প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। এ সময় তাঁরা পারস্পরিক কুশলাদি বিনিময় করেন। সাক্ষাৎকালে দ্বিপক্ষীয় বিচারিক সহযোগিতা, মানবাধিকার সংরক্ষণ ও আইনের শাসন–সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সাক্ষাৎ হয় বলে সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.

শফিকুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন। কোথায় সাক্ষাৎ হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। রাজধানীর হেয়ার রোডে অবস্থিত প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনে ওই সাক্ষাৎ হয় বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

সাক্ষাৎ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময় প্রধান বিচারপতি বিগত এক বছরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উন্নয়নে তাঁর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। বিশেষ করে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী ও ন্যায়বিচারভিত্তিক বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় প্রধান বিচারপতি পরিকল্পনাগুলো আলোচনা করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে মানবাধিকার সংরক্ষণে বিচার বিভাগের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন প্রধান বিচারপতি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ রেফাত আহমদের এক বছর পূর্তিতে তাঁকে অভিনন্দন জানান উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষ করে প্রধান বিচারপতি কর্তৃক একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা, বিচারসেবা দিতে স্বচ্ছতা আনয়নে ১২ দফা নির্দেশনা প্রদান, মামলায় বিবাদীপক্ষকে লিগ্যাল এইড দিতে ক্যাপাসিটি টেস্ট চালু, সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ আইন প্রণয়ন, বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুপ্রিম কোর্ট হেল্পলাইন চালু এবং অধস্তন আদালতের সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে কার্যকর ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন।

ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী দিনগুলোতে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতির বলিষ্ঠ নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় তাঁর দেশ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বলে জানান।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে ইউটিউব মাতাল সেই ফ্লপ সিনেমা

হলে মুক্তির পর সেভাবে পাত্তা পায়নি। কিন্তু সেই সিনেমাই ইউটিউবে আসার পর হুমড়ি খেয়ে পড়লেন দর্শক। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, অন্তরঙ্গ দৃশ্য থাকার কারণেই সিনেমাটি ইউটিউবে এতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পরিণত হয়েছে ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি দেখা সিনেমার একটিতে।  

২০১৬ সালে মুক্তি পায় ‘ভৌরি’। প্রথমে প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি খুব বেশি আলোড়ন তুলতে পারেনি। বরং একাধিক অন্তরঙ্গ দৃশ্য অনেক নারী দর্শকের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়েছিল। কিন্তু ছবিটি ইউটিউবে মুক্তি পাওয়ার পর চিত্র বদলে যায়। সাহসী দৃশ্য আর শক্তিশালী অভিনয়ের মিশেলে এটি দ্রুতই দর্শকের মন কাড়ে।

‘ভৌরি’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ