তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের বড় চ্যালেঞ্জ বিদ্যুৎ ও গ্যাস–সংকট। সেই সঙ্গে অবকাঠামো, পশ্চাৎসংযোগ শিল্পের দুর্বলতা, নীতি সমন্বয়ে ঘাটতি, উৎপাদনশীলতায় দুর্বলতা ও উচ্চ উৎপাদন ব্যয় এই খাতের সক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে এই খাতে পণ্য বৈচিত্র্য, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও নতুন বাজার সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা আরও জোরালো হয়ে উঠেছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরাটন হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স (অ্যামচেম) আয়োজিত ‘তৈরি পোশাক খাতের অগ্রযাত্রার পথ’ শীর্ষক এক সংলাপে বক্তারা এসব কথা তুলে ধরেন। সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মো.

মাহমুদ হাসান খান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ।

মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও গ্যাস–সংকট তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে গ্যাসনির্ভর শিল্পে। দেশে বর্তমানে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল চালু রয়েছে। এই অবকাঠামো উন্নয়নে আমাদের আরও গুরুত্ব দিতে হবে। উৎপাদন কমায় মধ্যম ও ছোট অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিজিএমইএর প্রায় ৭ হাজার ১০০ সদস্যের মধ্যে বর্তমানে ৩ হাজারেরও কম সদস্য রপ্তানিতে সক্রিয় রয়েছেন।’

সংলাপের উদ্বোধনী বক্তব্যে অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা রপ্তানি আয়ের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। তৈরি পোশাক খাত মোট রপ্তানির ৮১ দশমিক ৫ শতাংশ। বর্তমান বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রেক্ষাপট পরিবর্তন আমাদের অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।’ এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের তথ্য তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধি আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বলেন, পোশাক খাতে নিম্নমূল্য থেকে উচ্চমূল্যের পণ্যের দিকে যেতে হবে। এলডিসি থেকে উত্তরণ ও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে এই খাতের উৎপাদনশীলতা ও সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ফলে নতুন রপ্তানি সুযোগ তৈরি হয়েছে। রপ্তানির সহায়তায় আরএমজি এক্সপোর্ট সেল গঠন করা হচ্ছে।

সংলাপে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মহাপরিচালক গাজী এ কে এম ফজলুল হক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব মো. নাজিউর রহমান মিয়াও বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর পল ফ্রস্ট, লেবার অ্যাটাশে লিনা খান, অ্যামচেমের ট্রেজারার আল-মামুন এম রাসেলসহ অ্যামচেমের সদস্য, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ