্যানে একতলার কাঠামো রয়েছে। সেখানে ২১টি খাবার দোকান ও ২টি শৌচাগার আছে।
এদিকে বিপ্লব উদ্যানে মেলা আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে সিটি করপোরেশন। সবুজে ঘেরা উদ্যানটিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে বিজয় মেলা শুরু হয় ৮ আগস্ট। ‘ছাত্রসমাজ চট্টগ্রাম মহানগর’–এর ব্যানারে আয়োজন করা হচ্ছে ১৫ দিনব্যাপী এ মেলার। এর আয়োজক নগর যুবদল নেতা আলিফ উদ্দিন ও তাঁর অনুসারীরা। তিনি নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী।