নৌকায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরো এক জেলের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩
Published: 14th, August 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মাছ ধরার নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আরো এক জেলে মারা গেছেন। তার নাম আবদুল গনি খাঁ (৪৫)।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ভোরে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। গনি খাঁ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরবংশী গ্রামের কালা খাঁর ছেলে।
এ নিয়ে এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো। এর আগে, একই বিস্ফোরণের ঘটনায় আমজাদ হোসেন পাটোয়ারী এবং ফারুক হোসেন মারা যান।
আরো পড়ুন:
রাঙামাটি কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
পাবনায় সেপটিক ট্যাংকে আটকা পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
গত বৃহস্পতিবার সকালে রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মী ব্রীজঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ ধরার নৌকায় রান্নার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ট্রলারের চার জেলে আবুল খায়ের, ফারুক হোসেন, আবদুল গনি খাঁ ও আমজাদ হোসেন পাটোয়ারী দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে নোয়াখালী হয়ে ঢাকার বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
লক্ষ্মীপুরের রামগতির বড়খেরী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘গনি খাঁর মৃত্যুর বিষয়টি ঢাকার শাহবাগ থানা পুলিশ এবং তার স্বজনদের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’’
ঢাকা/লিটন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে